আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই, আজ আমরা ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো যে বিষয়টি ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই বিষয়টি তারা অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্যন করতে পারবে। হিমবাহের কার্য এই বিষয়টি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
হিমবাহের কার্য কি?
বর্তমানে হিমবাহ কেবলমাত্র মেরুপ্রদেশে এবং হিমালয় , আল্পস্ প্রভৃতি সুউচ্চ পর্বতগাত্রে স্বল্প – পরিসর স্থান জুড়ে অবস্থান করতে দেখা যায় । এই স্বল্প – পরিসর স্থান জুড়ে হিমবাহ অবস্থান করায় মনে হতে পারে যে , ভূমিরূপ গঠনে হিমবাহের ভূমিকা বুঝি অতি নগণ্য । কিন্তু ৫০ লক্ষ বৎসর আগে কোয়াটারনারী যুগের প্লিসটোসেন ( Pleistocene ) উপযুগে পৃথিবীর জলবায়ু অতি শীতল ও আর্দ্র থাকায় , এই হিমবাহ উত্তর আমেরিকা , ইউরােপ , এশিয়া ও অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের এক বিশাল অংশ আবৃত করে থাকত । পরে উত্তাপ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই সকল হিমবাহ গলে পশ্চাদপসরণ ( Retreat ) করে এবং আকারে ক্ষুদ্র হয়ে বর্তমানে সুউচ্চ পর্বতগাত্রে ও উচ্চ অক্ষাংশে ( High latitude ) অবস্থান করছে । উত্তর আমেরিকা, ইউরােপ ও সাইবেরিয়ার এক বিস্তীর্ণ অঞ্চল অতীত হিমবাহের কার্যকলাপের স্বাক্ষর আজও বহন করছে ।
বর্তমান সময়ে পৃথিবীর দুই মেরু অঞ্চলে ও উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে অত্যধিক ঠান্ডা । এইসব অঞ্চলে তুষারক্ষেত্র ও হিমবাহ দেখা যায় । অত্যধিক শীতের জন্য পর্বতের উঁচু চুড়ায় ও মেরু অঞ্চলের বায়ুমন্ডলের জলীয়বাষ্প সারা বছর তুষারে জমে থাকে । ভূ-গঠনকারী শক্তি হিসাবে হিমবাহের কার্য মূলত তিনপ্রকার । যথা
- হিমবাহের ক্ষয়কার্য (Erosional Works Of Glacier)
- হিমবাহের বহনকার্য (Transportation of Glacier)
- হিমবাহের অবক্ষেপনকার্য বা হিমবাহের সঞ্চয়কার্য (Depositional Works of Glacier)
উপরের বিষয়টি থেকে কোনো প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই নিচে মন্তব্য করুন এবং বিষয়টি আপনার পছন্দ হলে আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করুন। বিষয়টি পরে অধ্যায়ন করার জন্য বা নিজের কাছে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য সরাসরি পিডিএফ (PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।