উপগ্রহ চিত্র কি ?

0

আমাদের ওয়েবসাইটে সবাইকে স্বাগত জানাই, আজ আমরা ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো যে বিষয়টি পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং বিষয়টি অধ্যায়ন করলে ছাত্রছাত্রীরা খুব ভালো নম্বর পেতে পারবে। উপগ্রহ চিত্রের ব্যাবহার ও গুরত্ব বিষয়টি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

Advertisement

উপগ্রহ চিত্রের ব্যবহার ও গুরুত্ব লেখ

উপগ্রহ চিত্রের ব্যবহার ও গুরুত্ব গুলি নিম্নরূপ

  • সম্পদ নিরীক্ষণঃ ভূপৃষ্ঠের প্রাকৃতিক সম্পদ নিরীক্ষণ ও সম্পদের বণ্টনের প্রকৃতি নিরূপণে ভূপৃষ্ঠস্থ তথা ভূগর্ভস্থ জলসম্পদ মূল্যায়নে , জলদূষণ চিহ্নিতকরণে ব্যবহার করা হয় । এ ছাড়া , কোনাে অঞ্চলের ভূগর্ভস্থ ও সামুদ্রিক খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানে , স্বাভাবিক উদ্ভিদের আচ্ছাদন চিহ্নিতকরণেও উপগ্রহ চিত্র বিশেষ সাহায্য করে ।
  • আবহাওয়ার পূর্বাভাসঃ উপগ্রহ চিত্রের সাহায্যে মেঘাচ্ছন্নতার পরিমাণ সম্পর্কে জানা যায় । ঝড়ের গঠন ও গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে জানা যায় । এছাড়াও আবহাওয়ার বিভিন্ন তথ্য উপগ্রহ চিত্র থেকে পাওয়া যায় , যা প্রায় নির্ভুলভাবে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয় । ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাপ করা এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ নেওয়া যায় । বন্যা , খরা , ভূমিকম্প , ভূমিধস প্রভাবিত অঞ্চলের উপগ্রহ চিত্র ওইসব ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে উদ্ধার কাজ ও পুনর্গঠনের কাজে লাগে । যেমন– Met OP , Meteosat প্রভৃতি ।
  • কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহারঃ উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন ফসল চিহ্নিত করা , তাদের শ্রেণিবিভাগ করা এবং মানচিত্র প্রস্তত করা সম্ভব হয় । এছাড়াও, উপগ্রহ চিত্রের সাহায্যে রােগগ্রস্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত ফসলকে চিহ্নিত করা যায় ফলে দ্রুত প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যায় । যেমন- LANDSAT ।
  • ভূমি ব্যবহার মানচিত্র তৈরীঃ উপগ্রহ চিত্রের সাহায্যে ভূমির আবরণ সম্পর্কে জানা যায় এবং শ্রেণিবিভাগ করা যায় । এছাড়াও ভূমি ব্যবহারের মানচিত্র তৈরি করা যায় এবং ভূমি ব্যবহারের পরিবর্তন জানা যায় । উপগ্রহ চিত্রের সাহায্যে শিল্পাঞ্চল , জনবসতি প্রভৃতি শনাক্তকরণ করা হয় । যেমন IRS P5 , CARTOSAT প্রভৃতি ।
  • দুর্যোগ মােকাবিলাঃ উপগ্রহ চিত্রের সাহায্যে দুর্যোগের ব্যাপকতা , চরিত্র , দুর্যোগ কবলিত এলাকা চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় ।
  • প্রতিরক্ষার উদ্দেশ্যঃ বিভিন্ন সামরিক ক্ষেত্রে ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে উপগ্রহ চিত্র ব্যবহার করা হয় । বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সহজেই যােগাযােগ করা যায় । যেমন । ভারতীয় উপগ্রহ RISAT – 2 ভারতীয় সীমানা পর্যবেক্ষণ , বহিরাগত অনুপ্রবেশ প্রভৃতি নিরীক্ষণ করে ।
  • গবেষণাঃ বিভিন্ন প্রকার গবেষণামূলক কাজ যেমন – মানচিত্র তৈরি , সরকারি তথ্য সংগ্রহ , কোনাে স্থানের সময়ের ভিত্তিতে ভূমি ব্যবহার পরিবর্তন বিশ্লেষণে উপগ্রহ চিত্র বিশেষ সহায়তা করে ।
  • মৎস্যক্ষেত্রের অবস্থান নির্ণয়ঃ বর্তমানে কৃত্রিম উপগ্রহ ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে সাগর কিংবা মহাসাগরে মৎস্যক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের মাছেদের অবস্থান নির্ধারণ করা IRS – P , হয় । বিশেষ করে বাণিজ্যিক মৎস্যক্ষেত্রগুলিতে IRS – P সিরিজের উপগ্রহ ব্যবহার করা হয় । এছাড়া SEASAT উপগ্রহও এক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় ।
  • পরিবহণ ও যােগাযােগ ব্যবস্থাঃ পরিবহণ ও যােগাযােগ ব্যবস্থার উন্নতি , নকশা প্রস্তুত করতে এই চিত্র ব্যবহার করা হয় । আধুনিক যােগাযােগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবেই উপগ্রহ নির্ভর । বিশেষ করে টেলিফোন , দূরদর্শন , ইন্টারনেট সহ নানান ক্ষেত্রগুলি সম্প্রসারণের জন্য উপগ্রহ ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল । তাছাড়া যােগাযােগ ব্যবস্থায় যে GPS ( Global Positioning System ) পরিষেবা প্রদান করা হয় তা সম্পূর্ণ উপগ্রহ ভিত্তিক ।
  • পরিবেশ সংরক্ষণঃ পরিবেশ প্রত্যক্ষ করা ও তার পর্যবেক্ষণগত কাজে উপগ্রহ চিত্র ব্যবহার করে পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য প্রয়ােজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় ।

উপরোক্ত বিষয়টি নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই নিচে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করুন। বিষয়টি পরে অধ্যায়ন করার জন্য বা নিজের কাছে সংরক্ষিত ভাবে রাখার জন্য সরাসরি পিডিএফ (PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।