সংজ্ঞাঃ অনেকগুলি বার্খান বালিয়াড়ি পরস্পরযুক্ত হয়ে দীর্ঘ সাপের দেহের মতো আকৃতিতে সারিবদ্ধভাবে অবস্থান করলে, তাকে অ্যাকলি বালিয়াড়ি (Alkle Dune) বলে । উদাঃ সাহারা মরুভূমিতে অ্যাকলি বালিয়াড়ি দেখা যায় । বৈশিষ্ট্যঃ অ্যাকলি বালিয়াড়ি – র বৈশিষ্ট্যগুলি হলো নিম্নরূপ –ক) বছরে দুটি নির্দিষ্ট সময়ে দুটি নির্দিষ্ট দিক থেকে বায়ু প্রবাহিত হওয়ার ফলে এইপ্রকার বালিয়াড়ি সৃষ্টি হয় ।খ) অ্যাকলি বালিয়াড়ির এগিয়ে যাওয়া বাঁকটিকে লিঙ্গুঅয়েড ও পিছিয়ে যাওয়া …
সংজ্ঞাঃ মধ্যভাগে বালির শৃঙ্গবিশিষ্ট ও সেখান থেকে বিভিন্ন দিকে বালির শৈলশিরা ছড়িয়ে বালিয়াড়ি নক্ষত্রের মতো রূপ নিলে তাকে নক্ষত্র বালিয়াড়ি (Star Dune) বলে । উদাঃ কালাহারি মরুভূমিতে নক্ষত্র বালিয়াড়ি দেখা যায় । বৈশিষ্ট্যঃ নক্ষত্র বালিয়াড়ি – র বৈশিষ্ট্যগুলি হলো নিম্নরূপ –ক) বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দিক দিয়ে বায়ুপ্রবাহ প্রবাহিত হলে এরূপ বালিয়াড়ি সৃষ্টি হয় ।খ) এইপ্রকার বালিয়াড়িগুলির স্থান পরিবর্তন একপ্রকার হয় না বললেই …
সংজ্ঞাঃ তীব্র ঘূর্ণিবায়ুর আঘাতে পরপর অনেকগুলি বালিয়াড়ি ভেঙ্গে গেলে বায়ুপ্রবাহের পথে বেশ সংকীর্ণ কিন্তু খুব লম্বা বালিয়াড়ি সৃষ্টি হয় । এইপ্রকার দীর্ঘ অথচ সংকীর্ণ বালিয়াড়িকে সিফ বালিয়াড়ি (Seif Dunes) বলে । ‘সিফ’ একটি আরবী শব্দ, যার অর্থ “সোজা তরবারি”। ভূমিরূপ বিজ্ঞানী বার্গনল্ড এর নামকরণ করেন । তাঁর মতে, সিফ বালিয়াড়ি গঠিত হয় তখনই যখন বার্খান গঠনের মত একদিক থেকে বায়ু …
সংজ্ঞাঃ উষ্ণ মরুভূমি অঞ্চলে বায়ুপ্রবাহের গতিপথে কিছু বালিয়াড়ি আড়াআড়িভাবে অর্ধচন্দ্রাকারে অবস্থান করে । এইপ্রকার বালিয়াড়িকে বার্খান (Barkhan) বলা হয় । মরু পর্যটক হেডিন সর্বপ্রথম এর নামকরণ করেন । ‘বার্খান’ একটি তুর্কি শব্দ, এর অর্থ হল “কিরঘিজ স্টেপস অঞ্চলের বালিয়াড়ি” । বার্খান বা তির্যক বালিয়াড়ির গঠনের সূত্রপাত কিভাবে হয় তা নিয়ে কিছু মতভেদ আছে । তবে এটি গঠনের জন্য বাতাসের খুব বৃহদাকার কোন …
সংজ্ঞাঃ মরুভূমি অঞ্চলে স্থানে স্থানে বায়ুপ্রবাহ বাঁধার সম্মুখীন হলে এর গতিবেগ কমে যায় এবং বায়ুমধ্যস্থিত বালিকণাগুলি সঞ্চিত হতে থাকে । একে বায়ুর সঞ্চয় কার্য (Depositional Works of Wind) বলে । বায়ুর সঞ্চয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ গুলি নিম্নরূপ – সৃষ্ট ভূমিরূপঃ বায়ুর সঞ্চয় কার্য – এর ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপগুলিকে মূলত দুইভাগে ভাগ করা হয় । যথা –ক) …
মরুভুমি অঞ্চলে স্থানে স্থানে বায়ুপ্রবাহ বাঁধার সম্মুখীন হলে বায়ুপ্রবাহের গতিবেগ কমে যায় এবং বায়ুমধ্যস্থিত বালিকণাগুলি জমা হতে থাকে । একে বায়ুর সঞ্চয় কার্য বলে । বায়ুর সঞ্চয়কার্যের প্রক্রিয়া মূলত তিনটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয় । যথা –ক) অধঃপাতন প্রক্রিয়াঃ বায়ুপ্রবাহের গতি ক্রমশ কমে গেলে বায়ু মধ্যস্থিত বালিকণাগুলি থিতিয়ে পড়ে সঞ্চিত হয় । এই প্রক্রিয়াকে অধঃপাতন …
মরুভূমি অঞ্চলে প্রবল গতিসম্পন্ন বায়ু তার প্রবাহের সাথে বালিরাশি এক স্থান থেকে আর এক স্থানে বহন করে নিয়ে যায় । একে বায়ুর বহন কার্য বলে।বায়ুর গতিবেগ, বালুকণার আকার ও ভারের উপর বায়ুর বহন কার্য নির্ভর করে । বায়ুর বহনকার্যের প্রক্রিয়া তিনটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয় । যথা –ক) ভাসমান প্রক্রিয়াঃ মরুভূমি অঞ্চলে প্রবল বায়ুপ্রবাহের …
সংজ্ঞাঃ শিলাময় বিস্তীর্ণ সমতল ভূমির মত উন্মুক্ত মরুভূমিকে হামাদা (Hammada) বলে । উদাঃ গোবি মরুভূমিতে এইপ্রকার ভূমিরূপ দেখা যায় । বৈশিষ্ট্যঃ হামাদা – র বৈশিষ্ট্যগুলি হল নিম্নরূপ –ক) এটি বায়ুর অপসারণ কার্যের ফলে সৃষ্টি হয় ।খ) এটি প্রায় সম্পূর্ণ উদ্ভিদহীন মরুভূমি অঞ্চল বলে পরিগণিত হয় ।
সংজ্ঞাঃ মরু অঞ্চলে বায়ুর অপসারণকার্যের ফলে বালুকণা অন্যত্র চলে গেলে অবনত স্থান সৃষ্টি হয় । কালক্রমে এটি গভীর হতে হতে গর্তের রূপ নিলে তাকে অপসারণজনিত গর্ত (Blow-Out) বলে । রাজস্থান মরুভূমিতে এগুলি “ধান্দ” নামে পরিচিত । UAE এর “কাতারা” বিশ্বের বৃহত্তম অপসারণজনিত গর্ত । উদাঃ সোনেরান মরুভূমিতে অনেক অপসারণজনিত গর্ত দেখা যায় । বৈশিষ্ট্যঃ অপসারণজনিত গর্ত – এর …
সংজ্ঞাঃ মরু অঞ্চলে সারা বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দিক থেকে বাতাস প্রবাহিত হলে উন্মুক্ত শিলাখন্ডেরও বিভিন্ন দিক ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে মসৃণ ও চকচকে হয় । এরকম বহু মসৃণ তলবিশিষ্ট ভুমিরূপকে ড্রেইকান্টার (Dreikanter) বলে । উদাঃ সাহারা মরুভূমিতে অনেক ড্রেইকান্টার দেখা যায় । বৈশিষ্ট্যঃ ড্রেইকান্টার – এর বৈশিষ্ট্যগুলি হলো নিম্নরূপ –ক) এটি বহু মসৃন তল বিশিষ্ট হয় ।খ) বায়ুর অবঘর্ষ …