আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই আজ আমরা ভূগোলের একটি গুরত্বপূর্ন প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করবো যে প্রশ্নটি ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই উপযোগী এই প্রশ্নটি তারা অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্জন করতে পারবে। আগ্নেয় পর্বতের উৎপত্তি ও বৈশিষ্ট্য এই প্রশ্নটি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
Advertisement
আগ্নেয় পর্বতের উৎপত্তি ও বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো ?
আগ্নেয় পর্বতের উৎপত্তি:
নিম্নলিখিতভাবে আগ্নেয় পর্বতের উৎপত্তি ঘটে থাকে
- ফাটলের সৃষ্টি হয়। এই ফাটল বরাবর ভূগর্ভস্ ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠের বাইরে বেরিয়ে এসে সজ্জিত হতে থাকে। ম্যাগমার সঙ্গে বারবার পাথরের টুকরো, ছাই, কাদা, গ্যাস, সিন্ডার, জলীয় বাষ্প প্রভৃতি বাইরে উৎক্ষিপ্ত হয়ে সঞ্চিত হতে থাকে। এভাবে বারবার একই স্থানে লাভা বা ম্যাগমা উদগীরণের ফলে বিভিন্ন আগ্নেয় পদার্থ সজ্জিত হয়ে আগ্নেয় পর্বতের সৃষ্টি হয়।
- নিঃসারী অগ্ন্যুৎপাতের ফলে এই প্রকার পর্বতের উৎপত্তি ঘটে।
- অনেক সময় উদ্বেধী অগ্ন্যুৎপাতের ফলেও এই ধরনের পর্বতের সৃষ্টি হয়ে থাকে।
উদাহরণ:
ইতালির ভিসুভিয়াস, হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের মৌনালোয়া (পৃথিবীর বৃহত্তম ও উচ্চতম), জাপানের ফুজিয়ামা, ভারতের ব্যারেন ও নারকোনডাম দ্বীপ প্রভৃতি।
আগ্নেয় পর্বতের বৈশিষ্ট্য:
- অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই পর্বত শঙ্কু আকৃতির হয়।
- আগ্নেয় পর্বতের এক বা একাধিক জ্বালামুখ থাকে।
- ভূপৃষ্ঠের দুর্বল অংশ বা পাত সীমানা বরাবর আগ্নেয় পর্বত দেখা যায়।
- আগ্নেয় পার্বত্য অঞ্চল ভূমিকম্প প্রবণ হয়ে থাকে।
- আগ্নেয় শিলা, ভস্ম, সিন্ডার প্রভৃতি দিয়ে আগ্নেয় পর্বত গঠিত।
- যেখানে অগ্ন্যুৎপাত ঘটে সেখানেই আগ্নেয় পর্বতের সৃষ্টি হয় বলে প্রতিটি আগ্নেয়গিরিই আগ্নেয় বা সঞ্চয়জাত পর্বতের উদাহরণ।
- এই পর্বত খাড়া ঢালযুক্ত হয়।
- বারংবার অগ্ন্যুৎপাতের ফলে আগ্নেয় পর্বতের উচ্চতা ক্রমশ বাড়তে পারে।
উপরোক্ত অংশ থেকে কোনো বিস্ময় থাকলে অবশ্যই নিচে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করুন। প্রশ্নের বিষয়টি নিজের কাছে সংরক্ষিত করার জন্য বা পরে অধ্যায়ন করার ক্ষেত্রে সরাসরি (PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।