আয়নোস্ফিয়ার কি ?

0
আয়নোস্ফিয়ার কি ?

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই, আজ আমার ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করবো যে প্রশ্নটি পরীক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই প্রশ্নটি তারা অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্যন করতে পারবে। আয়নোস্ফিয়ার এই প্রশ্নটি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। 

Advertisement

আয়নোস্ফিয়ার কি ?

সংজ্ঞাঃ

মেসোপজের পর থেকে প্রায় ৫০০ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত অবস্থিত হালকা বায়ুস্তরকে থার্মোস্ফিয়ার বলা হয় । এই স্তরের নিম্নভাগে তড়িৎযুক্ত কণা বা আয়নের উপস্থিতি দেখা যায় । তাই থার্মোস্ফিয়ারের নিম্নভাগকে আয়নোস্ফিয়ার (Ionsphere) বলা হয় ।

আবিস্কারকঃ

বিজ্ঞানীদ্বয় কেনেলি ও হেভিসাইড সর্বপ্রথম আয়নোস্ফিয়ারের উপস্থিতি প্রমাণ করেন ।

বিস্তারঃ

থার্মোস্ফিয়ারের নিম্নভাগে (৮০-১২০ কিমি) অবস্থিত ।

শ্রেণীবিভাগঃ

এটি আবার দুটি উপস্তরে বিভক্ত । যথা – D-স্তর (বিস্তার ৮০-৯০ কিমি) ও E-স্তর বা কেনেলি-হেভিসাইড স্তর (বিস্তার ৯০-১২০ কিমি) ।

বৈশিষ্ট্যঃ 

আয়নোস্ফিয়ার – এর বৈশিষ্ট্যগুলি হল নিম্নরূপ

  1. আয়ন মন্ডল সৃষ্টি-এই স্তরের বায়ু আয়নিত অবস্থায় রয়েছে অর্থাৎ এই বিরাট অঞ্চলটি বিদ্যুতযুক্ত অসংখ‍্য আয়ন ও ইলেকট্রনে পূর্ণ হয়ে আছে । এখানে হাইড্রোজেন, হিলিয়াম, ওজোন প্রভৃতি গ্যাস আয়নিত অবস্থায় থাকে ।
  2. মেরুজ্যোতি সৃষ্টি-তড়িতাহত অণুর চৌম্বক বিক্ষেপের ফলে এখানে সুমেরু ও কুমেরু অঞ্চলে এক রকম উজ্জ্বল আলোক বিচ্ছুরণ দেখা যায়,একে মেরুজ্যোতি বা মেরুপ্রভা বলে ।
  3. বেতার সংযোগ-ভূপৃষ্ঠের বেতার তরঙ্গগুলি আয়নোস্ফিয়ার ভেদ করে আরও ওপরে যেতে পারে না বলে এই স্তর থেকে বেতার তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসে । তাই বিভিন্ন রেডিও স্টেশন থেকে প্রচারিত গান, বাজনা, নাটক, কবিতা, সংবাদ প্রভৃতি আমরা রেডিও মারফত বাড়ি বসে শুনতে পাই ।
  4. X-রশ্মির থেকে রক্ষা-বিপজ্জনক X-রশ্মির থেকে আয়নোস্ফিয়ার জীবজগতকে রক্ষা করে ।

উপরোক্ত অংশ থেকে কোনো বিস্ময় থাকলে অবশ্যই নিচে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি আপনার ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করতে ভুলবেন না। প্রশ্নটি পরে অধ্যায়ন করার জন্য বা নিজের কাছে সংরক্ষিত করার জন্য সরাসরি পিডিএফ (PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।