গ্যাসীয় বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা ?

0
কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা সম্মতি লেখো ?

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই, আজ আমরা ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করবো যে প্রশ্নটি পরীক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই উপযোগী এবং এই প্রশ্নটি তারা গুরত্ব সহকারে অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্জন করতে পারবে। কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা এই প্রশ্নটি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

Advertisement

কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা সম্মতি লেখো ?

আমরা যে কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় বর্জ্য ব্যবহার করি তা সুপরিকল্পনার মাধ্যমে বর্জ্যের ক্ষতিকর প্রভাব কমিয়ে দিতে পারে। তোমরা একে একে এগুলি জেনে নাও-

  1. বর্জ্য পৃথকীকরণ প্রকৃতিতে যেসব বর্জ্য রয়েছে সেগুলিকে প্রতিক্রিয়া অনুযায়ী দু-ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন- 
    • জৈব ভঙ্গুর (Biodegradable) বর্জ্য পদার্থ: যে সকল বর্জ্য আমরা ফেলে দেওয়ার পর খুব তাড়াতাড়ি জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়া দ্বারা মাটিতে মিশে যায় তারা হলো জৈব ভঙ্গুর বর্জ্য পদার্থ। যেমন- কৃষি ও গৃহস্থালির বর্জ্য এই শ্রেণির বর্জ্য।
    •  জৈব অভঙ্গুর (Non-Biodegradable) বর্জ্য পদার্থ: যে সকল বর্জ্য দীর্ঘদিন মাটিতে থাকার পরেও কোনোরকম পরিবর্তন হয় না বা বিশ্লিষ্ট হয় না, তারা হলো জৈব অভঙ্গুর বর্জ্য পদার্থ। এই বর্জ্য খুবই ভয়ংকর। যেমন- প্লাস্টিক, ডিডিটি, ধাতব বর্জ্য, রাসায়নিক বর্জ্য প্রভৃতি এই শ্রেণির বর্জ্য। কোনো অঞ্চল বা এলাকায় প্রাপ্ত সমস্ত বর্জ্যকে একসঙ্গে জড়ো করা হয়। যেগুলি জৈব ভঙ্গুর সেগুলি সবুজ ঝুড়িতে ও যেগুলি জৈব অভঙ্গুর সেগুলি নীল ঝুড়িতে রাখা হয়। কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এই পদ্ধতি গ্রহণ করা খুবই সহজসাধ্য ।
  2. ভরাটকরণ (Landfill): বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি হলো ভরাটকরণ। এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন বর্জ্য ও আবর্জনা মাটির নীচে গর্ত করে সঞ্চয় করা হয়। এটি স্বাস্থ্যসম্মত ভূমি ভরাটকরণ বা স্যানিটারি ল্যান্ডফিল নামে পরিচিত।
  3.  সুবিধা: স্বাস্থ্যসম্মত ভূমি ভরাটকরণ পদ্ধতির নানা সুবিধা রয়েছে। যেমন-
    • এর ফলে আবর্জনা বা বর্জ্য বিনষ্ট করা সম্ভব হয়।  
    • চাপা দেওয়া আবর্জনা জৈব সারে পরিণত হয়।
    • বর্জ্যের বিয়োজনের ফলে মিথেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড, হাইড্রোজেন সালফাইড ইত্যাদি গ্যাস উৎপন্ন হয়। এই গ্যাসগুলিকে ল্যান্ডফিল গ্যাস বলে। এই গ্যাসকে তাপ উৎপাদন বা গৃহস্থালির কাজে ব্যবহার করা হয়। সতর্ক থাকতে হবে এই ক্ষতিকর গ্যাস যেন বায়ুতে মিশে না যায় ।
  4. নিষ্কাশন বা নিকাশি (Drainage ): তরল জাতীয় বর্জ্য পদার্থ ব্যবস্থাপনায় এই নিষ্কাশন পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হয়। সাধারণত লৌহ-ইস্পাত, পেট্রোরসায়ন জাতীয় শিল্পের বিভিন্ন রাসায়নিক মিশ্রিত জল মাটির নীচে পাইপ বসিয়ে সেটি কোনো স্থানে নিষ্কাশিত করে মাটির মধ্যে গর্ত করে জমা করা হয়। এ ছাড়াও বিভিন্ন কলকারখানা থেকে নির্গত দূষিত জল ও বর্জ্য পদার্থকে অপসারিত করার পর তা নদী বা জলাশয়ে ফেলা হয়।
  5. স্ক্রাবার (Scrubber): বিষাক্ত গ্যাসীয় বর্জ্য নির্গমন বন্ধ করার একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র (Device) হলো স্ক্রাবার । স্ক্রাবার যন্ত্রে দুভাবে বর্জ্য নিষ্কাশন করা হয় । যেমন-
  6. আর্দ্র স্ক্রাবিং (Wetscrubbers): বিভিন্ন শিল্পাঞ্চল থেকে যে বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হয় তাকে আর্দ্র স্ক্রাবিং পদ্ধতিতে শোধন করা হয়। এই পদ্ধতিতে কোনো ধোঁয়া, গ্যাস ও ধূলিকণাসহ নানা দূষক পদার্থকে একটি জলীয় দ্রবণের মধ্যে চালনা করা হয়। ফলে বিশুদ্ধ বাতাস নির্গত হয়। ও শুল্ক স্ক্রাবিং (Dry Scrubbers ) ; জলীয় দ্রবণ ছাড়াই এই স্ক্রাবিং করা হয়। সাধারণত অম্লধর্মী গ্যাস (যেমন—SO2 ও HCI) অপসারণ করতে এই শুষ্ক স্ক্রাবিং পদ্ধতি গ্রহণ করা হয় ।

উপরের প্রস্নোধৃত অংশ থেকে কোনো আক্ষেপ থাকলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি পছন্দ হলে আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করুন। এই প্রশ্নের বিষয়টি পরে অধ্যায়ন করার জন্য বা নিজের কাছে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য সরাসরি পিডিএফ (PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।