সমুদ্রস্রোতের প্রভাব ?

0
পৃথিবীব্যাপী সমুদ্রস্রোতের প্রভাব লেখো ?

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই, আজ আমরা ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করবো যে প্রশ্নটি পরীক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই উপযোগী এবং এই প্রশ্নটি তারা গুরত্ব সহকারে অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্জন করতে পারবে। পৃথিবীব্যাপী সমুদ্রস্রোতের প্রভাব এই প্রশ্নটি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

Advertisement

পৃথিবীব্যাপী সমুদ্রস্রোতের প্রভাব লেখো ?

পৃথিবীর জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য, জলবায়ুর পরিবর্তন, মগ্নচড়া সৃষ্টিসহ নানা কাজে সমুদ্রস্রোত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সমুদ্রস্রোতের আর্থ-প্রাকৃতিক গুরুত্বও অধিক।

  1. মগ্নচূড়া সৃষ্টি ও তার বাণিজ্যিক গুরুত্ব: মেরু অঞ্চল থেকে আগত শীতল স্রোতে ভেসে আসা হিমশৈল যখন উষ্ণমণ্ডলে উষ্ণ সমুদ্রস্রোতের সংস্পর্শে আসে তখন সেই হিমশৈলের আবদ্ধ গ্রাব বা মোরেনগুলি আলগা হয়ে খসে খসে সমুদ্রের তলদেশে সঞ্চিত হয়ে মগ্নচড়ার সৃষ্টি করে। যেমন- কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডের কাছে গ্র্যান্ড ব্যাঙ্ক পৃথিবীর বিখ্যাত মগ্নচড়া এবং গ্রেট ব্রিটেন ও পশ্চিম ইউরোপের মাঝে রয়েছে বিখ্যাত ডগার্স ব্যাঙ্ক।
    • বাণিজ্যিক গুরুত্ব: উষ্ণ ও শীত স্রোতের মিলনে তৈরি মগ্নচড়ায় প্রচুর সামুদ্রিক মৎস্যের আগমন হয়। উদাহরণ– নিউফাউন্ডল্যান্ড, জাপান, নরওয়ে, ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জে এই কারণে প্রচুর মৎস্যকেন্দ্র গড়ে উঠেছে।
  2. উপকূলের জলবায়ু পরিবর্তনে সমুদ্রস্রোতের ভূমিকা: সমুদ্রস্রোত উপকূলীয় জলবায়ুকে প্রভাবিত করে। যেমন- 
    • উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোতের প্রভাবে কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূলের জলবায়ু শীতলতার প্রকোপ থেকে মৃদু উষ্ণ হয়। ফলে বন্দরগুলি সারাবছর জাহাজ চলাচলের উপযোগী থাকে। এই স্রোতের প্রভাবে আইসল্যান্ড, নরওয়ে উপকূল ও ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের উপকূলের জলবায়ুও প্রভাবিত হয়। 
    • উষ্ণ জাপান স্রোতের প্রভাবেও জাপান, কোরিয়া, রাশিয়ার উত্তর-পূর্ব উপকূলের জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ থাকে ও মাছ ধরার উপযোগী হয় ।
  3. সমুদ্রস্রোত ও জলবায়ুর পরিবর্তন: সমুদ্রস্রোত পৃথিবীব্যাপী জলবায়ুর পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ। যেমন- দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে পেরু-চিলি উপকূলের উষ্ণ সমুদ্রস্রোত এল নিনোর (হামবোল্ড স্রোত) প্রভাবে-
    • সমুদ্রজলের উষ্ণতা বৃদ্ধিতে (5°C) পৃথিবীর চাপবলয়ের পরিবর্তন ঘটে। বায়ুপ্রবাহের দিকের পরিবর্তন হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে খরা ও বন্যার প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। 
    • দক্ষিণ গোলার্ধে বায়ুচাপের অস্বাভাবিক পরিবর্তন বা দক্ষিণি দোলন ঘটে। ফলে অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দ্বীপপুঞ্জে বন্যা, খরা, শীত ও উষ্ণতার প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। 
    • এল নিনোর প্রভাবে ভারত, ইন্দোনেশিয়াসহ উপমহাদেশে কম বৃষ্টিপাত হয়, খরা সৃষ্টি হয়। 
    • উচ্চ অক্ষাংশে শৈত্যপ্রবাহ ও তুষারপাত বৃদ্ধি পায়।

উপরের প্রস্নোধৃত অংশ থেকে কোনো আক্ষেপ থাকলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি পছন্দ হলে আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করুন। এই প্রশ্নের বিষয়টি পরে অধ্যায়ন করার জন্য বা নিজের কাছে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য সরাসরি পিডিএফ (PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।