দ্রাঘিমারেখার বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব ?

0
দ্রাঘিমারেখার বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো ?

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই আজ আমরা ভূগোলের একটি গুরত্বপূর্ন প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করবো যে প্রশ্নটি ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই উপযোগী এই প্রশ্নটি তারা অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্জন করতে পারবে। দ্রাঘিমারেখার বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব এই প্রশ্নটি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

Advertisement

দ্রাঘিমারেখার বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো ?

দ্রাঘিমারেখার বৈশিষ্ট্য :

  • প্রতিটি দ্রাঘিমারেখাই অর্ধবৃত্ত অর্থাৎ এরা কেন্দ্রে 180° কোণ উৎপন্ন করে।
  • প্রতিটি দ্রাঘিমারেখার দৈর্ঘ্য ও ব্যাসার্ধ সমান।
  • প্রতিটি দ্রাঘিমার দ্বারা সৃষ্ট অর্ধবৃত্তের কেন্দ্রবিন্দু এবং পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দু একই বিন্দুতে অবস্থান করে। ফলে পরস্পরের বিপরীতের দুটি দ্রাঘিমা যোগ করলে পাওয়া যায় একটি মহাবৃত্ত। সুতরাং প্রতিটি দ্রাঘিমারেখাই মহাবৃত্তের অংশ।
  • প্রতিটি দ্রাঘিমারেখাই দুই মেরুবিন্দুতে মিলিত হয়েছে।
  • একই দ্রাঘিমারেখা বরাবর পৃথিবীর সকল স্থানের দ্রাঘিমা সমান।
  • দ্রাঘিমারেখাগুলি অক্ষরেখার মতো সমান্তরাল না হয়ে উভয় মেরুবিন্দুতে মিলিত হয় বলে দুটি দ্রাঘিমারেখার অন্তবর্তী দূরত্ব বিভিন্ন সমাক্ষরেখায় বিভিন্ন হয়।
  • প্রতিটি দ্রাঘিমারেখা প্রতিটি অক্ষরেখাকে সমকোণে ছেদ করেছে।
  • দ্রাঘিমারেখার সর্বনিম্ন মান 0° এবং সর্বোচ্চ মান 180° । 180° দ্রাঘিমারেখাটি সাধারণ রেখা 0°-এর মতো, এরও কোনো দিক নির্দেশ থাকে না।
  • পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দু হল সব দ্রাঘিমারেখায় কেন্দ্রবিন্দু।
  • দ্রাঘিমারেখাগুলির মধ্যে পারস্পরিক ব্যবধান নিরক্ষরেখায় সবচেয়ে বেশি এবং মেরুবিন্দুতে 0।

দ্রাঘিমারেখার গুরুত্ব:

  1. অবস্থান নির্ণয়: পৃথিবীর কোনো স্থান মূলমধ্যরেখার কতটা পূর্বে বা কতটা পশ্চিমে অবস্থিত তা দ্রাঘিমা। 
  2. সময় নির্ণয়: পৃথিবীর যে-কোনো স্থানের দ্রাঘিমার মান জানলে ওই স্থানের সময় সহজেই নির্ণয় করা হয়।
  3. গোলার্ধ নির্ণয়: কোনো দ্রাঘিমার মানের পাশে লেখা পূর্ব (পুঃ) বা পশ্চিম (পঃ) কথাটি দ্বারা সহজেই বোঝা যায় কোনো স্থান কোন্ গোলার্ধে অবস্থিত। স্থানটির দ্রাঘিমার মানের পাশে যদি পূর্ব (পুঃ) কথাটি উল্লেখ থাকে তবে স্থানটি অবশ্যই পূর্ব গোলার্ধে এবং কোনো স্থানের দ্রাঘিমার মানের পাশে পশ্চিম (পঃ) কথাটি লেখা থাকলে স্থানটি অবশ্যই পশ্চিম গোলার্ধ ।
  4. একই দ্রাঘিমারেখার বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন জলবায়ু: একই দ্রাঘিমায় অবস্থান করা সত্ত্বেও অক্ষাংশগত পার্থক্যের জন্য বিভিন্ন স্থানের জলবায়ুর মধ্যে বিরাট পার্থক্য লক্ষ করা যায়।
  5. দেশ বা রাজ্যের সীমানা: অক্ষরেখার মতোই দ্রাঘিমারেখার সাহায্যেও কোনো দেশ বা রাজ্যের সীমারেখা নির্দেশ করা যায়।

উপরোক্ত অংশ থেকে কোনো বিস্ময় থাকলে অবশ্যই নিচে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করুন। প্রশ্নের বিষয়টি নিজের কাছে সংরক্ষিত করার জন্য বা পরে অধ্যায়ন করার ক্ষেত্রে সরাসরি (PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।