আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই, আজ আমরা ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করবো যে প্রশ্নটি পরীক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই উপযোগী এবং এই প্রশ্নটি তারা গুরত্ব সহকারে অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্জন করতে পারবে। দ্রাঘিমা কী এই প্রশ্নটি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
দ্রাঘিমা কী ?
মূলমধ্যরেখা থেকে পূর্ব বা পশ্চিমে ভূ-পৃষ্ঠের কোনো স্থানের নিরক্ষীয়তল বরাবর কৌণিক দূরত্বকে সেই স্থানের দ্রাঘিমা বলে। অর্থাৎ, মূলমধ্যরেখা থেকে নিরক্ষীয় তল বরাবর পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত আঁকা সরলরেখাটি, মূলমধ্যরেখার পূর্ব বা পশ্চিমে অবস্থিত ভূ-পৃষ্ঠের কোনো জায়গা থেকে পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত অঙ্কিত সরলরেখার সঙ্গে পৃথিবীর কেন্দ্রে যে কোণ তৈরি করে, সেই কোণই হল সেই জায়গাটির দ্রাঘিমা।
সহজে বোঝার চেষ্টা: বাড়িতে একফালি ন্যাসপাতি কেটে নিয়ে ফালিটি সরিয়ে নিলে একটা ফাঁকা জায়গা তৈরি হবে যার দু’পাশে দুটো দেওয়াল থাকবে। এই দেয়াল দু’টির একটা মূলমধ্যরেখার দেয়াল আর অন্যদিকে পৃথিবীর পূর্ব বা পশ্চিমে গোলার্ধের দেয়াল ভেবে নেওয়া যায়। দুটি দেয়ালের মাঝখানে যে কোণ তৈরি হয়েছে সেটিই হল দ্রাঘিমার মান।
বৈশিষ্ট্য:
- দ্রাঘিমার সঙ্গে সময়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। প্রতি 15° দ্রাঘিমার পার্থক্যে সময়ের পার্থক্য হয় 1 ঘণ্টা। এই হিসেবে প্রতি 1′ (মিনিট) দ্রাঘিমার পার্থক্যে সময়ের পার্থক্য হয় 4 মিনিট।
- একই দ্রাঘিমাযুক্ত প্রত্যেক স্থানের স্থানীয় সময় অভিন্ন হয়।
- গ্রিনিচ থেকে যে স্থান যত পূর্ব দ্রাঘিমায় রয়েছে, সেই স্থানের স্থানীয় সময় ততই এগিয়ে থাকে এবং যে স্থানের অবস্থান গ্রিনিচ থেকে যত ডিগ্রি পশ্চিম দ্রাঘিমায় রয়েছে, সেই স্থানের স্থানীয় সময় ততই পিছিয়ে থাকে।
উপরের প্রস্নোধৃত অংশ থেকে কোনো আক্ষেপ থাকলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি পছন্দ হলে আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করুন। এই প্রশ্নের বিষয়টি পরে অধ্যায়ন করার জন্য বা নিজের কাছে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য সরাসরি পিডিএফ (PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।