Home প্রাকৃতিক ভূগোল অক্ষরেখার বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো ?

অক্ষরেখার বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো ?

0
অক্ষরেখার বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলি ও গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো ?

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই আজ আমরা ভূগোলের একটি গুরত্বপূর্ন প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করবো যে প্রশ্নটি ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই উপযোগী এই প্রশ্নটি তারা অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্জন করতে পারবে। অক্ষরেখার বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলি ও গুরুত্ব এই প্রশ্নটি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

অক্ষরেখার বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলি ও গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো ?

অক্ষরেখার বা সমাক্ষরেখার বৈশিষ্ট্যসমূহ :

  • প্রতিটি সমাক্ষরেখা এক-একটি পূর্ণ বৃত্ত।
  • প্রতিটি সমাক্ষরেখা পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে রয়েছে।
  • সমাক্ষরেখাগুলি পরস্পর সমান্তরাল।
  • অক্ষরেখাগুলির মধ্যে নিরক্ষরেখা সবচেয়ে বড়ো বলে একে মহাবৃত্ত বলে।
  • অক্ষরেখার মান যত বাড়তে থাকে অক্ষরেখাগুলির পরিধিগত দৈর্ঘ্য তত কমতে থাকে।
  • একই সমাক্ষরেখায় অবস্থিত স্থানগুলি একে অপরের পূর্বে বা পশ্চিমে অবস্থিত হয়।
  • নিরক্ষরেখা থেকে যত উত্তরে বা দক্ষিণে যাওয়া যায় উন্নতার পরিমাণ তত কমতে থাকে।
  • অক্ষরেখা ভেদে জলবায়ুর তারতম্য পরিলক্ষিত হয়। 
  • প্রত্যেকটি অক্ষরেখাই পূর্ণবৃত্ত কিন্তু উভয় মেরু বিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

অক্ষরেখা বা সমাক্ষরেখার গুরুত্ব :

  1. অবস্থান নির্ণয়ে অক্ষরেখার গুরুত্ব: নিরক্ষরেখা ও অন্যান্য অক্ষরেখার সাহায্যে পৃথিবীর কোনো স্থান বা অঞ্চলের সহজেই অবস্থান নির্ণয় করা যায়। আবার কোনো স্থান নিরক্ষরেখার কত উত্তরে বা কত দক্ষিণে অবস্থিত অক্ষরেখার মান অনুসারে তা সহজেই নির্ণয় করা যায় ও বোঝা যায়।
  2. গোলার্ধ নির্ণয়: অক্ষরেখার মানের সঙ্গে উঃ বা উত্তর এবং দঃ বা দক্ষিণ লেখা শব্দটির সাহায্যে কোনো স্থান কোন্ গোলার্ধে অর্থাৎ উত্তর কিংবা দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থিত তা সহজেই বোঝা যায়। কোনো অক্ষরেখার মানের পাশে উঃ বা উত্তর লেখা থাকলে সহজেই বলা যায় যে স্থানটি উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত। একইভাবে দঃ বা দক্ষিণ লেখা থাকলে স্থানটি দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থিত বলা যায়। 
  3. উষ্ণতা তথা জলবায়ু সম্পর্কে ধারণা: সূর্যরশ্মির পতন কোণের পরিমাণ নিরক্ষরেখায় সারাবছর সর্বোচ্চ 90° থাকে বলে উয়তা সারা বছর বেশি থাকে এবং সারাবছর এই অঞ্চলে একটি ঋতুই বিরাজ করে, তা হল গ্রীষ্মকাল। নিরক্ষরেখা থেকে যত উত্তরে বা দক্ষিণে উভয় মেরুর দিকে যাওয়া যায় তত সূর্যরশ্মির পতন কোণের পরিমাণ কমতে থাকে বলে উয়তাও কমতে থাকে এবং কমতে কমতে পতন কোণ প্রায় 0° তে পৌঁছায়। ফলে উন্নতাও অক্ষরেখার মান বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকে। সুতরাং অক্ষরেখার মানের সাহায্যে আমরা পরোক্ষভাবে কোনো স্থানের উয়তা তথা জলবায়ু সম্পর্কে ধারণা পেতে পারি।
  4. সীমানা নির্ধারণ: অক্ষরেখার সাহায্যে অনেক দেশের বা রাজ্যের সীমানা নির্দেশ করা হয়। যেমন- 48° উঃ সমাক্ষরেখার সাহায্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যে সীমানা নির্দেশ করা হয়েছে।
  5. চ্যানেল-এর নাম: সমুদ্রে বিভিন্ন দ্বীপের মাঝে থাকা চ্যানেলের নাম অনেক সময় অক্ষরেখার নামে করা হয়। যেমন – 10° চ্যানেল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুপ্তকে বিভক্ত করেছে।
  6. স্থান বা জায়গা চিহ্নিতকরণে সুবিধা: অক্ষরেখার সাহায্যে অনেক সময় কোনো স্থানকে সহজেই চিহ্নিত করা হয়।

উপরোক্ত অংশ থেকে কোনো বিস্ময় থাকলে অবশ্যই নিচে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করুন। প্রশ্নের বিষয়টি নিজের কাছে সংরক্ষিত করার জন্য বা পরে অধ্যায়ন করার ক্ষেত্রে সরাসরি (PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।