আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই, আজ আমরা অধ্যায়ন করবো ভূগোলের একটি গুরত্বপূর্ন প্রশ্ন নিয়ে যে প্রশ্নটি পরীক্ষার জন্য খুবই উপযোগী। এই প্রশ্নটি অধ্যায়ন করলে ছাত্রছাত্রীরা খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্জন করতে পারবে। খরার সংজ্ঞা ও খরার প্রকারভেদ এই প্রশ্নটি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
Advertisement
খরার সংজ্ঞা ও খরার প্রকারভেদগুলি লেখো ?
সংজ্ঞা:
স্বাভাবিক থেকে কম বৃষ্টি হলে বা একটানা বহুদিন ধরে বৃষ্টি না হলে যে অস্বাভাবিক শুষ্ক অবস্থার সৃষ্টি হয় তাকে খরা বলে।
খরার প্রকারভেদ:
তীব্রতা অনুসারে খরাকে দুটি শ্রেণিতে ভাগ করেছে
- চরম খরা (Severe Drought): গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের চেয়ে 50-75% কম হলে যে খরার সৃষ্টি হয় তাকে চরম খরা বলে।
- মধ্যম খরা (Medium Drought): গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের চেয়ে 25-50% এর কম হলে যে খরার সৃষ্টি হয়। তাকে মধ্যম খরা বলে। এছাড়া খরাকে অন্যান্য যেসব ভাগে ভাগ করা যায় সেগুলি হল – স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের 75% বৃষ্টি হলে খরা বলা যায়।
- প্রবল খরা: স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের 60% হলে প্রবল খরা বলে।
- কৃষিজ খরা: মাঠের ফসল যখন শুকিয়ে খরায় নষ্ট হয়ে যায় তখন কৃষিজ খরা বলে।
- জলজ খরা: আবহাওয়াজনিত খরা দীর্ঘদিন ধরে চললে ভূগর্ভ ও ভূপৃষ্ঠের জল কমে গেলে তাকে জলজ খরা বলে।
- শুষ্ক পর্ব: এক নাগাড়ে পনেরো দিন ধরে মোট বৃষ্টির পরিমাণ যদি মাত্র 0.4 মিলিমিটারের কম হয় তা হলে সেই অবস্থাকে শুষ্ক পর্ব’ বা ‘ড্রাই স্পেল’ বলে।
- আংশিক খরা: বছরের যে সময় বৃষ্টি হওয়ার কথা সেই সময়ে একটানা 29 দিন ধরে যদি গড়ে দৈনিক 0-2 মিলিমিটারের কম বৃষ্টি হয় তবে সেই অবস্থাকে ‘আংশিক খরা’ বা ‘পারসিয়াল ড্রাউট’ বলে।
- পরিপূর্ণ খরা: বর্ষাকালে একনাগাড়ে কম করে 15 দিন যদি কোনো বৃষ্টি না হয় তবে তাকে ‘পরিপূর্ণ খরা পরিস্থিতি’ বা ‘অ্যাবসোলিউট ড্রাউট’ বলে।
উপরোক্ত অংশ থেকে কোনো আক্ষেপ থাকলে অবশ্যই মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি আপনার পছন্দ হলে আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করতে ভুলবেন না। প্রশ্নটি পরে অধ্যায়ন করার ক্ষেত্রে বা নিজের কাছে সংরক্ষিত করার জন্য সরাসরি (PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।