সার্ক বা করি কি?

5
সার্ক বা করি কি?

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই, আজ আমরা ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো যে বিষয়টি ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই বিষয়টি তারা অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্যন করতে পারবে। সার্ক বা করি কি এই বিষয়টি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

Advertisement

সার্ক বা করি কি?

সংজ্ঞাঃ 

হিমবাহের অত্যাধিক চাপ ও ঘর্ষনের ফলে উপত্যকার উপরের অংশ খুব খাড়াই হয় এবং মধ্যভাগে অনেকটা গর্তের মতো অবনত জায়গার সৃষ্টি হয় । এর ফলে পুরো উপত্যকাটির আকৃতি অনেকটা হাতল ছাড়া ডেক চেয়ারের মতো দেখতে হয় । এইরকম আকৃতিবিশিষ্ট উপত্যকাকে ফরাসি ভাষায় সার্ক (Cirque) এবং ইংরেজিতে কুম (Cumbe) বা করি (Corrie) বলে ।

উপত্যকা হিমবাহের উৎসক্ষেত্রে ক্ষয়কাজের ফলে সার্কের সৃষ্টি হয় । পার্বত্য উপত্যকাটি যতদিন পর্যন্ত হিমবাহ দ্বারা চাপা পড়ে থাকে ততদিন সার্ক দেখা যায় না, হিমবাহ সরে গিয়ে উপত্যকাটি বরফযুক্ত হলে তবেই সার্ক দেখা যায় । গ্রীষ্মকালে অনেকসময় বরফ গলে গেলে করির মধ্যে অবনত অংশে জল জমে হ্রদ সৃষ্টি হয় । একে করি হ্রদ (Corrie Lake) বলে ।

উদাঃ

হিমালয় পর্বতের হিমবাহ অধ্যুষিত অঞ্চলে বহু সার্ক দেখা যায় ।

গঠনঃ 

সার্ক – এর তিনটি অংশ । যথা – খাঁড়া মস্তক প্রাচীর, বেসিন এবং করিওষ্ঠ ।

বৈশিষ্ট্যঃ

করি বা সার্ক – এর বৈশিষ্ট্যগুলি হলো নিম্নরূপ

  1. এটি অবঘর্ষ প্রক্রিয়া ও শিলাখন্ডের উৎপাটন প্রক্রিয়ার ফলে সৃষ্টি হয় ।
  2. এটি বরফাবৃত থাকলে ক্রেভাস ও বার্গস্রুন্ড দেখা যায় ।

উপরের বিষয়টি থেকে কোনো প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই নিচে মন্তব্য করুন এবং বিষয়টি আপনার পছন্দ হলে আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করুন। বিষয়টি পরে অধ্যায়ন করার জন্য বা নিজের কাছে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য সরাসরি পিডিএফ (PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।