আগ্নেয়শিলার সৃষ্টি ?

0
আগ্নেয়শিলা কীভাবে সৃষ্টি হয় ?

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই, আজ আমরা ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করবো যে প্রশ্নটি পরীক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই উপযোগী এবং এই প্রশ্নটি তারা গুরত্ব সহকারে অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্জন করতে পারবে। আগ্নেয়শিলা কীভাবে সৃষ্টি হয় এই প্রশ্নটি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

Advertisement

আগ্নেয়শিলা কীভাবে সৃষ্টি হয় ?

আগ্নেয়শিলার সৃষ্টি নানাভাবে হতে পারে, যেমন:

  1. জন্মকালে আমাদের পৃথিবীও সূর্যের মতো এক আগুনের বাষ্পপিণ্ড ছিল। কোটি কোটি বছর ধরে তাপ বিকিরণ করার পর ঠান্ডা ও কঠিন হয়ে পৃথিবী বর্তমানের অবস্থা প্রাপ্ত হয়েছে। ক্রমাগত তাপ বিকিরণের ফলে অতি উত্তপ্ত বাষ্পীয় অবস্থা থেকে উত্তপ্ত তরল অবস্থা এবং তরল অবস্থা থেকে শীতল ও কঠিন হওয়ার সময়ে ভূগর্ভের ম্যাগমা জমাট বেঁধে কঠিন হয়ে আগ্নেয়শিলার সৃষ্টি হয়েছে। অন্য কোনো শিলা থেকে আগ্নেয়শিলার সৃষ্টি হয়নি, তাই একে প্রাথমিক শিলাও বলা হয়। ভূত্বকের প্রায় 80% অঞ্চল আগ্নেয়শিলায় গঠিত। উদাহরণ: গ্রানাইট, ব্যাসল্ট প্রভৃতি পাথর হল আগ্নেয়শিলার উদাহরণ। 
  2. ভূগর্ভের উত্তপ্ত গলিত পদার্থ বা ম্যাগমা ভূগর্ভের ছিদ্রপথ বা আগ্নেয়গিরির মুখ দিয়ে বেরিয়ে এসে ভূপৃষ্ঠের ওপর লাভারূপে প্রবাহিত হওয়ার সময় ঠান্ডা বাতাসের সংস্পর্শে এসে শীতল ও কঠিন হয়ে আগ্নেয় শিলার সৃষ্টি হয়। এই ধরনের শিলাকে নিঃসারী আগ্নেয়শিলা বলে। দ্রুত জমে যাওয়ায় এই ধরনের আগ্নেয়শিলার কণাগুলি খুবই সূক্ষ্ম হয়। উদাহরণ: ব্যাসল্ট এই ধরনের শিলার উদাহরণ।
  3. ভূগর্ভের উত্তপ্ত গলিত পদার্থ বা ম্যাগমা অনেক সময় ভূপৃষ্ঠে পৌঁছাতে না পেরে ভূগর্ভের ভিতরেই বহু বছর ধরে ধীরে ধীরে জমে কঠিন শিলায় পরিণত হয়। এইভাবে সৃষ্টি হওয়া আগ্নেয়শিলাকে উদ্‌বেধী আগ্নেয় শিলা বলে। উদাহরণ: গ্রানাইট, ডোলেরাইট, পরফাইরি প্রভৃতি শিলা হল পাতালিক শিলার উদাহরণ। 

উপরের প্রস্নোধৃত অংশ থেকে কোনো আক্ষেপ থাকলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি পছন্দ হলে আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করুন। এই প্রশ্নের বিষয়টি পরে অধ্যায়ন করার জন্য বা নিজের কাছে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য সরাসরি পিডিএফ (PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।