আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই, আজ আমরা ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করবো যে প্রশ্নটি ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রশ্নটি তারা অধ্যায়ন করলে খুব সহজেই পরীক্ষায় ভালো নম্বর অর্জন করতে পারবে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় হিসাবে পার্বত্য ধস এই প্রশ্নটি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
প্রাকৃতিক বিপর্যয় হিসাবে পার্বত্য ধসের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও ?
সংজ্ঞা:
ধস একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। একে বন্ধ করা কঠিন। তবে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। পাহাড়ের ঢাল বরাবর মাধ্যাকর্ষণের টানে পাহাড়ের চাঁই, শিলাচূর্ণ, মাটি এবং অন্যান্য আলগা পদার্থের হঠাৎ নেমে আসা বা খসে পড়ার ঘটনাকে ধস বলে। সাধারণত বর্ষাকালে পাহাড়ের ধস নামার প্রবণতা বেশি থাকে।
কারণ:
যেসব কারণে ধস নামার ঘটনা ঘটে তা হল
প্রাকৃতিক কারণসমূহ:
- প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে।
- বৃষ্টির জলে পাথর আলগা হয়ে পড়ার জন্য।
- মাটিতে বালির ভাগ বেশি থাকার জন্য।
- ভূমিকম্প ও অগ্ন্যুৎপাতের জন্য ধসের সৃষ্টি হয়।
মানুষের তৈরি কারণ:
- পরিকল্পনাহীনভাবে বাড়িঘর নির্মাণ, পাহাড়ের ঢালে গাছপালার উচ্ছেদ ঘটালে, পাহাড় খোঁড়া, রাস্তা, ট্রেন প্রভৃতি নির্মাণে ডিনামাইট চার্জ প্রভৃতি কারণে ধস হয়।
প্রভাব:
- ধসের ফলে বাড়িঘর ভেঙে পড়ে। এমনকি বড়ো ধরনের ধসের ফলে জনপদ বা লোকালয় বা গ্রাম/বস্তির উচ্ছেদ হয়। 1980 সালে দার্জিলিং শহরের তুংসুং বস্তির বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
- রাস্তাঘাট নষ্ট হয়।
- ফলবাগান, চা বাগান, নাশপাতি বাগান নষ্ট হয়।
- চাষ-আবাদের ক্ষতি হয়।
- যাতায়াত ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
- জীবনহানির আশঙ্কা থাকে।
প্রতিকার:
- ধসের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়। তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায়। রাস্তা মেরামতির জন্য পাহাড়ের যত্রতত্র খোঁড়া, ডিনামাইট চার্জ করা প্রভৃতি বন্ধ করা প্রয়োজন।
- ধসপ্রবণ এলাকা পরিহার করা।
- পাহাড়ের ঢালে বৃক্ষরোপণ ।
- শহরে জল নিকাশি ব্যবস্থার দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনা মাফিক হওয়া প্রয়োজন।
উপরোক্ত অংশ থেকে কোনো আক্ষেপ থাকলে অবশ্যই নিচে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করুন। প্রশ্নের বিষয়টি নিজের কাছে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য বা পরে অধ্যায়ন করার জন্য সরাসরি পিডিএফ (PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।