উষ্ণমন্ডলীয় ঘূর্ণবাত কি ?

1
ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত বা উষ্ণমন্ডলীয় ঘূর্ণবাত কি ?

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই আজ আমরা অধ্যায়ন করবো ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে যে বিষয়টি পরীক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই উপকারী। এই বিষয়টি ছাত্রছাত্রীরা অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্যন করতে পারবে তাই তাদের কাছে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত বা উষ্ণমন্ডলীয় ঘূর্ণবাত এই বিষয়টি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

Advertisement

ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত বা উষ্ণমন্ডলীয় ঘূর্ণবাত কি ?

সংজ্ঞাঃ

সাধারণত ৫° – ২০° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে উৎপন্ন, সমুদ্রবক্ষে সৃষ্ট ও ক্রান্তীয় অঞ্চলের মধ্যে সীমাবদ্ধ ঘূর্ণবাত ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত বা উষ্ণমন্ডলীয় ঘূর্ণবাত (Tropical Cyclone) নামে পরিচিত ।

অবস্থানগত বিন্যাসঃ 

পৃথিবীতে মূলতঃ সাতটি ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতপ্রবণ অঞ্চল দেখা যায় । যথা –

  • উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের ক্রান্তীয় অঞ্চলের পশ্চিমাংশ এবং সংলগ্ন মেক্সিকো উপসাগর ও ক্যারাবিয়ান সাগর অঞ্চল;
  • মেক্সিকোর পশ্চিম উপকূলের নিকটস্থ প্রশান্ত মহাসাগর;
  • উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের ক্রান্তীয় অঞ্চলের পশ্চিমাংশ এবং সংলগ্ন চীন সাগর ও জাপান সাগর;
  • বঙ্গোপসাগর ও আরবসাগর;
  • দক্ষিণ ভারত মহাসাগরের ক্রান্তীয় অঞ্চলের পশ্চিমাংশ;
  • দক্ষিণ ভারত মহাসাগরের ক্রান্তীয় অঞ্চলের পূর্বাংশ
  • দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ক্রান্তীয় অঞ্চলের পশ্চিমাংশ ।

অবস্থানগত দিক দিয়ে ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতগুলি উক্ত অঞ্চলগুলিতে বিভিন্ন নামে পরিচিত । যেমন

  1. টাইফুনঃ উৎপত্তিস্থল – চীন সাগর ও পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর; প্রভাবিত স্থলভাগ – চীন, জাপান ও ফিলিপাইন্স দ্বীপপুঞ্জ
  2. হ্যারিকেনঃ উৎপত্তিস্থল – ক্যারাবিয়ান সাগর ও মেক্সিকো উপসাগর; প্রভাবিত স্থলভাগ – মেক্সিকো ও পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ
  3. সাইক্লোনঃ উৎপত্তিস্থল – বঙ্গোপসাগর ও আরবসাগর; প্রভাবিত স্থলভাগ – ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা
  4. উইলি উইলিঃ উৎপত্তিস্থল – পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর; প্রভাবিত স্থলভাগ – অস্ট্রেলিয়া
  5. বাগুইওঃ উৎপত্তিস্থল – পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর; প্রভাবিত স্থলভাগ – ফিলিপাইন্স দ্বীপপুঞ্জ
  6. ক্যাটরিনা, রিটা, বিটাঃ উৎপত্তিস্থল – মেক্সিকো উপসাগর ও ক্যারাবিয়ান সাগর; প্রভাবিত স্থলভাগ – কানাডা ও USA
  7. টর্নেডোঃ উৎপত্তিস্থল – মিসিসিপি নদীর মোহনা ও মেক্সিকো উপসাগর; প্রভাবিত স্থলভাগ – USA – এর দক্ষিণ-পূর্বাংশ ও মেক্সিকো

বৈশিষ্ট্যঃ

ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত – এর বৈশিষ্ট্যগুলি হল নিম্নরূপ

  1. নিম্নচাপযুক্ত কেন্দ্রঃ ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে সর্বদা নিম্নচাপ বিরাজ করে । বিশেষক্ষত্রে এই নিম্নচাপ ৯০০ মিলিবারেরও নীচে নেমে যায়, যা শক্তিশালী ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের আভাস দেয় । ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের ২ রা সেপ্টেম্বর ফ্লোরিডা উপকূলে সংঘটিত ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতটির কেন্দ্রস্থলে বায়ুর চাপ ছিল ৮৯২ মিলিবার । ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ ই অগাষ্ট ফিলিপাইন্সের লুজন দ্বীপের কাছে সৃষ্ট ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতটির কেন্দ্রে সর্বনিম্ন রেকর্ড ৮৮৭ মিলিবার নিম্নচাপ সৃষ্টি করেছিল ।
  2. বিস্তারঃ ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতের ব্যাস সাধারণত ২০০ – ৭০০ কিলোমিটার হলেও বিষয়ান্তরে অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতের বিস্তার ৯০০ কিলোমিটারেরও বেশী অঞ্চল জুড়ে হতে পারে ।
  3. গতিবেগঃ ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতের গতিবেগ মূলতঃ ঘন্টায় ১০০ – ২৫০ কিলোমিটারের মধ্যে হলেও অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী ঘূর্ণবাতের বায়ুপ্রবাহের গতিবেগ অনেকসময় ঘন্টায় ৪০০ কিলোমিটারেরও বেশী হয় ।
  4. সমচাপরেখার প্রকৃতিঃ মানচিত্রে কতকগুলি এককেন্দ্রিক সমচাপরেখার দ্বারা ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতকে দেখানো হয় । এই সমচাপরেখাগুলি সর্বদা বৃত্তাকার বা প্রায়বৃত্তাকার হয়।
  5. ধ্বংসক্ষমতাঃ ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত প্রায়শই ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়ে থাকে । অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী ঘূর্ণবাত অত্যন্ত বিধ্বংসী হয় এবং প্রভাবিত অঞ্চলে ভয়ংকর ক্ষয়ক্ষতি এমনকি প্রাণহানিও ঘটায় ।
  6. স্থায়ীত্বঃ ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত স্বল্পকালব্যাপী স্থায়ী হয়, কিন্তু ঐ স্বল্পকালের মধ্যেই তা দ্রুত বর্ধনশীল হয়ে বিস্তারলাভ করে প্রবলবেগে প্রবাহিত হয় ।
  7. দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া সৃষ্টিঃ ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতের প্রভাবে ঝড়, বৃষ্টিপাত ও বজ্রপাত সংঘটিত হয়ে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া সৃষ্টি করে ।
  8. স্থান পরিবর্তনঃ ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে । যে পথ দিয়ে এটি গমন করে তাকে ঘূর্ণবাতের পথ (Cyclonic Track) বলা হয় । এটি প্রায়শই সমুদ্রের উপর দিয়ে ৩০০ – ৫০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে থাকে ।

অনুকূল পরিবেশঃ

ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত সৃষ্টি হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অনুকূল পরিবেশগুলি হল নিম্নরূপ

  1. সমুদ্রপৃষ্ঠস্থ উষ্ণতাঃ ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত সৃষ্টি হওয়ার জন্য সমুদ্রজলের উপরিভাগের উষ্ণতা ২৬°C – ৩০°C বা তারও বেশী হলে ভাল হয় । সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা বেশী হলে বাষ্পীভবনের মাত্রা বেশী হয়, ফলে প্রচুর জলীয় বাষ্প মিশে বায়ুমন্ডলে লীনতাপ সরবরাহ করে ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত সৃষ্টির জন্য আদর্শ পরিবেশ গড়ে ওঠে ।
  2. উষ্ণ জলের গভীরতাঃ সমুদ্রের উপরিভাগের উষ্ণ জলের গভীরতা ৬০ – ৭০ মিটার হওয়া উচিৎ । এর ফলে পরিচলন স্রোত সৃষ্টি হয়ে ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত সৃষ্টির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরী হয় ।
  3. কোরিওলিস বলঃ ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত সৃষ্টির জন্য কোরিওলিস বল যথেষ্ট হতে হবে, কেননা এই শক্তির প্রভাবে বায়ুতে আবর্তন সৃষ্টি হয় । নিরক্ষরেখার কাছাকাছি কোরিওলিস বলের পরিমান কম বলে নিরক্ষরেখা থেকে ৫° উঃ ও দঃ অক্ষাংশের মধ্যে ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত একপ্রকার প্রায় সৃষ্টি হয়ই না বললে চলে ।
  4. অন্যান্য বায়ুমন্ডলীয় গোলযোগের উপস্থিতিঃ ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত সৃষ্টির আগে সমুদ্রের উপর অন্য কোনপ্রকার ক্রান্তীয় গোলযোগ অবস্থান অত্যন্ত প্রয়োজনীয়; যেমন – ক্রান্তীয় পূবালী বায়ুতরঙ্গ । এসব গোলযোগের কোন কোনওটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয় ।
  5. আন্তঃক্রান্তীয় সম্মিলন বলয়ের ক্রান্তিকালীন অবস্থানঃ ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতের উৎপত্তি ও আন্তঃক্রান্তীয় সম্মিলন বলয়ের ক্রান্তিকালীন অবস্থানের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে । আন্তঃক্রান্তীয় সম্মিলন বলয় অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত শান্ত বায়ুপ্রবাহ অঞ্চল বা ডোলড্রাম (Doldrum) যখন ৫° – ১০° অক্ষাংশ অঞ্চলে অবস্থান করে তখন সেখানে প্রায় ৬০% ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতের সৃষ্টি হয় । অথচ আটলান্টিক মহাসাগর ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের উপর আন্তঃক্রান্তীয় সম্মিলন বলয় অঞ্চল নিরক্ষরেখার খুব একটা দক্ষিণে সরে যায় না বলে এই দুটি অঞ্চলে ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত একপ্রকার প্রায় সৃষ্টি হয়ই না বললে চলে ।
  6. উলম্ব বায়ুপ্রবাহের ব্যবর্তনঃ উলম্ব বায়ুপ্রবাহের ব্যবর্তন কম হওয়া প্রয়োজন । কোন অঞ্চলে উলম্ব বায়ুপ্রবাহের ব্যবর্তন বেশী হলে (জেট প্রবাহের নীচে), সেখানে বায়ু – আবর্ত বা ভর্টেক্স (Vortex) সৃষ্টি হয় না । ফলে ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতও সৃষ্টি হতে পারে না ।

সংঘটনের সময়ঃ

ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতের প্রকোপ সবথেকে বেশী দেখা যায় উষ্ণ ঋতুতে মহাসাগরগুলির উষ্ণ অংশে, বিশেষ করে ক্রান্তীয় মহাসাগরগুলির পশ্চিমাংশে । সূর্যের উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়ণকে অনুসরণ করে আন্তঃক্রান্তীয় সম্মিলন বলয় অঞ্চল (ITCZ) যখন নিরক্ষরেখা থেকে সবথেকে দূরে সরে যায়, তখনই ঘূর্ণবাত সংঘটনের প্রক্রিয়া সবথেকে সক্রিয় হয়ে ওঠে । ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত উৎপত্তির প্রধান ঋতু হল উত্তর গোলার্ধে নভেম্বর এবং দক্ষিণ গোলার্ধে জানুয়ারী থেকে মার্চ । তবে উত্তর গোলার্ধে ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত সংঘটনের একটি গৌণ ঋতুও আছে; সেটি হল মে থেকে জুন মাস ।

জীবনচক্রঃ

ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত – এর জীবনচক্র মূলতঃ চারটি পর্যায়ের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয় । যথা

  1. উৎপত্তিগত পর্যায়ঃ ঘূর্ণবাত সৃষ্টির প্রথম পর্যায়ে কয়েক শত কিলোমিটার ব্যাপী বিশাল সামুদ্রিক অঞ্চলের উপর দিয়ে বায়ুপ্রবাহ বিভিন্ন গতিতে প্রবাহিত হতে থাকে । এইসময় কখনও কখনও বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাত হতে থাকে । সমুদ্র অঞ্চলের উপর বায়ুমন্ডলীয় চাপ হ্রাস পায় এবং ক্রমশঃ বাতাসের গতিবেগ বাড়তে থাকে । চারপাশের উচ্চচাপযুক্ত অঞ্চল থেকে বাতাস দ্রুত গতিতে আসে এবং পৃথিবীর আবর্তনজনিত গতির ফলে তা ঘূর্ণিতে পরিনত হয় । ঘূর্ণবাতের এইপ্রকার অবস্থানকে আবহাওয়া মানচিত্রে গোলাকৃতি রেখা দ্বারা দেখানো হয়ে থাকে । এপ্রসঙ্গে মনে রাখা দরকার, অধিকাংশ ঘূর্ণবাতই এই উৎপত্তিগত পর্যায়েই বিনাশপ্রাপ্ত হয় । অবশিষ্ট যেগুলি এই অবস্থার পরেও বিকাশপ্রাপ্ত হয় তাদের কেন্দ্রীয়স্থলের নিম্নচাপ ৯৫০ মিলিবার থেকে ৯০০ মিলিবার অবধি নেমে যায় ।
  2. বিকাশশীল পর্যায়ঃ এক একটি ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতে ১০০ – ২০০ টি ঝড়ো পুঞ্জ মেঘের সৃষ্টি হয় । ঘনীভবনের লীনতাপ সংযোজিত হয়ে ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রভাগ উষ্ণ হয় । ঘূর্ণবাত যতই শক্তিশালী হয়, ততই তার কেন্দ্রভাগ উষ্ণ হয় । এই উষ্ণভাগকে ঘূর্ণবাতের উষ্ণ কোষ (Warm Core of Cyclone) বলে । এই উষ্ণ কোষই হল ঘূর্ণবাতের উৎপাদক শক্তি । এই উষ্ণ কোষ ঘূর্ণবাতের মোট ঘন পরিমাণের প্রায় ১% দখল করে থাকলেও এই কোষটিই সমগ্র ঘূর্ণবাতের সঞ্চালনকে প্রভাবিত করে । এই উষ্ণ কোষটিই যে পুনঃভরণ প্রক্রিয়া সৃষ্টি করে তার প্রভাবেই ঘূর্ণবাতের তীব্রতা বাড়তে থাকে । এই পর্যায়ে বায়ুর চাপ হ্রাস অব্যাহত থাকে, ফলে বাতাসের গতি ক্রমবর্ধমান হয় । ক্রমশঃ এটি আরও বর্ধনশীল ঘূর্ণির আকারে কেন্দ্রাভিমুখী হয়ে উত্তর গোলার্ধে ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে ও দক্ষিণ গোলার্ধে ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘূর্ণায়মান হয় । আবহাওয়া বিষয়ক মানচিত্রে ঘূর্ণবাত নির্দেশক এই সমপ্রেষ রেখাগুলি প্রায় সম্পূর্ণ গোলাকার রূপ নেয় এদের মধ্যবর্তী ব্যবধান মাত্র ২ – ৩ মিলিবার থাকে । এইসময় কেন্দ্রাভিমুখী বাতাস  ২৫ – ৪০ কিলোমিটার / ঘন্টা গতিবেগে প্রবাহিত হতে থাকে । আবহাওয়াবিদ্গন এই অবস্থাকে ডিপ্রেশন (Depression) নাম দিয়েছেন ।
  3. অন্তিম পর্যায়ঃ গতিশীল ঘূর্ণবাত যতই সমুদ্রভাগ থেকে স্থলভাগের দিকে অগ্রসর হতে থাকে, ততই তাতে জলীয় বাষ্প ও লীনতাপের সরবরাহ কমতে থাকে । এর সাথে যুক্ত হয় স্থলভাগের ঘর্ষণজনিত পশ্চাৎটান । এই সকল কারণে এই অন্তিম পর্যায়ে স্থলভাগে পৌছানোর পর ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত দ্রুত দুর্বল হয়ে অবলুপ্ত হয় ।

উপরোক্ত অংশ থেকে কোনো বিস্ময় থাকলে অবশ্যই নিচে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি আপনার কোনো সাহায্যপ্রাপ্ত হলে আপনার বন্ধুদের কাছেও প্রশ্নের বিষয়টি শেয়ার করুন। বিষয়টি পরে অধ্যায়ন করার জন্য বা নিজের কাছে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য সরাসরি পিডিএফ (PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ। 

1 COMMENT

Comments are closed.