আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই, আজ আমরা ভূগোলের একটি গুরত্বপূর্ন প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করবো যে প্রশ্নটি ছাত্রছাত্রীরা অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্যন করতে পারবে। তাই প্রশ্নটি তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভৌমজলের গুরুত্ব এই বিষয়টি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ভৌমজলের গুরুত্ব উল্লেখ করো ?
মানবজীবনে ভৌমজলের গুরুত্ব যথেষ্ট । এগুলি হল নিম্নরূপ
- কৃষিকাজে জলসেচঃ চুনাপাথর যুক্ত অঞ্চলে প্রবেশ্য শিলার নিচে যদি অপ্রবেশ্য শিলা থাকে তাহলে সেখানে ভৌমজল পাওয়া যায় । এই জল কৃষিকাজে ও বাগিচা ফসল চাষে সাহায্য করে ।
- শিল্পাঞ্চল স্থাপনঃ আর্দ্র জলবায়ু অঞ্চলের চুনাপাথর গঠিত জায়গায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ভৌমজল সঞ্চিত থাকে । তার ফলে চাষবাস ও শিল্প কাজে এই জলের ভূমিকা উল্লেখযােগ্য । উদাহরণ হিসাবে বলা যায় , উত্তর ফ্রান্সের জনসমৃদ্ধ শিল্পাঞ্চল এই ভৌমজলের উপর নির্ভর করে গড়ে উঠেছে ।
- প্রস্রবণ সৃষ্টিঃ প্রবেশ্য চুনাপাথরের নিচে অপ্রবেশ্য শিলাস্তরের সংযােগস্থল কোনাে কারণে উন্মুক্ত হলে সেখানে প্রস্রবণের সৃষ্টি হয় । এই প্রস্রবণ পানীয় জল সরবরাহ করে জনবসতি গড়ে তুলতে সাহায্য করে ।
- ভূ – তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনঃ উষ্ণ প্রস্রবণ ও গিসার ভৌমজলের দু’টি প্রকৃষ্ট উদাহরণ । এই ভৌমজলের উত্তাপের সাহায্যে ভূ – তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে ওঠে । যেমন ইতালি ও হাঙ্গেরিতে এইরকম বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে ।
- পশুপালনে সাহায্যঃ চুনাপাথর বা কাস্ট অঞ্চলে ভৌমজল অবস্থিতির জন্য ভূপৃষ্ঠ শুকনাে থাকে । তার ফলে কৃষিকার্য অপেক্ষা এই সকল অঞ্চলে পশুখাদ্য তৃণ জন্মায় বলে অধিবাসীরা পশুপালন করে জীবিকা নির্বাহ করে ।
- মনোরম ভূ – প্রকৃতি সৃষ্টিঃ সবশেষে বলা যায় ভৌমজলের কার্যের দ্বারা কোনাে কোনাে চুনাপাথরে গঠিত অঞ্চলে মনােরম ভূ – প্রকৃতির সৃষ্টি হয় । এই ভূ – প্রকৃতি পর্যটকদের আকর্ষণ করে এবং পর্যটন শিল্প গড়ে তুলতে সাহায্য করে । যেমন – দেরাদুনের সহস্রধারা , তপকেশ্বরের গুহা , পােল্যান্ডের টটরা ন্যাশনাল পার্ক পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় স্থান ।
উপরোক্ত অংশ থেকে কোনো বিস্ময় থাকলে অবশ্যই নিচে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করুন। প্রশ্নের বিষয়টি পরে অধ্যায়ন করার জন্য অথবা নিজের কাছে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য সরাসরি পিডিএফ(PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।