আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই আজ আমরা ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করবো যে প্রশ্নটি পরীক্ষার জন্য খুবই উপযোগী। তাই এই প্রশ্নটি ছাত্রছাত্রীরা অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্জন করতে পারবে। “পৃথিবীর আকৃতি সম্পর্কে অতি প্রাচীনকালের মানুষের ধারণা” এই প্রশ্নটি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
পৃথিবীর আকৃতি সম্পর্কে অতি প্রাচীনকালের মানুষের ধারণা কেমন ছিল ?
প্রাচীনকালের মানুষেরা যত বেশি পৃথিবী পর্যটন করতে থাকলো ততই তাদের মাথায় যে চিন্তাটি এসে ভিড় করল তা হল – পৃথিবীটি দেখতে কেমন ! কিরকম তার আকার ? বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীর আকার নিয়ে সর্বপ্রথম মাথা ঘামান তিয়ান – সিয়া এর বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর আকৃতি সম্বন্ধে বিভিন্ন দেশে, বিভিন্ন যুগে, বিভিন্ন প্রকার ধারণা ছিল। যেমন
চিন বাসীদের ধারণা:
চিন সম্রাট ও তাঁর দেশবাসীরা চিনের নাম দিলেন ‘সি – হাই’ যার বাংলা অর্থ ‘চার সাগর’। অর্থাৎ তাঁরা মনে করতেন যে, চিনই হল সমগ্র পৃথিবী। এর বাইরে কোনো ভূখণ্ড নেই, আছে কেবল ভয়াবহ ড্রাগন ও অতিকায় মৎস্য সংকুল উত্তাল ঝঞ্ঝা সমুদ্র যার মাঝখানে প্রস্ফুটিত পদ্মের মত অবস্থান করেছে চিন দেশে।
প্রাচীন ভারতীয়দের ধারণা:
প্রাচীন ভারতের লোকেরা ভাবতেন, পৃথিবী একটি গোলার্ধ এবং তা ভর দিয়ে আছে চারটি দিগহস্তির উপর। আর দিগহস্তি গুলি দাঁড়িয়ে রয়েছে বিরাট একটি কূমের বা কচ্ছপের উপর। কচ্ছপ কার উপর দাঁড়িয়ে আছে তা নিয়ে আর সম্ভবত মাথা ঘামানো হয়নি। আর কিছু প্রাচীন ভারতীয় পন্ডিতদের অধিকাংশই মনে করতেন যে, পৃথিবী চ্যাপ্টা। তবে, চিনাদের ‘সরা – পিঠের’মত অতটা চ্যাপ্টা নয় অনেকটা বিশাল আকারের এক চ্যাপ্টা থালার মত। থালার ঠিক মাঝখানে আছে মেরু পর্বত। পর্বতের চারপাশে ঘুরছে চন্দ্র, সূর্য আর তারা। এই মতের পরেই তত্ত্ব জ্ঞানীদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় মতভেদ।
গ্রিকদের ধারণা:
ভূমধ্য সাগরের তীরে বসবাসকারী গ্রিকরা মনে করতেন যে পৃথিবী একটি বিশাল দ্বীপের ন্যায় এবং এই দ্বীপটিকে ঘিরে আছে আদি অন্তহীন এক উদ্বেল মহাসাগর। কিন্তু দ্বীপটির মধ্যভাগে রয়েছে এক সমুদ্র। তাদের ধারণায় এটি পৃথিবী এবং টেবিলের মতো পৃথিবীর প্রান্ত বা সীমা আছে। সেখান থেকে এক পা এগুলোই কোথায় যে পতন হবে তা জানা নেই। তখনকার দিনের মানুষেরা নৌকায় ভাসলে উপকূলের কাছাকাছি থাকতো, পড়ে যাওয়ার ভয়ে দূর সমুদ্রে পাড়ি দিত না।
ফিনিশীয়দের ধারণা:
ফিনিশীয় নাবিকদের মনে সর্বপ্রথম এই ধরনের উদয় ঘটে যে পৃথিবীর আকার কখনোই চাটুপিঠা বা সরাপিঠের মতো সমতল হতে পারে না, এর আকার অবশ্যই জলপূর্ণ রেকাবিতে বা থালাতে বসানো আর্ধেক আপেল বা কমলা লেবুর মতো হবে। এখানে জল হল সাগর, আর থালা বা রেকিবির থানার উপর ঠেসে দিয়ে রয়েছে নীল রঙের বিশাল এক উল্টানো গামলা বা আকাশ। এরপরে পৃথিবীর গোলীয় আকৃতির ধারণা তৈরি হয়।
উপরোক্ত অংশ থেকে কোনো আক্ষেপ থাকলে অবশ্যই নিচে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি আপনার কোনো সাহায্যে লাগলে আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করে তাদের সাহায্য করুন। প্রশ্নের বিষয়টি পরে অধ্যায়ন করার জন্য বা নিজের কাছে সংরক্ষিত করার জন্য সরাসরি (PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।