হিমবাহের ক্ষয়,বহন ও অবক্ষেপণ পদ্ধতি ?

0
হিমবাহের ক্ষয়,বহন ও অবক্ষেপণ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করো ?

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই, আজ আমরা ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করবো যে প্রশ্নটি পরীক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই উপযোগী এবং এই প্রশ্নটি তারা গুরত্ব সহকারে অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্জন করতে পারবে। হিমবাহের ক্ষয় বহন ও অবক্ষেপণ পদ্ধতি এই প্রশ্নটি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

Advertisement

হিমবাহের ক্ষয়,বহন ও অবক্ষেপণ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করো ?

হিমবাহের ক্ষয়কার্য:

হিমবাহ দুটি পদ্ধতিতে ক্ষয়কার্য করে

  1. উৎপাটন পদ্ধতি: হিমবাহের প্রবাহপথে শিলাখণ্ড উঠে থাকলে হিমবাহের চাপে ওই শিলাখণ্ড ক্রমশ আলগা হয়ে যায়। পরে শিলাখণ্ড উৎপাটিত হয় ও ক্ষয় হয়। এইভাবে শিলাখণ্ড সহজেই পর্বতগাত্র থেকে বিচ্ছিন্ন হয়। একে উৎপাটন পদ্ধতি বলে। 
  2. অবঘর্ষ পদ্ধতি: উৎপাটিত শিলাখণ্ড গুলিকে হিমবাহ বয়ে নিয়ে চলে। এগুলি দ্বারা উপত্যকার তলদেশ ও পর্বতগাত্র ক্ষয় হয়, মসৃণ হয়। কখনও আঁচড় কাটার মতো দাগ পড়ে। শিলাখণ্ড গুলিরও ক্ষয় হয়। একে অবঘর্ষ পদ্ধতি বলে।
  3. হিমবাহের বহন ও অপসারণ: হিমবাহের সঙ্গে বিভিন্ন আকৃতির নুড়ি, বালি, শিলাখণ্ড ইত্যাদি একই সঙ্গে পরিবাহিত হয়। হিমবাহ তার দু-পাশে, অগ্রভাগে ও তলদেশে এই পদার্থগুলি বহন করে। একে হিমবাহের বহন বা অপসারণ বলে।
  4. অবক্ষেপণ: হিমবাহ বিভিন্ন ক্ষয়জাত পদার্থ কখনও পার্বত্য উপত্যকায় কিছু পরিমাণে সঞ্চয় করে। হিমবাহ তার অধিকাংশ সঞ্চয় কাজ করে পর্বতের নিম্নাংশে ও নিম্নভূমিতে। হিমবাহ থেমে গেলেই সেখানে অবক্ষেপণ ঘটতে থাকে।

উপরের প্রস্নোধৃত অংশ থেকে কোনো আক্ষেপ থাকলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি পছন্দ হলে আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করুন। এই প্রশ্নের বিষয়টি পরে অধ্যায়ন করার জন্য বা নিজের কাছে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য সরাসরি পিডিএফ (PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।