পৃথিবীর তাপের অনুভূমিক বন্টন ?

0
তাপমন্ডল, সমোষ্নরেখা ও পৃথিবীর তাপের অনুভূমিক বন্টন আলোচনা করো ?

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই, আজ আমরা ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করবো যে প্রশ্নটি পরীক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই উপযোগী এবং এই প্রশ্নটি তারা গুরত্ব সহকারে অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্জন করতে পারবে। তাপমন্ডল, সমোষ্নরেখা ও পৃথিবীর তাপের অনুভূমিক বন্টন এই প্রশ্নটি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

Advertisement

তাপমন্ডল, সমোষ্নরেখা ও পৃথিবীর তাপের অনুভূমিক বন্টন আলোচনা করো ?

তাপমণ্ডল: সূর্যই তো তাপ ও আলোকের উৎস পৃথিবী তো গোল; তাই সূর্যের তাপ পৃথিবীর সর্বত্র সমানভাবে পড়ে না। ফলে নিরক্ষরেখা থেকে মেরুর দিকে তাপ কমতে থাকে। গোল বলে তাপ অঞ্চল গুলিও গোলাকারে অবস্থিত। তাই সেগুলিকে তাপবলয় বা তাপমণ্ডল বলে। প্রাচীন গ্রিক পণ্ডিত অ্যানাক্সিমিন্ডার, টলেমি, ক্লডিয়াস, হ্যাক্যাটিয়াস প্রমুখরা পৃথিবীকে প্রধান তিন ধরনের তাপমণ্ডলে ভাগ করেছিলেন। এই তাপমণ্ডলগুলি সম্পর্কে তোমরা জেনে নাও-

সমোষ্নরেখা: ভূপৃষ্ঠে যেসব স্থানে বছরের কোনো এক সময়ে (জানুয়ারি কিংবা জুলাই মাসে) গড় উষ্ণতা একই রকম সেসব স্থানগুলি যে কাল্পনিক রেখায় যোগ করে মানচিত্রে স্থাপন করা হয়, সেরূপ রেখাকে সমোষ্নরেখা  বলে। 

বৈশিষ্ট্য: 

  1. দুই স্থানের মধ্যে উষ্ণতার পার্থক্য বেশি হলে রেখাগুলি কাছাকাছি অবস্থান করে। 
  2. দুই স্থানের মধ্যে উদ্ভূতার পার্থক্য কম হলে রেখাগুলি দূরে দূরে অবস্থান করে। 
  3. উত্তর গোলার্ধে স্থলভাগ বেশি বলে রেখাগুলি কিছুটা কাছাকাছি অবস্থান করে। 
  4. দক্ষিণ গোলার্ধে স্থলভাগ বেশি বলে রেখাগুলি কিছুটা দূরে দূরে অবস্থান করে।

পৃথিবীর তাপের অনুভূমিক গঠন: পৃথিবীর সমোষ্নরেখা প্রকৃতি থেকে পৃথিবীর তাপের অনুভূমিক বণ্টন বোঝা যায়। রেখাগুলি প্রায় সমাক্ষরেখার সমান্তরালেই পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত। একই অক্ষরেখা বরাবর সূর্যরশ্মির = তাপীয় ফল একই। ফলে দেখা যায় নিম্ন অক্ষাংশে নিরক্ষরেখা থেকে উভয় পার্শ্বে 27° সমোষ্নরেখা অঞ্চলে উষ্ণতা বেশি। নিরক্ষরেখা থেকে প্রতি 1° সমাক্ষরেখার পরিবর্তনে উচ্চ অক্ষাংশের দিকে গড়ে 0-28° সে. হারে তাপমাত্রা কমতে থাকে। ফলে 27° সে. সমোন্নরেখা থেকে 0° সমোষ্নরেখা বা প্রায় 66½° সমাক্ষরেখা পর্যন্ত অংশে নাতিশীতোষ অবস্থা থাকে। আর 0° সমোষ্নরেখা বা 66½°-90° সমাক্ষরেখা পর্যন্ত স্থানে উষ্ণতা কম বা হিমাঙ্কের নীচে থাকে। সূর্যরশ্মির তাপীয় ফল কম বলে এই অঞ্চলের উদ্বৃতাও কম। তবে দক্ষিণ গোলার্ধে জলভাগ বেশি থাকায় তাপের পার্থক্য কম হয়। উত্তর গোলার্ধে এই পার্থক্য বেশি। দক্ষিণ গোলার্ধে সমোষ্নরেখা দূরে দূরে ও উত্তর গোলার্ধে কাছাকাছি অবস্থান দেখে বোঝা যায়।

উপরের প্রস্নোধৃত অংশ থেকে কোনো আক্ষেপ থাকলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি পছন্দ হলে আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করুন। এই প্রশ্নের বিষয়টি পরে অধ্যায়ন করার জন্য বা নিজের কাছে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য সরাসরি পিডিএফ (PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।