অবক্ষেপণ কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপ ?

0
হিমবাহের অবক্ষেপণ কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপ এর বর্ণনা দাও ?

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই, আজ আমরা ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করবো যে প্রশ্নটি পরীক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই উপযোগী এবং এই প্রশ্নটি তারা গুরত্ব সহকারে অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্জন করতে পারবে। হিমবাহের অবক্ষেপণ কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপ এই প্রশ্নটি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

Advertisement

হিমবাহের অবক্ষেপণ কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপ এর বর্ণনা দাও ?

হিমবাহ ও জলের মিলিত কার্যের ফলে বেশ কয়েকটি ভূমিরূপ গড়ে ওঠে। এগুলি হলো

  1. বহিঃধৌত সমভূমি: পর্বতের নিম্নাংশে হিমবাহগলা জল, বালি, কাদা, প্রস্তরখণ্ড প্রভৃতি সঞ্চিত হয়। বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে এই সঞ্চয় ঘটে। একে বহিঃধৌত সমভূমি বলে। বহিঃধৌত সমভূমি নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন হলে তাকে ভ্যালি ট্রেন বলে।
  2. ড্রামলিন: হিমবাহ প্রভাবিত নিম্ন অঞ্চলে প্রধানত টিল, নুড়ি, প্রস্তরখণ্ড দ্বারা গঠিত ওলটানো নৌকা বা চামচ আকৃতির টিল বা ঢিবিকে ড্রামলিন বলে। আকাশ থেকে দেখলে ড্রামলিন গুলিকে ঝুড়িভরতি ডিমের মতো ভূমিরূপ দেখায় তাই একে ‘Basket Of Eggs Topography’ বলে। একসঙ্গে ড্রামলিন অনেকগুলি করে থাকে। ড্রামলিন হিমগ্রাবের অবক্ষেপণে গঠিত হয়। ড্রামলিনের ঢাল হিমবাহের উজানের দিকে খাড়াই হয়, ভাটির দিকে মৃদু হয়। ড্রামলিন বহুল অঞ্চল স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ডসহ উত্তর ইউরোপে প্রচুর ড্রামলিন দেখা যায়।
  3. কেম: গতিহীন বরফের প্রান্তভাগ থেকে উৎপন্ন নদী দ্বারা গঠিত পিণ্ডাকৃতির ঢিবিকে কেন বলে। হিমবাহের প্রান্তভাগ সরে গেলে উপত্যকায় সঞ্চিত পলল শঙ্কু বসে গিয়ে কেম গড়ে ওঠে। আবার উপত্যকার দু-পাশে কেম গড়ে উঠলে তাকে কেম-সোপান বলে। ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের নরফোকের গ্লাভেন উপত্যকায় কেম ও কেম-সোপান দেখা যায়।
  4. এসকার: অধিকাংশ হিমবাহের তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত নদীর খাতে কাদা, বালি, নুড়ি ইত্যাদি সঞ্চিত হয়ে যে দীর্ঘ সংকীর্ণ, আঁকাবাঁকা শৈলশিরা গঠিত হয়, তাকে এসকার বলে। বরফ গলে গেলে এসকার দেখা যায়। এসকারের দু-দিকেই হ্রদ বা জলাভূমি দেখা যায়। ফলে এসকারগুলি উঁচু রাস্তার মতো কাজ করে। 
  5. কেটল: বহিঃধৌত সমভূমির কোনো ফাটলে গতিহীন বরফ অবস্থান করে। এই বরফের চাঁই মাঝে মধ্যেই অবক্ষেপের মধ্যে চাপা পড়ে যায় । পরে বরফ গলে গেলে ভূপৃষ্ঠে গর্ত সৃষ্টি হয়। এরূপ গর্তকে কেটল বলে। কেটল-এ জল জমে সৃষ্ট হ্রদ হলো কেল হ্রদ। কেটল হ্রদের তলদেশে সঞ্চিত পলিকে ভাব বলে। কেটল গুলির মাঝের উঁচু স্থানগুলিকে নব বলে।

উপরের প্রস্নোধৃত অংশ থেকে কোনো আক্ষেপ থাকলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি পছন্দ হলে আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করুন। এই প্রশ্নের বিষয়টি পরে অধ্যায়ন করার জন্য বা নিজের কাছে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য সরাসরি পিডিএফ (PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।