মাটির শ্রেণিবিভাগ ?

0
উৎপত্তি অনুসারে মাটির শ্রেণিবিভাগ করো ?

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই, আজ আমরা ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করবো যে প্রশ্নটি পরীক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই উপযোগী এবং এই প্রশ্নটি তারা গুরত্ব সহকারে অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্জন করতে পারবে। উৎপত্তি অনুসারে মাটির শ্রেণিবিভাগ এই প্রশ্নটি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

Advertisement

উৎপত্তি অনুসারে মাটির শ্রেণিবিভাগ করো ?

মাটির শ্রেণিবিভাগ:

উৎপত্তি অনুসারে মাটি দু’ধরনের হয়, যেমন: স্থানীয় মাটি ও অপসৃত মাটি।

  1. স্থানীয় মাটি: প্রাকৃতিক পরিবর্তনের ফলে মাতৃশিলা থেকে উৎপন্ন মাটি যখন উৎপত্তিস্থলেই স্থিতিলাভ করে তখন তাকে স্থানীয় মাটি বা স্থিতিশীল মাটি বলে। এই ধরনের মাটি উপরের স্তরের কণাগুলো সূক্ষ্ম হয় কিন্তু নীচের স্তরগুলিতে মাটির কণাগুলো ক্রমশ মোটা হতে শুরু করলেও মাটির বিভিন্ন স্তরের মূল উপাদান একই থাকে।
  2. অপসৃত মাটি: যেসব মাটি বায়ুপ্রবাহ, তুষারপ্রবাহ, জলপ্রবাহ, বৃষ্টিপাত প্রভৃতি প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা পরিবাহিত হয়ে তাদের উৎস থেকে দূরবর্তী স্থানে সঞ্চিত হয়, তাদের পরিবাহিত বা অপসৃত মাটি বলে। অপসৃত মাটি সাধারণত উর্বর হয়। এবং দূরবর্তী অন্য স্থান থেকে আসার জন্য অপসৃত মাটির মূল ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম তাদের নীচে থাকা শিলাস্তর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয়।

মাটির প্রকারভেদ: অপসৃত মাটি নানা ধরনের হতে পারে, যেমন: কোনো স্থানের মাটি বায়ুপ্রবাহ দ্বারা পরিবাহিত হয়ে দূরবর্তী স্থানে সঞ্চিত হলে তাকে লোয়েস মাটি এবং জলপ্রবাহ দ্বারা পরিবাহিত হলে তাকে পলিমাটি বলে।

গঠন অনুসারে মাটির শ্রেণিবিভাগ: গঠন অনুসারে মাটিকে নুড়ি, বালি, পলি এবং কাদা- এই চারটি ভাগে ভাগ করা যায়। পলি মাটিকে আবার আবার তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যথা:

  • দোঁয়াশ মাটি, (এই মাটিতে বালি ও কাদা প্রায় সমপরিমাণ থাকে)।
  • এঁটেল মাটি (এই মাটিতে কাদার ভাগ বেশি)।
  • বেলেমাটি (এই মাটিতে বালির ভাগ বেশি)।

উপরের প্রস্নোধৃত অংশ থেকে কোনো আক্ষেপ থাকলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি পছন্দ হলে আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করুন। এই প্রশ্নের বিষয়টি পরে অধ্যায়ন করার জন্য বা নিজের কাছে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য সরাসরি পিডিএফ (PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।