মহীসোপান কি ?

0
মহীসোপান কি ?

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই, আজ আমরা ভূগোলের একটি গুরত্বপূর্ন প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করবো যে প্রশ্নটি ছাত্রছাত্রীরা অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্যন করতে পারবে। তাই প্রশ্নটি তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মহীসোপান কি এই বিষয়টি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

Advertisement

মহীসোপান কি ?

সংজ্ঞাঃ

সমুদ্রজলে নিমজ্জিত মোটামুটি ১০০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত মহাদেশীয় প্রান্তভাগকে মহীসোপান (Continental Shelf) বলে ।

বৈশিষ্ট্যঃ

মহীসোপান – এর বৈশিষ্ট্যগুলি হলো নিম্নরূপ

  • ঢালঃ এটি মৃদু ঢাল বিশিষ্ট । সাধারণত এর ঢাল ১° এর কম হলেও স্থান বিশেষে ২°-৩° ও হতে পারে ।
  • গভীরতাঃ মহীসোপানের গভীরতা তটরেখা থেকে প্রায় ২০০ মিটার পর্যন্ত; তবে স্থান বিশেষে এর গভীরতার তারতম্য দেখা যায় ।
  • সীমানাঃ মহীসোপানের প্রান্তভাগের সীমানা নির্দেশিত হয় খাড়া মহীঢাল (Continental Slope) দ্বারা ।

বিস্তারঃ

মহীসোপানের গড় বিস্তার প্রায় ৭০ কিলোমিটার তবে স্থান বিশেষে বিস্তারের ক্ষেত্রেও তারতম্য লক্ষণীয়; যেমন – যেসব উপকূল বিস্তীর্ণ সমভূমি দ্বারা বেষ্টিত সেইসব অঞ্চলে মহীসোপানের বিস্তার বেশি, আবার পর্বতময় উপকূল অঞ্চলে এর বিস্তার কম । গড় হিসাবে মহীসোপান অঞ্চল সমগ্র সমুদ্রতলের প্রায় ৭.৬ শতাংশ স্থান জুড়ে অবস্থান করছে ।

সঞ্চিত পদার্থসমূহঃ

বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তি দ্বারা বাহিত হয়ে এবং সমুদ্র তরঙ্গের সঞ্চয় কার্যের ফলে মহীসোপান অঞ্চলে কর্দমকণা, বালুকণা ও বিভিন্ন আয়তনের শিলাখন্ড সঞ্চিত হয় । অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই সঞ্চিত কর্দমকণাগুলির ব্যাস ১/১৬ মিমি, বালুকণাগুলির ব্যাস ১/১৬ – ২ মিমি এবং শিলাখন্ডগুলি ২ – ২৫৬ মিমি ব্যাসযুক্ত হয়ে থাকে ।

অর্থনৈতিক গুরুত্বঃ

মহীসোপান অঞ্চলের অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম । যথা

  1. মহীসোপান অঞ্চলে পলি, মাটি, বালি, নুড়ি প্রভৃতি এবং বিভিন্ন জৈব পদার্থ সঞ্চিত হয় । পাশাপাশি এই অঞ্চল অগভীর হওয়ায় সূর্যরশ্মি সহজেই প্রবেশ করতে পারে । ফলে এই অঞ্চলে মাছের খাদ্য প্লাংকটন প্রচুর পরিমাণে জন্মায় । যে কারণে এখানে সামুদ্রিক মাছের সমাবেশ ঘটে এবং মৎস্য ক্ষেত্র গড়ে ওঠে । তাই মৎস্য শিকার, মৎস্য শিল্প ও বিভিন্ন ধরনের উপজাত দ্রব্যনির্ভর শিল্পভিত্তিক কার্যাবলীসংক্রান্ত কারণে মহীসোপান অঞ্চলের গুরুত্ব অনেক ।
  2. মহীসোপান অঞ্চল মূল্যবান মুক্তো, প্রবাল, স্পঞ্জ, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাসসহ বিভিন্ন সমুদ্র সম্পদের ভাণ্ডার । এই অঞ্চল থেকে পৃথিবীর খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রায় ৬০ শতাংশ উত্তোলন করা হয় ।
  3. এই অঞ্চলের ঢাল কম হওয়ায় ভগ্ন উপকূলরেখা বরাবর বন্দর ও পোতাশ্রয় গড়ে ওঠে যাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কার্যাবলী পরিচালিত হয় ।

উপরোক্ত অংশ থেকে কোনো বিস্ময় থাকলে অবশ্যই নিচে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করুন। প্রশ্নের বিষয়টি পরে অধ্যায়ন করার জন্য অথবা নিজের কাছে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য সরাসরি পিডিএফ(PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।