আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই আজ আমরা ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো যে বিষয়টি পরীক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তাই এই প্রশ্নটি তারা অধ্যায়ন করলে খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্জন করতে পারবে। ভূ্ – অবস্থানিক ব্যবস্থা বা (GPS) এই প্রশ্নটি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ভূ – অবস্থানিক ব্যবস্থা:
ভূ – অবস্থানিক ব্যবস্থা বা (Global positioning System) কথাটি সর্বত্র (GPS) নামে সবচেয়ে বেশি চালু। (GPS) হলো একটি কৃত্রিম উপগ্রহ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা যার মাধ্যমে বিশেষ কিছু কৃত্রিম উপগ্রহের কক্ষতলের উপর অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে (GPS) গ্রাহক যন্ত্রের সাহায্যে যে কোনো জায়গার অবস্থান, উচ্চতা ও ভূমির ধারণা ও ভূমিরূপ এর গঠন প্রভৃতি সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়। কৃত্রিম উপগ্রহ পৃথিবীর কক্ষতলের উপর উপস্থাপন করে (GPS) ব্যবস্থা কার্যকরী করা হয়। (GPS) পদ্ধতি প্রথম ১৯৭৩ সালে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের নৌপর্যবেক্ষণকারী সংস্থা (US Naval Observator) কর্তৃক সামরিক প্রয়োগের জন্য ব্যবহার করা হয়। (GPS) এর মাধ্যমে এক বা দু – মিনিটের মধ্যে পৃথিবীর কোনো স্থানের অবস্থানের তথ্য সরবরাহ করতে পারে। বিজ্ঞানী ব্রাডফোর্ড পারকিনসন, রাজার এল, ইভান বিজ্ঞানী (GPS) উদ্ভাবন করেন। ব্রাডফোর্ড পারকিনসনকে (GPS) এর জনক বলা হয়। ১৯৯৫ সালে (GPS) সম্পূর্ণ কার্যকরী হয়ে ওঠে।
ভূ – অবস্থানিক ব্যবস্থার প্রয়োগ বা ব্যবহার:
- আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় (GPS) হলো অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের মাধ্যম, এছাড়া বিমান, জাহাজ এমনকি সড়ক পরিবহনের ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোনো যানের অবস্থান আমরা খুব দ্রুত এবং খুব সহজেই আনতে পারি।
- বর্তমানে (Differential GPS) ব্যাপক আকারে উপকূলীয় নৌক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে অতি দ্রুত কয়েক মিটার ব্যবধানে সমুদ্র ও নগ্নচড়ার মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করা হয়।
- (GPS) পদ্ধতির সহায়তায় জাহাজ ও প্লেন তাদের নির্ধারিত পথে সহজেই যাতায়াত করতে পারে ও যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে।
- বর্তমানে (GPS) পদ্ধতির দক্ষতা বৃদ্ধির ফলে এর সাহায্যে বহু দূরবর্তী বিমানবন্দর গুলিতে বিমান ওঠানামার কাজের নিয়ন্ত্রণ সহজতর করা সম্ভব হচ্ছে।
- (GPS) পদ্ধতি অবস্থানগত দূরত্ব নিখুঁতভাবে জানতে পারে বলে একই আকাশ পথে চলা দুটি বিমানের মধ্যে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- (GPS) পদ্ধতির নিখুঁত অবস্থান নির্ণয় করতে পারে বলে এখন এটি এয়ার ট্রাফিক এলার্ট এবং সংঘর্ষে এড়ানো বিধি এর কার্য ব্যবহার করা হচ্ছে।
- বর্তমানে বিমান ওঠানামার ক্ষেত্রে (GPS) পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে খরচ অনেক হ্রাস পেয়েছে।
- (GPS) পদ্ধতির সাহায্যে বিভিন্ন প্রকার কম্পিউটার মানচিত্র তৈরি করা হচ্ছে।
- আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে এই প্রযুক্তিকে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে বিভিন্ন তথ্যের দ্রুত আদান প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে।
- জাহাজ ও বিমান দুর্ঘটনা গ্রস্থ ও নিখোঁজ হলে তাদের অনুসন্ধান ও উদ্ধারকার্যে (GPS) পদ্ধতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জরুরী সংবাদ আদান প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে।
- সেনাবাহিনীর গতিবিধি, (Sitting Target) খোঁজ ও উদ্ধার কাজে (GPS) সাহায্য করে।
- (Hand Held GPS) এর মাধ্যমে আমরা খুব কম দূরত্বের মধ্যে কোনো অঞ্চলের সীমারেখা চিহ্নিত করতে পারি এবং (System) এ গুলি (Save) করে রাখতে পারি।
- (GPS) একজন পর্যটক এর বিশ্বস্ত (Guide) হিসাবে কাজ করতে পারে। GIS ( Geographical Information System) এর সাহায্যে গ্রাহক পর্যটককে নির্ভুলভাবে পথ দেখাতে সাহায্য করে।
উপরোক্ত অংশ থেকে কোনো আক্ষেপ থাকলে অবশ্যই নিচে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি পছন্দ হলে আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করতে ভুলবেন না। প্রশ্নটি নিজের কাছে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য বা পরে অধ্যায়ন করার জন্য সরাসরি (PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।