লালচে বাদামি ল্যাটেরাইট মাটি এবং রাঢ় অঞ্চলের মাটির পরিচয় ?

0
লালচে বাদামি ল্যাটেরাইট মাটি এবং রাঢ় অঞ্চলের মাটির সংক্ষিপ্ত পরিচয় ?

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই, আজ আমরা ভূগোলের একটি গুরত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি যে বিষয়টি পরীক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়টি তারা অধ্যায়ন করলে খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্জন করতে পারবে। লালচে বাদামি ল্যাটেরাইট মাটি এবং রাঢ় অঞ্চলের মাটির সংক্ষিপ্ত পরিচয় এই বিষয়টি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

Advertisement

লালচে বাদামি ল্যাটেরাইট মাটি এবং রাঢ় অঞ্চলের মাটির সংক্ষিপ্ত পরিচয় ?

লালচে বাদামি ল্যাটেরাইট মাটি:

অবস্থান: পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও বীরভূম জেলার পশ্চিমাংশে 156 মিটারের অধিক উচ্চতা বিশিষ্ট অংশে এই প্রকার মাটি দেখা যায়।

উৎপত্তি: মৃত্তিকার ওপরিভাগ থেকে সিলিকার অপসারণ, আদিশিলার দ্রুত বিভাজিত ও বিয়োজিত হওয়ার ফলে এই ধরনের মাটির সৃষ্টি হয়েছে।

বৈশিষ্ট্য:

  1. ইটের মতো শক্ত ও লাল মাটি।
  2. এই মাটি খুব বেশি উর্বর হয় না।
  3. সেচ ব্যবস্থা ও সার প্রয়োগ করলে এই মাটি কৃষিকাজের উপযোগী হয়ে ওঠে।
  4. এর জলধারণ ক্ষমতা কম।
  5. এতে জৈব পদার্থ কম থাকে।

উৎপন্ন ফসল: সার ও জলসেচের মাধ্যমে ধান, তৈলবীজ, শাকসবজি চাষ হয়।

ল্যাটেরাইট বা রাঢ় অঞ্চলের মাটি:

অবস্থান: পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চলের পূর্বাংশের প্রাস্তভাগে অর্থাৎ রাঢ় অঞ্চলে এই ধরনের মাটি দেখা যায়।

উৎপত্তি: মালভূমির ক্ষয়জাত পদার্থ সজ্জিত হয়ে এই মাটির সৃষ্টি করেছে।

বৈশিষ্ট্য:

  1. এর জলধারণ ক্ষমতা কম।
  2. এর উর্বরতা শক্তি তুলনামূলকভাবে কম।
  3. জলসেচের মাধ্যমে ফসল চাষ করা হয়ে থাকে।

উৎপন্ন ফসল: জলসেচের মাধ্যমে ধান, আলু, তৈলবীজ প্রভৃতি উৎপাদিত হয়।

উপরোক্ত অংশ থেকে কোনো আক্ষেপ থাকলে অবশ্যই নিচে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি পছন্দ হলে আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করুন। বিষয়টি নিজের কাছে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য বা পরে অধ্যায়ন করার জন্য সরাসরি পিডিএফ(PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।