মহীভাবক আলোড়ন কি ?

0
মহীভাবক আলোড়ন কি ?

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই, আজ আমরা ভূগোলের একটি গুরত্বপূর্ন প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করবো যে প্রশ্নটি ছাত্রছাত্রীরা অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্যন করতে পারবে। তাই প্রশ্নটি তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মহীভাবক আলোড়ন এই বিষয়টি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

Advertisement

মহীভাবক আলোড়ন কি ?

সংজ্ঞাঃ

যে আলোড়ন ভূপৃষ্ঠে উল্লম্বভাবে ক্রিয়া করে ভূত্বকের উত্থান বা অবনমন ঘটায়, তাকে মহীভাবক আলোড়ন (Epeirogeny Movement) বলে । গ্রীক শব্দ ‘Epirus’ যার অর্থ মহাদেশ এবং ‘Genesis’ যার অর্থ সৃষ্টি ; এই দুটি গ্রীক শব্দের সমন্বয়ে “Epeirogeny” অর্থাৎ মহীভাবক শব্দটি এসেছে ।

ব্যাখ্যাঃ

মহীভাবক আলোড়ন ভূপৃষ্ঠে উল্লম্বভাবে অর্থাৎ, পৃথিবীর ব্যাসার্ধ বরাবর ভূ-কেন্দ্র থেকে ভূপৃষ্ঠ অভিমুখে ক্রিয়াশীল হয় । এই আলোড়নে ভূত্বকের অংশবিশেষ উল্লম্বভাবে উপরে উঠে যায় বা নিচে বসে যায়; যার ফলস্বরূপ সমুদ্রবক্ষ উত্থিত হয়ে মহাদেশের অংশভাগ এবং মহাদেশ অবনমিত হয়ে সমুদ্রভাগ রূপে অবস্থান করে । এই আলোড়নের ফলে ভূত্বকের কোন অংশ উত্থিত হলে তার পার্শ্ববর্তী অপর অংশ স্বাভাবিকভাবেই অবনমিত হয় । সুতরাং, এই আলোড়ন ভূত্বকের উত্থান ও অবনমন একইসাথে ঘটায় ।

উদাহরণঃ

মহীভাবক আলোড়নের ফলে উত্তর সাগরের নিম্ন উপকূলবর্তী অঞ্চল ধীরে ধীরে নিমজ্জিত হচ্ছে এবং এর পার্শ্ববর্তী জলমগ্ন অঞ্চল ক্রমশ উত্থিত হচ্ছে ।

বৈশিষ্ট্যঃ

মহীভাবক আলোড়ন – এর বৈশিষ্ট্যগুলি হলো নিম্নরূপ

  1. এটি ভূ-অভ্যন্তরে উল্লম্বভাবে অর্থাৎ, পৃথিবীর ব্যাসার্ধ বরাবর কাজ করে ।
  2. এটি ভূত্বকে স্থানীয়ভাবে বা আঞ্চলিকভাবে ক্রিয়াশীল হয় ।এই আলোড়নের প্রভাবে মহাদেশ গঠিত হয় ।
  3. এই আলোড়ন শিলায় চ্যুতি, ফাটল-দারণ প্রভৃতির সৃষ্টি করে ।
  4. এই আলোড়ন ভূত্বকের কোথাও উত্থান, আবার কোথাও অবনমনের সৃষ্টি করে ।
  5. এই আলোড়ন শিলাস্তরের প্রসারণ অথবা সংকোচন ঘটায় না ।

উপরোক্ত অংশ থেকে কোনো বিস্ময় থাকলে অবশ্যই নিচে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করুন। প্রশ্নের বিষয়টি পরে অধ্যায়ন করার জন্য অথবা নিজের কাছে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য সরাসরি পিডিএফ(PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।