বাইস ব্যালট সূত্র কি?

0
বাইস ব্যালট সূত্র কি?

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই আজ আমরা অধ্যায়ন করবো ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে যে বিষয়টি পরীক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই উপকারী। এই বিষয়টি ছাত্রছাত্রীরা অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্যন করতে পারবে তাই তাদের কাছে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাইস ব্যালট সূত্র কি এই বিষয়টি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

Advertisement

বাইস ব্যালট সূত্র কি?

প্রবক্তাঃ

C.H.D Buys Ballot (1817-1890) হলেন একজন বিখ্যাত ডাচ রসায়নবিদ এবং আবহাওয়াবিদ । বায়ুচাপের পার্থক্য ও বায়ুপ্রবাহের মধ্যে সম্পর্কসংক্রান্ত এই সূত্রটি সম্পর্কে তিনি প্রথম আলোকপাত করেন ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত তাঁর ‘Comptes Rendus’ নামক গ্রন্থে । তাঁর নামানুসারেই পরবর্তীতে সূত্রটি বাইস ব্যালট সূত্র (Buys Ballot’s law) নামে পরিচিতি পেয়েছে ।

সূত্রঃ

উত্তর গোলার্ধে বায়ুপ্রবাহের দিকে পিছন ফিরে দাড়ালে বামদিক অপেক্ষা ডানদিকে অধিক বায়ুর চাপ অনুভূত হয় অর্থাৎ, ডানদিকে উচ্চচাপ ও বামদিকে নিম্নচাপ হয় এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বায়ুপ্রবাহের দিকে পিছন ফিরে দাড়ালে ডানদিক অপেক্ষা বামদিকে অধিক বায়ুর চাপ অনুভূত হয় অর্থাৎ, বামদিকে উচ্চচাপ ও ডানদিকে নিম্নচাপ হয়।

ব্যাখ্যাঃ

বায়ুচাপবায়ুপ্রবাহ একে অপরের সাথে আন্তঃসম্পর্কযুক্ত এবং এর প্রভাব নিরক্ষীয় অঞ্চলে ভূকেন্দ্রাতিগ শক্তির প্রভাব নগণ্য হওয়ার কারণে অপেক্ষাকৃত কম হলেও সেখান থেকে মেরু অঞ্চলের দিকে যতই যাওয়া যায় ততই তা বাড়তে থাকে । এই কারণে উত্তর গোলার্ধের বায়ু সমচাপরেখা বরাবর উচ্চচাপযুক্ত অঞ্চলে ডানদিকে অর্থাৎ, ঘড়ির কাঁটার দিকে এবং নিম্নচাপযুক্ত অঞ্চলে বামদিকে অর্থাৎ, ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে প্রবাহিত হয় ।

উপরোক্ত অংশ থেকে কোনো বিস্ময় থাকলে অবশ্যই নিচে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি আপনার কোনো সাহায্যপ্রাপ্ত হলে আপনার বন্ধুদের কাছেও প্রশ্নের বিষয়টি শেয়ার করুন। বিষয়টি পরে অধ্যায়ন করার জন্য বা নিজের কাছে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য সরাসরি পিডিএফ (PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।