দ্রাঘিমার সঙ্গে সময়ের সম্পর্ক ?

0
দ্রাঘিমার সঙ্গে সময়ের সম্পর্ক ব্যাখ্যা করো ?

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই আজ আমরা ভূগোলের একটি গুরত্বপূর্ন প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করবো যে প্রশ্নটি ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই উপযোগী এই প্রশ্নটি তারা অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্জন করতে পারবে। দ্রাঘিমার সঙ্গে সময়ের সম্পর্ক এই প্রশ্নটি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

Advertisement

দ্রাঘিমার সঙ্গে সময়ের সম্পর্ক ব্যাখ্যা করো ?

উত্তর দ্রাঘিমার সঙ্গে সময়ের সম্পর্ক:

পৃথিবী তার নিজ অক্ষের চারদিকে অনবরত বিরামহীনভাবে আবর্তন করে চলেছে। এই আবর্তনজনিত কারণে পৃথিবীর প্রতিটি স্থান সূর্যের অবস্থানের সাপেক্ষে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে সরে যাচ্ছে। ফলে পৃথিবীর এই ঘূর্ণন তথা আবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সময়ের পার্থক্য ঘটে চলেছে। সুতরাং দ্রাঘিমার সঙ্গে সময়ের সম্পর্ক অতি সুনিবিড়।

দ্রাঘিমার সাহায্যে মধ্যাহ্ন ও স্থানীয় সময় নির্ধারণ:

পৃথিবীর যে-কোনো স্থানে দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে সূর্যের সর্বোচ্চ উন্নতি লক্ষ করা যায়। সূর্যের সর্বোচ্চ উন্নতির সময় অর্থাৎ মধ্যাহ্ন সূর্যের অবস্থানের সময়কে দুপুর ধরা হয়ে থাকে। দ্রাঘিমা অনুসারে নির্ধারিত ওই মধ্যাহ্নের বা দুপুর 12 টার ভিত্তিতে দিনের যে অবশিষ্ট সময় নির্ধারণ করা হয় তাকে স্থানীয় সময় বলে।

প্রতি 1° দ্রাঘিমার পার্থক্যে সময়ের পার্থক্য হয় 4 মিনিট:

পৃথিবী তার নিজ অক্ষকে বেষ্টন করে এক পাক আবর্তন করতে অর্থাৎ 360° পথ অতিক্রম করতে সময় লাগে প্রায় 24 ঘন্টা। তাই, 1° দ্রাঘিমার পার্থক্যে সময়ের পার্থক্য হয় (24 × 60 মিনিট + 360° = 4 মিঃ) 4 মিনিট বা 15° তে 1 ঘন্টা। সুতরাং পৃথিবীর আবর্তনের কারণে 4 মিনিট সময়ের জন্য দ্রাঘিমার পার্থক্য হয় 1° বা 1 ঘন্টায় 15°। ফলে সময়ের সঙ্গে দ্রাঘিমার এবং দ্রাঘিমার সঙ্গে সময়ের সম্পর্ক অতি নিবিড়।

দ্রাঘিমার পার্থক্যে সময় বাড়া বা কমা:

পৃথিবী সর্বদা পশ্চিম থেকে পূর্বে আবর্তন করছে বলে কোনো স্থান কোনো নির্দিষ্ট স্থানের পূর্বদিকে অবস্থান করলে সময় বাড়ে। আবার কোনো স্থান ওই নির্দিষ্ট দ্রাঘিমারেখার পশ্চিমে অবস্থান করলে ওই স্থানের সময় কমে। পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্বে আবর্তন করে বলে একই স্থানে দিনের বিভিন্ন সময়ে সূর্যোদয়, মধ্যাহ্ন ও সূর্যাস্ত হয়। দ্রাঘিমার সঙ্গে সময়ের নির্দিষ্ট সম্পর্কের জন্যই –

  • যে-কোনো দুটি স্থানের সময়ের পার্থক্য জানা থাকলে ওই দুটি স্থানের দ্রাঘিমার পার্থক্য নির্ণয় করা যায়। 
  • যে-কোনো দুটি স্থানের দ্রাঘিমার পার্থক্য জানা থাকলে সময়ের পার্থক্য নির্ণয় করা যায়। 
  • যে-কোনো দুটি স্থানের একটির দ্রাঘিমা ও সময় এবং অন্যটির দ্রাঘিমা জানা থাকলে স্থানটির সময় নির্ধারণ সহজেই করা যায়।

উপরোক্ত অংশ থেকে কোনো বিস্ময় থাকলে অবশ্যই নিচে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করুন। প্রশ্নের বিষয়টি নিজের কাছে সংরক্ষিত করার জন্য বা পরে অধ্যায়ন করার ক্ষেত্রে সরাসরি (PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।