ল্যাটেরাইট মাটি কি ?

0
ল্যাটেরাইট মাটি কি ?

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই, আজ আমরা ভূগোলের একটি গুরত্বপূর্ন প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করবো যে প্রশ্নটি ছাত্রছাত্রীরা অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্যন করতে পারবে। তাই প্রশ্নটি তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ল্যাটেরাইট মাটি কি এই বিষয়টি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

Advertisement

ল্যাটেরাইট মাটি কি ?

সংজ্ঞাঃ

ইটের মত শক্ত ও লাল রঙের হয় বলে এই মাটিকে ল্যাটেরাইট মাটি (Laterite Soil) বলে । ল্যাটিন শব্দ “Later” থেকে ল্যাটেরাইট শব্দটি সৃষ্টি হয়েছে, যার অর্থ ‘ইট’ (Brick) ।

অবস্থানঃ

এই মৃত্তিকা আর্দ্র-ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় অঞ্চলে বৃহত্তম মৃত্তিকা বলয় গঠন করেছে । এশিয়ার মধ্য ভারত, মায়ানমার, ইন্দোচিন, দঃ-পূঃ চিন; মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল; দঃ আমেরিকার ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে; আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের দঃ-পূঃ অংশ এবং অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাংশে এই মৃত্তিকা দেখা যায় । ভারতের ছোটনাগপুর মালভূমি, পূর্বঘাট ও পশ্চিমঘাট পর্বতের কিছু অংশে এবং মেঘালয় মালভূমির বেশিরভাগ অংশে এই মাটির সৃষ্টি হয়েছে । 

সৃষ্টির প্রক্রিয়াঃ

অত্যাধিক উষ্ণতা ও বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলে জলের সাথে সিলিকা জাতীয় পদার্থ মাটির গভীরে চলে যায় । উপরের স্তরে রয়ে যায় কেবল লৌহ অক্সাইড ও এল্যুমিনিয়াম, যা পরবর্তী শুষ্ক ঋতুতে জমাটবদ্ধ হয় । পর্যায়ক্রমে এইভাবে বছরের পর বছর এই দ্বৈত প্রক্রিয়া চলার ফলে কালক্রমে শক্ত রুক্ষ লাল রঙের ল্যাটেরাইট মৃত্তিকার সৃষ্টি হয় ।

বৈশিষ্ট্যঃ

ল্যাটেরাইট মাটি -র বৈশিষ্ট্যগুলি নিম্নরূপ

  1. অধিক উষ্ণতা ও বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলে যেখানে পর্যায়ক্রমে শুষ্ক ও আর্দ্র ঋতু দেখা যায়, সেখানে এই মাটির সৃষ্টি হয় । 
  2. লৌহ অক্সাইড ও এল্যুমিনিয়াম অক্সাইডের অধিক উপস্থিতির জন্য এই মাটির রং ইটের মত গাঢ় লাল হয় । 
  3. এই মাটি রুক্ষ ও অনুর্বর । 
  4. এই মাটির জলধারণ ক্ষমতা কম হয় । 
  5. আদিশিলা ব্যাসল্ট থেকে এই মৃত্তিকা সৃষ্টি হয় ।
  6. মাটির কাঠামো মৌচাকের মত আকৃতির হয় ।
  7. এই মাটি আম্লিক প্রকৃতির । 
  8. জৈব পদার্থের পরিমান এই মাটিতে খুবই কম । 

কৃষিকার্য ও ফসল উৎপাদনঃ

এই মাটি অত্যন্ত রুক্ষ ও অনুর্বর । পাশাপাশি এই মাটির জলধারণ ক্ষমতাও খুবই কম, যে কারণে এই মাটি কৃষিকাজের পক্ষে বেশ অসুবিধাজনক এবং ফসল উৎপাদনের পরিমানও তুলনামূলকভাবে কম । তবুও পর্যায়ক্রমে জলসেচ ও সার প্রয়োগ করে এই মাটিতে চিনাবাদাম, জোয়ার, বাজরা, রাগি, ডাল, তৈলবীজ, কাজুবাদাম প্রভৃতি কৃষি ফসল উৎপাদন করা হয় ।

উপরোক্ত অংশ থেকে কোনো বিস্ময় থাকলে অবশ্যই নিচে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করুন। প্রশ্নের বিষয়টি পরে অধ্যায়ন করার জন্য অথবা নিজের কাছে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য সরাসরি পিডিএফ(PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।