মৃত্তিকা ক্ষয় প্রতিরোধ ও সংরক্ষণ ?

0
মৃত্তিকা ক্ষয় প্রতিরোধ ও সংরক্ষণের পদ্ধতি লেখো ?

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই, আজ আমরা ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করবো যে প্রশ্নটি পরীক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই উপযোগী এবং এই প্রশ্নটি তারা গুরত্ব সহকারে অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্জন করতে পারবে। মৃত্তিকা ক্ষয় প্রতিরোধ ও সংরক্ষণের পদ্ধতি এই প্রশ্নটি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

Advertisement

মৃত্তিকা ক্ষয় প্রতিরোধ ও সংরক্ষণের পদ্ধতি লেখো ?

মৃত্তিকাক্ষয়ে মৃত্তিকার গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়। এইজন্য মৃত্তিকা সংরক্ষণ করা প্রয়োজন মৃত্তিকাকে ক্ষয়ীভবনের হাত থেকে রক্ষা করাই হলো মৃত্তিকা সংরক্ষণের মূলকথা। নিম্নলিখিতভাবে মৃত্তিকাক্ষয় প্রতিরোধ ও সংরক্ষণ করা যায়-

  1. বৃক্ষরোপণ: পাহাড়ি অঞ্চল ও অকৃষি কাজযুক্ত জমিতে বৃক্ষরোপণ করতে হবে। এর ফলে–
    • উদ্ভিদের শিকড় মৃত্তিকাকে শক্ত করে ধরে রাখে।
    • বৃষ্টির ফোঁটা সরাসরি মাটির ওপর পড়ে না।
    • প্রবল বায়ুপ্রবাহ থেকে মৃত্তিকাকে রক্ষা করে। 
  2. ধাপ চাষ: পহাড়ি ঢালের সমান্তরালে সিঁড়ির মতো ধাপে ধাপে কৃষিজমি প্রস্তুত করা হয়। ফলে মৃত্তিকাক্ষয় অনেক কম হয়। ভারতের পার্বত্য অঞ্চলে এই চাষ করা হয়। 
  3. সমোন্নতিরেখা চাষ: পার্বত্য অঞ্চলে উঁচুনীচু এলাকার সমান উচ্চতাসম্পন্ন বিন্দুগুলিকে যোগ করে যে রেখা পাওয়া যায়, তাকে সমঢাল রেখা বলে। এই রেখা বরাবর এমন বাঁধ দেওয়া হয় যাতে দুটি বাঁধের মধ্যবর্তী অঞ্চলে জল বের হতে না পারে। এইভাবে মৃত্তিকার ক্ষয়রোধ সম্ভব এবং এই পদ্ধতির চাষকে সমোন্নতিরেখা চাষ বলে। 
  4. ফালি চাষ: যখন ঢালের আড়াআড়ি এবং একফালি জমিতে সাধারণ ফসল (গম, ভুট্টা) ও পরের ফালিতে কোনো ভূমিক্ষয়রোধক শস্য (চিনাবাদাম, সয়াবিন) চাষ করা হয়, তাকে ফালি চাষ বলে। বায়ু দ্বারা মৃত্তিকাক্ষয় প্রতিরোধ করতে এটি একটি কার্যকরী পদ্ধতি। 
  5. গালি চাষ: জল দ্বারা মৃত্তিকাক্ষয়ে কোনো স্থানে বড়ো নালার সৃষ্টি হয়। এই চওড়া ও গভীর নালার চারপাশে পাথরের বাঁধ, তার দিয়ে পাথর বেঁধে প্রাচীর তৈরি করা হয় ও তার মধ্যে বিভিন্ন মৃত্তিকাক্ষয় প্রতিরোধকারী শস্য চাষ (বাবলা, ঝাউ) করা হয়। একে গালি চাষ বলে। 
  6. ঝুম চাষ প্রতিরোধ: পাহাড়ি ও মালভূমি প্রধান অঞ্চলে গাছপালা কেটে ও পুড়িয়ে কৃষিজমি তৈরি করা হয়। কিছুদিন পর ওই জমি পরিত্যাগ করে আবার অন্যত্র বন পরিষ্কার করা হয়। এটিই ঝুম চাষ এতে পাহাড়ি অঞ্চলে ব্যাপক মৃত্তিকা ক্ষয় গালি চাব হয়। উত্তর-পূর্ব ভারতে এর ফলেই মৃত্তিকা ক্ষয় হয়। এই ঝুম চাষ প্রতিরোধ করে বিকল্প কৃষিব্যবস্থা চালু করতে হবে।

উপরের প্রস্নোধৃত অংশ থেকে কোনো আক্ষেপ থাকলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি পছন্দ হলে আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করুন। এই প্রশ্নের বিষয়টি পরে অধ্যায়ন করার জন্য বা নিজের কাছে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য সরাসরি পিডিএফ (PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।