জোয়ারভাটা সৃষ্টির কারণ ?

0
জোয়ারভাটার ধারণা, সৃষ্টির কারণ ও ফলাফল লেখো ?

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই, আজ আমরা ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করবো যে প্রশ্নটি পরীক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই উপযোগী এবং এই প্রশ্নটি তারা গুরত্ব সহকারে অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্জন করতে পারবে। জোয়ারভাটার ধারণা, সৃষ্টির কারণ ও ফলাফল এই প্রশ্নটি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

Advertisement

জোয়ারভাটার ধারণা, সৃষ্টির কারণ ও ফলাফল লেখো ?

জোয়ারভাটা সৃষ্টির কারণ:

জোয়ারভাটা সৃষ্টির কারণগুলি হলো- 

  1. চন্দ্রের আকর্ষণ: নিউটনের মহাকর্ষ সূত্রানুযায়ী- “মহাবিশ্বে প্রতিটি বস্তু তাদের কেন্দ্র সংযোগকারী সরলরেখা বরাবর পরস্পরকে আকর্ষণ করে। এই আকর্ষণ বলের মান বস্তু দুটির দূরত্বের বর্গের ব্যাস্তানুপাতিক।” চাঁদ পৃথিবী থেকে 3 লক্ষ 84 কিমি ও সূর্য 15 কোটি কিমি দূরে অবস্থিত। তাই চাঁদের আকর্ষণেই মূলত জোয়ারভাটা হয়। চাঁদের আকর্ষণে গঠিত এই জোয়ারকে চান্দ্র জোয়ার বলে।
  2. সূর্যের আকর্ষণ: নিউটনের দ্বিতীয় সূত্রানুসারে, দুটি বস্তুর মধ্যবর্তী আকর্ষণ বল বস্তু দুটির ভরের গুণফলের সমানুপাতিক। সূর্য চাঁদের চেয়ে 255 লক্ষ গুণ ভারী। তাই সূর্যের আকর্ষণেও জোয়ারভাটা হয়। সূর্যের আকর্ষণে গঠিত এই জোয়ারকে সৌর জোয়ার বলে।
  3. চন্দ্র ও সূর্যের মিলিত আকর্ষণ: অমাবস্যা ও পূর্ণিমার দিন চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবী একই সরলরেখায় আসে, একে জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভাষায় “সিজিগি’ (Syzygy) বলে। এইরূপ অবস্থান দু-প্রকার-
    • সংযোগ (Conjunction): অমাবস্যায় পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে চাঁদ অবস্থান করে (সূর্যগ্রহণ)। 
    • প্রতিযোগ (Opposition): পূর্ণিমায় চাঁদ ও সূর্যের মাঝে পৃথিবী অবস্থান করে (চন্দ্রগ্রহণ)। এইভাবে অবস্থানের জন্য চাঁদ ও সূর্যের মিলিত আকর্ষণে পৃথিবীর জলভাগে প্রবল জোয়ারের সৃষ্টি হয়। তবে সংযোগ অপেক্ষা প্রতিযোগ অবস্থানে জোয়ারের মাত্রা বেশি হয়।
  4. কেন্দ্রাতিগ বলের প্রভাব: পৃথিবী নিজ মেরুদণ্ডের ওপর ক্রমাগত আবর্তনের ফলে যে বিকর্ষণজনিত প্রবল বলের সৃষ্টি হয়, তাকে কেন্দ্রাতিগ বল বলে।

বৈশিষ্ট্য:

  • এটি একপ্রকার বিকর্ষণ জনিত বল।
  • এই বলের প্রভাবে পৃথিবীপৃষ্ঠের জলরাশি সর্বদা বাইরের দিকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
  • এই বল মহাকর্ষ বলের বিপরীতধর্মী হয়। 

ব্যাখ্যা:

চন্দ্রের আকর্ষণের ফলে যে স্থানে জোয়ার হয়, তার বিপরীত দিকে অর্থাৎ, প্রতিপাদস্থানে চন্দ্রের আকর্ষণ কম হয় এবং মূলত কেন্দ্রাতিগ শক্তির আকর্ষণে সেই স্থানে জোয়ার হয় ।

উপরের প্রস্নোধৃত অংশ থেকে কোনো আক্ষেপ থাকলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি পছন্দ হলে আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করুন। এই প্রশ্নের বিষয়টি পরে অধ্যায়ন করার জন্য বা নিজের কাছে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য সরাসরি পিডিএফ (PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।