ক্ষুদ্র গ্রাম বা হ্যামলেট কী?

0
ক্ষুদ্র গ্রাম বা হ্যামলেট কী?

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই, আজ আমরা ভূগোলের একটি গুরত্বপূর্ন প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করবো যে বিষয়টি পরীক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারা এই বিষয়টি ভালো ভাবে অধ্যায়ন করলে খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্যন করতে পারবে। ক্ষুদ্র গ্রাম বা হ্যামলেট  এই বিষয়টি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। 

Advertisement

ক্ষুদ্র গ্রাম বা হ্যামলেট কী?

সংজ্ঞাঃ

মূল বসতি থেকে দূরে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় খুবই অল্প সংখ্যক জনবসতি নিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে গড়ে ওঠা সতিগুলিকে হ্যামলেট বা ক্ষুদ্র গ্রাম বলে ।

বৈশিষ্ট্যঃ

ক্ষুদ্র গ্রাম বা হ্যামলেট – এর বৈশিষ্ট্যগুলি নিম্নরূপ

  1. সাধারণত প্রাকৃতিক দিক থেকে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে , এমন স্থানগুলিতেই হ্যামলেট গড়ে ওঠে ।
  2. আমাদের দেশে এই ধরনের বসতি অনেক সময় প্রধান গ্রামের অংশ হিসেবে বিবেচিত হয় । প্রধান বসতি থেকে একটু দূরে গড়ে ওঠা এ ধরনের বসতিগুলাে “টোলা” “টুলী” “ছােট” ইত্যাদি নামে পরিচিত । প্রধান বসতির নামের শেষে “ টোলা ” , “ টুলী ” বা নামের আগে “ ছােট ” শব্দ যুক্ত ঐ বসতিগুলাে যে প্রধান বসতিরই অংশ তা বােঝা যায় ।
  3. অনেক সময় গ্রামের শেষ প্রান্তে অবস্থিত এবং প্রধান গ্রাম থেকে সামান্য দূরত্বে গড়ে ওঠা এ ধরনের ক্ষুদ্র গ্রামগুলােতে সাধারণতঃ সমাজের তথাকথিত পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর মানুষেরা বাস করে । বিহারের ছােটনাগপুর মালভূমিতে ইতঃস্তত বিক্ষিপ্তভাবে গড়ে ওঠা বসতিগুলাে এর পরিচায়ক ।
  4. ক্ষুদ্রগ্রামে ৪ / ৫ – টি বাড়ি (যেমন- জলপাইগুড়ি জেলার টাডী বা জোত) থেকে ২০ / ২৫ – টি বাড়ির সমাবেশ দেখা যায় । এসব বসতিতে ক্ষেত্র বিশেষে দুই একটি মুদীখানাও থাকে ।
  5. আশপাশের গ্রাম যদি একটু দূরে থাকে তবে এ ধরনের বসতিতে ইদগা – মসজিদ, দুর্গামণ্ডপও দেখা যায় ।

উপরোক্ত অংশ নিয়ে কোনো বিস্ময় থাকলে অবশ্যই নিচে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি আপনার কোনো সাহায্য হলে আপনার বন্ধুদের কাছে শেয়ার করে তাদের কেও সাহায্য করুন। প্রশ্নটি নিজের কাছে সংরক্ষিত করার জন্য সরাসরি পিডিএফ (PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।