হিমপ্রাচীর সম্পর্কে লেখো ?

0
হিমপ্রাচীর সম্পর্কে লেখো ?

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই, আজ আমরা ভূগোলের একটি গুরত্বপূর্ন প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করবো যে প্রশ্নটি ছাত্রছাত্রীরা অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্যন করতে পারবে। তাই প্রশ্নটি তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিমপ্রাচীর এই বিষয়টি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

Advertisement

হিমপ্রাচীর সম্পর্কে লেখো ?

সংজ্ঞাঃ

উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের উত্তর দিক থেকে আগত সবুজ রঙের লাব্রাডর স্রোত ও দক্ষিন দিক থেকে আগত নীল রঙের উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোত যে সীমারেখায় পরস্পরের সাথে মিলিত হয়, তাকে হিমপ্রাচীর বলে ।

অবস্থানঃ

উত্তর আমেরিকার উত্তর পূর্ব দিকে অবস্থিত নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূল বরাবর হিমপ্রাচীর অবস্থিত ।

বৈশিষ্ট্যঃ

হিমপ্রাচীর-এর বৈশিষ্ট্যগুলি হলো নিম্নরূপ

  1. এটি হলো উষ্ণ স্রোত ও শীতল স্রোতের মিলনস্থল ।
  2. এই অঞ্চলে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করে ।
  3. এটি একটি বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্যময় অঞ্চল ।
  4. এই অঞ্চলে সম্পুর্ণ বিপরীতধর্মী ও বিপরীতমুখী দুটি সমুদ্রস্রোত মিলিত হয় ।

প্রভাবঃ

হিমপ্রাচীর-এর প্রভাবগুলি হলো নিম্নরূপ

সুপ্রভাবঃ

  1. শীতল স্রোতবাহিত হিমশৈলগুলি হিমপ্রাচীরে উষ্ণ স্রোত দ্বারা গলে যায় ।
  2. হিমপ্রাচীর প্রত্যক্ষভাবে সামুদ্রিক মগ্নচড়া সৃষ্টি করে । যেমন- গ্র‍্যান্ড ব্যাংক, জর্জেস ব্যাংক প্রভৃতি ।
  3. মগ্নচড়া অঞ্চলে প্রচুর পরিমানে প্লাংকটন জন্মানোর ফলে সামুদ্রিক মৎসের আগমন ঘটে ও বানিজ্যিক মৎসচারণক্ষেত্র গড়ে ওঠে ।
  4. একটি সম্পুর্ণ সংগঠিত বাস্তুতান্ত্রিক পরিবেশ গড়ে ওঠে ।

কুপ্রভাবঃ

  1. উষ্ণ স্রোত ও শীতল স্রোতের মিলনের ফলে ঝড়-ঝঞ্ঝা ও কুয়াশার সৃষ্টি হয় ।
  2. এই অঞ্চলের দুর্যোগপূর্ণ পরিবেশ ও অদৃশ্যমানতা জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে অসুবিধা সৃষ্টি করে ।

উপরোক্ত অংশ থেকে কোনো বিস্ময় থাকলে অবশ্যই নিচে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করুন। প্রশ্নের বিষয়টি পরে অধ্যায়ন করার জন্য অথবা নিজের কাছে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য সরাসরি পিডিএফ(PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।