আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই, আজ আমরা ভূগোলের একটি গুরত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি যে বিষয়টি পরীক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়টি তারা অধ্যায়ন করলে খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্জন করতে পারবে। পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন সমভূমি অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি এই বিষয়টি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন সমভূমি অঞ্চলের ভূপ্রকৃতির সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও ?
সুন্দরবন অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি:
অবস্থান: উত্তর ও দক্ষিণ 24 পরগণা জেলার দক্ষিণে এক বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে সবুজ বনভূমি দেখা যায়। এই বনভূমিতে বিভিন্ন ধরনের বৃক্ষের মধ্যে ‘সুন্দরী’ বৃক্ষের আধিক্য বেশি বলে এর নাম দেওয়া হয়েছে সুন্দরবন। দক্ষিণ 24 পরগণার 15 থানা নিয়ে এই অঞ্চলটি গঠিত। এই থানাগুলি হল – ক্যানিং, জয়নগর, গোসাবা, হাসনাবাদ, বাসন্তী, হাড়োয়া, মথুরাপুর, কুলতালি, পাথরপ্রতিমা, কাক দ্বীপ, সাগরদ্বীপ, মীনাখা, সন্দেশখালি, নামখানা ও হিঙ্গলগঞ্জ।
ভূপ্রকৃতি: ম্যানগ্রোভ বনভূমি আচ্ছাদিত সুন্দরবন অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি যথেষ্ট বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। এই অঞ্চলের ভূপ্রাকৃতিক প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল
- উৎপত্তি: অসংখ্য ছোটো বড়ো দ্বীপ বা বদ্বীপের সমন্বয়ে এই সুন্দরবন অঞ্চলটি গঠিত। অগভীর সমুদ্রবক্ষে নদীবাহিত পলি সঞ্চিত হয়ে এই সব বিভিন্ন আকৃতি বিশিষ্ট দ্বীপের সৃষ্টি হয়েছে।
- নতুন নতুন দ্বীপের সৃষ্টি: যেহেতু অঞ্চলটি গঙ্গা বদ্বীপের সক্রিয় অংশ, তাই এখানে বদ্বীপ গঠনের কাজ এখনো চলছে। এর ফলে সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের বুক থেকে নতুন নতুন দ্বীপও জেগে উঠছে। যেমন— সম্প্রতি ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে জেগে ওঠা নতুন দ্বীপের ভারত নাম রাখে নিউমূর বা পূর্বাশ। বাংলাদেশ এই দ্বীপের নাম রাখে তালপট্টি।
- উচ্চতা: সুন্দরবন অঞ্চলে অবস্থিত দ্বীপগুলি নবগঠিত বলে এখানে ভূমির উচ্চতা খুবই কম। গড়ে মাত্র 2-4 মিটার।
- জোয়ারের প্রভাব: ভূমির উচ্চতা কম বলে প্রতিদিন জোয়ারের সময় বঙ্গোপসাগরের লোনা জল অসংখ্য নদীনালা দিয়ে এই অঞ্চলে প্রবেশ করে। এজন্য এখানকার ভূমি সারাবছর ভিজে বা আর্দ্র বা লবণাক্ত থাকে।
- বাঁধ নির্মাণ: সমুদ্রের লোনা জল থেকে জমি রক্ষা করার জন্য অনেক দ্বীপেই নদীর পাড় বরাবর উঁচু বাঁধ দেওয়া হয়েছে।
- লোনা জলের প্রভাব থেকে মুক্ত: অনেক স্থানে উঁচু বাঁধ দিয়ে সুন্দরবনের প্রায় অর্ধেক এলাকা সমুদ্রের বা নদীর লোনা জলের হাত থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
- ঢাল: সমগ্র অঞ্চলটি উত্তর থেকে ধীরে ধীরে দক্ষিণে ঢালু হয়ে সমুদ্রে মিশেছে।
- দ্বীপ বা চরের সৃষ্টি: এই অঞ্চলের প্রতিটি নদীই খাল দ্বারা পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত বলে অসংখ্য দ্বীপের বা চরের সৃষ্টি হয়েছে। সাগর দ্বীপ, কলসদ্বীপ, ফ্রেজারগঞ্জ, হলিডে, লোথিয়াস, বালুচরী, ডালহৌসি প্রভৃতি এখানকার উল্লেখযোগ্য দ্বীপ বা চর।
উপরোক্ত অংশ থেকে কোনো আক্ষেপ থাকলে অবশ্যই নিচে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি পছন্দ হলে আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করুন। বিষয়টি নিজের কাছে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য বা পরে অধ্যায়ন করার জন্য সরাসরি পিডিএফ(PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।