কলকাতা বন্দর গড়ে ওঠার কারণ ?

0
কলকাতা বন্দর গড়ে ওঠার কারণগুলি লেখো ?

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই, আজ আমরা ভূগোলের একটি গুরত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি যে বিষয়টি পরীক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়টি তারা অধ্যায়ন করলে খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্জন করতে পারবে। কলকাতা বন্দর গড়ে ওঠার কারণ এই বিষয়টি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

Advertisement

কলকাতা বন্দর গড়ে ওঠার কারণগুলি লেখো ?

কলকাতা বন্দর: বঙ্গোপসাগর থেকে 128 কিমি অভ্যন্তরে হুগলি নদীর বামতীরে ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম কলকাতা বন্দর গড়ে উঠেছে।

কলকাতা বন্দর গড়ে ওঠার কারণ:

নিম্নলিখিত কারণে কলকাতায় বন্দর গড়ে উঠেছে।

  1. সমৃদ্ধ পশ্চাৎভূমি: কলকাতা বন্দরের পশ্চাৎভূমি অত্যন্ত সুবিস্তৃত ও সমৃদ্ধ।
  2. নাব্যতা: হুগলি নদীর প্রাচীন নাব্যতা কলকাতা বন্দর গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে।
  3. কৃত্রিম পোতাশ্রয়: হুগলি নদীর তীরে কলকাতায় পোতাশ্রয় নির্মাণ সুবিধাজনক।
  4. উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা: 2, 6, 34, 35, 41 নং জাতীয় সড়ক কলকাতা বন্দরের পশ্চাৎভূমির সঙ্গে যুক্ত থাকায় এখানে বন্দর গড়ে উঠতে সুবিধা হয়েছে।
  5. জনসংখ্যা: কলকাতার বিপুল জনসংখ্যা এই অঞ্চলে বন্দর গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে।

কলকাতা বন্দরের গুরুত্ব:

  1. স্বাধীনতার আগে ভারতের বন্দর সমূহের মধ্যে কলকাতা বন্দরের স্থান ছিল প্রথম। তাই 1958 সাল পর্যন্ত এই বন্দরের স্থান ছিল দ্বিতীয়। বর্তমানে এই বন্দরের স্থান ভারতে পঞ্চম।
  2. সমগ্র পূর্ব ভারত এমনকী প্রায় অর্ধেক উত্তর ভারতের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য এই বন্দরের মাধ্যমেই ঘটে থাকে।
  3. প্রতিবেশী নেপাল ও ভুটানের বৈদেশিক বাণিজ্য এই বন্দরের মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়।
  4. দেশের ৪০% পাটজাত দ্রব্য এবং 90% চা এই বন্দরের মাধ্যমে রপ্তানি করা হয়।
  5. পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডের শিল্পোন্নয়নের ক্ষেত্রেও কলকাতা বন্দর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করে।
    • পশ্চাদভূমি: পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, সিকিম, বিহার, অসম ও উত্তর-পূর্ব ভারত, উত্তর ও মধ্যপ্রদেশের কিয়দংশ। এছাড়া নেপাল ও ভুটান এই বন্দরের পশ্চাদভূমি। ফলে কলকাতা বন্দরের পশ্চাৎভূমি অত্যন্ত বৃহৎ।
    • পোতাশ্রয়: এই বন্দরের পোতাশ্রয়ে খিদিরপুর ও নেতাজি সুভাষ নামে ছটি ডক ও নটি জেটি রয়েছে।
    • আমদানি-রপ্তানি পণ্য: এই বন্দরের মাধ্যমে কয়লা, চা, পাটজাত দ্রব্য প্রভৃতি রপ্তানি এবং খাদ্যশস্য, লবণ, গন্ধক, খনিজ তেল, সিমেন্ট, সোডা, সার্ফ প্রভৃতি আমদানি করা হয়।

উপরোক্ত অংশ থেকে কোনো আক্ষেপ থাকলে অবশ্যই নিচে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি পছন্দ হলে আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করুন। বিষয়টি নিজের কাছে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য বা পরে অধ্যায়ন করার জন্য সরাসরি পিডিএফ(PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।