সম্পদ বলতে কী বোঝায় এবং সম্পদের বৈশিষ্ট্য ?

0
সম্পদ বলতে কী বোঝায় এবং সম্পদের বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী ?

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই, আজ আমরা ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করবো যে প্রশ্নটি ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রশ্নটি তারা অধ্যায়ন করলে খুব সহজেই পরীক্ষায় ভালো নম্বর অর্জন করতে পারবে। সম্পদ বলতে কী বোঝায় এবং সম্পদের বৈশিষ্ট্য এই প্রশ্নটি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

Advertisement

সম্পদ বলতে কী বোঝায় এবং সম্পদের বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী ?

সম্পদ:

সম্পদকে ইংরাজিতে ‘Resource’ বলা হয়। শব্দটি Re (পুনরায় বা বারবার) ও Source (উৎস) শব্দ দুটি থেকে উদ্ভূত। অর্থাৎ, যে সব উৎস মানুষের চাহিদা বা অভাব মোচন করে তা হল সম্পদ।

 সংজ্ঞা:

যে সব উপাদান মানুষের চাহিদা বা অভাব মোচন করে তাদের সাধারণভাবে সম্পদ বলে। কোনো বস্তু বা পদার্থকে সম্পদ বলা হয় না, ওই বস্তু বা পদার্থের চাহিদা পূরণের ক্ষমতাকে সম্পদ বলা হয়ে থাকে। আবার ওই বস্তুর কেবলমাত্র চাহিদা পূরণ করার ক্ষমতা থাকলেই চলবে না, ওই বস্তুর ব্যবহার যোগ্যতা থাকাও দরকার। সুতরাং, কোনো বস্তুর কার্যকারিতাই তাকে সম্পদে পরিণত করে।

অধ্যাপক জিমারম্যানের ভাষায়, “সম্পদ বলতে কোনো বস্তু বা পদার্থকে বোঝায় না, বোঝায় কোনো কার্যকাদ্দিরতাকে, যা মানুষের চাহিদা নিবৃত্তকরণে ওই বস্তু বা পদার্থ সংঘটিত করতে পারে। সম্পদ হচ্ছে, মানুষের অভাব মোচনের উপযোগী বস্তু বা পদার্থের কার্যকারিতা, নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণের উপায়।” আবার অর্থনীতিবিদ নলেজ এবং ওয়ারিং-এর মতে, “সম্পদ হল পৃথিবীর সেই সব উপাদান যা মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় বা আবশ্যক।”

পরিশেষে বলা যায় যে, কোনো নির্দিষ্ট স্থান ও কালের গণ্ডির মধ্যে যে বস্তু বা অবস্তুর কার্যকারিতা মানুষের ব্যক্তিগতচাহিদা পুরণ করে, সামাজিক উদ্দেশ্য সাধন করে, জীবমণ্ডলকে সংরক্ষণ করে তাকে সম্পদ বলা হয়।

উদাহরণ:

  1. বহুযুগ ধরে মাটির নীচে খনিজ পদার্থ যেমন – কয়লা, লোহা, তামা, খনিজ তেল প্রভৃতি সঞ্চিত ছিল। মানুষ যখন এগুলির ব্যবহার শিখল অর্থাৎ মানুষের চাহিদা পূরণ করল তখনই সেগুলি সম্পদ হিসাবে গণ্য হতে থাকল। কয়লা, খনিজ তেল সম্পদ নয়, এগুলির তাপ উৎপাদন করার ক্ষমতাই হল সম্পদ ।
  2. কোনো পতিত জমি যেখানে কোনো চাষ হয় না, সেটি সম্পদ নয়। আবার যে জমিতে চাষ হয়, ফসল উৎপাদিত হয় এবং যে ফসল মানুষের খাদ্যের অভাব মোচন করে তখন ওই জমি সম্পদ হিসাবে গণ্য হয়।
  3. কোনো বস্তু ছাড়াও অবস্তু বা স্পর্শযোগ্য নয়, বা অদৃশ্য যা দেখা যায় না তাও সম্পদ হতে পারে। যেমন – মানুষের জ্ঞান, বুদ্ধি, কৌশল প্রভৃতি।


সম্পদের বৈশিষ্ট্য:

কোনো বস্তুর নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি থাকলে তবে তাকে সম্পদ হিসাবে গণ্য করা হবে

  1. বস্তুর কার্যকারিতা: বস্তুর বা পদার্থের কাজ করার ক্ষমতা থাকতে হবে।
  2. বস্তুর উপযোগিতা: বস্তুর অভাব মোচন করার ক্ষমতা থাকবে হবে।
  3. সর্বত্র গ্রহণ যোগ্যতা: ওই বস্তু বা অবস্তু সর্বত্র গ্রহণযোগ্য হতে হবে।
  4. সর্বজনীনতা: বস্তুটির সর্বজনীন চাহিদা থাকতে হবে।
  5. ব্যবহার যোগ্যতা: বস্তুটিকে ব্যবহার বা প্রয়োগের উপযুক্ত হতে হবে।
  6. সীমাবদ্ধতা: কতকগুলি সম্পদ ছাড়া বস্তুটির ব্যবহারের সীমাবদ্ধতা থাকতে হবে।
  7. আহরণযোগ্যতা: বস্তুটির অবশ্যই আহরণযোগ্যতা থাকবে।
  8. গুরুত্ব: যে বস্তুর ব্যবহার ও পরিষেবা যত বেশি হয়, তা তত বেশি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসাবে গণ্য হবে।
  9. গতিশীলতা: গতিশীলতা সম্পদের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য, অর্থাৎ জ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতির মাধ্যমে সম্পদ আরো উন্নততর হয় এবং আরো অনেকভাবে ব্যবহার করা যায়।
  10. একমুখী বা বহুমুখী উপযোগিতা: সম্পদের কার্যকারিতা ও উপযোগিতা একমুখী বা বহুমুখী হতে পারে।

উপরোক্ত অংশ থেকে কোনো আক্ষেপ থাকলে অবশ্যই নিচে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করুন। প্রশ্নের বিষয়টি নিজের কাছে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য বা পরে অধ্যায়ন করার জন্য সরাসরি পিডিএফ (PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।