পশ্চিমবঙ্গে চা শিল্পের সমস্যা ?

0
পশ্চিমবঙ্গে চা শিল্পের সমস্যাগুলি উল্লেখ করো ?

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই, আজ আমরা ভূগোলের একটি গুরত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি যে বিষয়টি পরীক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়টি তারা অধ্যায়ন করলে খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্জন করতে পারবে। পশ্চিমবঙ্গে চা শিল্পের সমস্যা এই বিষয়টি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গে চা শিল্পের সমস্যাগুলি উল্লেখ করো ?

পশ্চিমবঙ্গে চা শিল্পের সমস্যা:

বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে চা শিল্পের প্রধান সমস্যাগুলি হল

  1. পুরানো বাগিচা: পশ্চিমবঙ্গের চা বাগানগুলির অর্ধেকের বেশি চা-গাছ 50 বছর বা তার বেশি পুরোনো। পুরোনো চা গাছের পাতা থেকে উৎপাদিত চায়ের গুণগত মান যেমন নিকৃষ্ট, তেমনি মোট উৎপাদনের পরিমাণও কম হয়। 
  2. অধিক উৎপাদন-ব্যয়: পশ্চিমবঙ্গের উৎপাদিত চায়ের উৎপাদন ব্যয় বেশি হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি করার ক্ষেত্রে অসুবিধা দেখা দেয়। দার্জিলিং অঞ্চলের চা-বাগিচাগুলির উৎপাদন ব্যয় সাধারণভাবে সবচেয়ে বেশি বলে লাভের পরিমাণ কম হয়। 
  3. সুষ্ঠু পরিচালনার অভাব: পশ্চিমবঙ্গের অনেক চা-বাগান সুষ্ঠু পরিচালনার অভাবে ক্রমশ রুগ্ন হয়ে পড়ছে এবং চা-বাগানে উৎপাদানের পরিমাণ ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। 
  4. পুরোনো যন্ত্রপাতি: পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং অঞ্চলে 1855-56 খ্রিস্টাব্দে অসংখ্য চা বাগান গড়ে ওঠে। এখানকার অনেক চা বাগানই 100 বছরের পুরোনো এবং চা-বাগানে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি অত্যন্ত পুরোনো। ফলে এর উৎপাদন-ব্যয় বেশি ও মোট উৎপাদনের পরিমাণ কম।
  5. অধিক মজুরি: পশ্চিমবঙ্গে বিশেষত তরাই ও ডুয়ার্স অঞ্চলে চা-বাগানে কর্মে নিযুক্ত শ্রমিকদের মজুরির হার বেশি হওয়ার কারণে উৎপন্ন চায়ের দাম ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় বেশি।  
  6. চা-বাগিচা সম্প্রসারণের অসুবিধা: পশ্চিমবঙ্গ অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এবং এখানে নতুন চা-বাগিচা গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় জমির অসুবিধা দেখা দেয়।

উপরোক্ত অংশ থেকে কোনো আক্ষেপ থাকলে অবশ্যই নিচে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি পছন্দ হলে আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করুন। বিষয়টি নিজের কাছে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য বা পরে অধ্যায়ন করার জন্য সরাসরি পিডিএফ(PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।