আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই, আজ আমরা ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো যে বিষয়টি ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই বিষয়টি তারা অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্যন করতে পারবে। ‘V’ – আকৃতির নদী উপত্যকা ও গিরিখাত কি এই বিষয়টি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
‘V’ – আকৃতির নদী উপত্যকা এবং গিরিখাত কি?
‘V’ – আকৃতির নদী উপত্যকা (‘V’ – Shaped River Valleys):
সংজ্ঞাঃ
পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রখর স্রোতের দ্বারা বাহিত প্রস্তরখন্ডের (Boulders) সাথে নদীপার্শ্ব ও নদীগর্ভের সংঘর্ষের ফলে নদী শিলাস্তরকে দ্রুত ক্ষয় করতে থাকে । এর ফলে নদী উপত্যকা ক্রমশ: ইংরাজি ‘V’ – অক্ষরের মত আকৃতি ধারণ করে । একে ‘V’ – আকৃতির নদী উপত্যকা (‘V’ – Shaped River Valleys) বলে ।
উদা:
শতদ্রু, সিন্ধু, তিস্তা প্রভৃতি নদ-নদীর হিমালয়ে পার্বত্য গতিপথে এইরকম ‘V’ – আকৃতির নদী উপত্যকা গড়ে উঠেছে ।
বৈশিষ্ট্য:
‘V’ – আকৃতির নদী উপত্যকা – র বৈশিষ্ট্যগুলি হলো নিম্নরূপ
- এইপ্রকার নদী উপত্যকা সাধারণত নদীর উর্দ্ধপ্রবাহে বা পার্বত্য প্রবাহে দেখা যায় ।
- এই উপত্যকার উভয় পার্শ্বস্থ ঢাল নদী ও আবহবিকারের যৌথকার্যের ফলে গড়ে ওঠে ।
- কঠিন শিলায় গঠিত অঞ্চলে উপত্যকার ঢাল খুবই খাড়াই হয় এবং নরম শিলাগঠিত অঞ্চলে শিলার দ্রুত ক্ষয় প্রাপ্তির ফলে এটি কম ঢালযুক্ত হয় ।
- অনেকসময় ‘I’ – আকৃতির নদী উপত্যকার পার্শ্বদ্বয় ধ্বস, বৃষ্টিপাতজনিত ক্ষয় বা আবহবিকারের ফলে ক্ষয় পেতে থাকে এবং কালক্রমে তা ‘V’ – আকৃতির উপত্যকার রূপ নেয় ।
গিরিখাত (Gorges):
সংজ্ঞাঃ
‘V’ – আকৃতির নদী উপত্যকা ক্রমশ: খুব গভীর ও তীরভাগ খুব খাড়াই হলে, তাকে গিরিখাত (Gorges) বলে ।
উদা:
পেরুর কলকা নদীর গিরিখাত (প্রায় ৪০৭৫ মিটার), নেপালের কালিগন্ডকি নদীর গিরিখাত (অংশবিশেষে ৫০০০ মিটারেরও বেশী), চীনের ইছাং নদীর গিরিখাত, শতদ্রু নদীর গিরিখাত (তিব্বত থেকে ভারতে প্রবেশ করার সময় প্রায় ৫০০০ মিটার), আল্পসের রাইন ও রোন নদীর গিরিখাত প্রভৃতি ।
বৈশিষ্ট্য:
গিরিখাত – এর বৈশিষ্ট্যগুলি হলো নিম্নরূপ
- গিরিখাত মূলত নদীর উর্দ্ধ প্রবাহ বা পার্বত্য প্রবাহে গড়ে ওঠে ।
- গিরিখাত খুবই গভীর ও সংকীর্ণ প্রকৃতির হয় ।
- গিরিখাতের দুই পাশের দেওয়াল শিলাগঠিত ও খাড়াই প্রকৃতির হয় ।
- মূলত আর্দ্র জলবহুল অঞ্চলে সৃষ্টি হয় ।
- ‘V’ – আকৃতির নদী উপত্যকাই ক্রমশ: আরও গভীর ও খাড়াই হয়ে গিরিখাতের রূপ নেয় ।
- আবহবিকার দ্বারা নদী উপত্যকার উভয়পার্শ্বস্থ ঢালের ক্ষয়কার্য যখন নদীর দ্রুত নিম্নক্ষয়ের সাথে সামঞ্জস্য রাখতে পারে না, তখনই নদীতে গিরিখাত সৃষ্টি হয় ।
- আবার ভূ-আন্দোলনের ফলে যদি কোনো অঞ্চল উত্থিত হয়, তবে সেই অঞ্চলে নদী পুনর্যৌবনলাভ (Rejuvenation) করে তার প্রধান উপত্যকাকে আরও গভীরভাবে ক্ষয় করে সুগভীর গিরিখাত গঠন করে থাকে । পৃথিবীর বহু গিরিখাত এইভাবে উত্থিত ভূমিভাগের সাথে সামঞ্জস্য রেখে নদীর দ্রুত নিম্নক্ষয়ের ফলে গড়ে উঠেছে [উদাঃ সিন্ধু ও ব্রক্ষ্মপুত্র নদের গিরিখাত] ।
উপরের বিষয়টি থেকে কোনো প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই নিচে মন্তব্য করুন এবং বিষয়টি আপনার পছন্দ হলে আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করুন। বিষয়টি পরে অধ্যায়ন করার জন্য বা নিজের কাছে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য সরাসরি পিডিএফ (PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।
supper nice
ধন্যবাদ । সাথে থাকুন……
khub valo kora daua a6a sir tai Thanks
Khub valo lege6e
ধন্যবাদ
Thank you dada
Comments are closed.