ভূ-বৈচিত্রসূচক মানচিত্র সম্পর্কে লেখো ?

0
ভূ-বৈচিত্রসূচক মানচিত্র বা ভূ-বিবরণী মানচিত্র সম্পর্কে লেখো ?

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই আজ আমরা অধ্যায়ন করবো ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে যে বিষয়টি পরীক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই উপকারী। এই বিষয়টি ছাত্রছাত্রীরা অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্যন করতে পারবে তাই তাদের কাছে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভূ-বৈচিত্রসূচক মানচিত্র বা ভূ-বিবরণী মানচিত্র এই বিষয়টি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

Advertisement

ভূ-বৈচিত্রসূচক মানচিত্র বা ভূ-বিবরণী মানচিত্র সম্পর্কে লেখো ?

সংজ্ঞাঃ কোনো একটি অঞ্চলের সঠিক অবস্থান, আয়তন এবং প্রাকৃতিক বিষয়াবলী (ভূ-প্রকৃতি, নদনদী ও স্বাভাবিক উদ্ভিদ) ও সাংস্কৃতিক বিষয়াবলী (পরিবহন-যোগাযোগ, জনবসতি) কে বিভিন্ন প্রচলিত প্রতীকচিহ্ন দ্বারা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে চিত্রায়িত করে যে মানচিত্র প্রস্তুত করা হয়, তাকে ভূ-বৈচিত্রসূচক মানচিত্র বা ভূ-বিবরণী মানচিত্র (Topographical Map) বলে । “Topographical” শব্দটি উৎপত্তিলাভ করেছে গ্রীক শব্দ “Topes” যার অর্থ স্থান ও “Graphons” যার অর্থ অঙ্কন, এই দুটি শব্দের মিলনের ফলে ।

বৈশিষ্ট্যঃ

ভূ-বৈচিত্রসূচক মানচিত্রএর বৈশিষ্ট্যগুলি হলো নিম্নরূপ –

  1. মানচিত্রের একদম উপরিভাগে মানচিত্রের সূচক সংখ্যা নির্দেশিত থাকে ।
  2. মানচিত্রের উপরে সংশ্লিষ্ট রাজ্য ও জেলার নাম উল্লিখিত থাকে ।
  3. প্রত্যেক মানচিত্রে একটি সুনির্দিষ্ট স্কেল অবশ্যই থাকবে । যেমন – RF 1:150000
  4. মানচিত্রটি নির্দিষ্ট অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ দ্বারা চিহ্নিত থাকে ।
  5. মানচিত্রের বিষয়াবলীকে প্রচলিত বিভিন্ন চিহ্ন, সংকেত ও রঙের সাহায্যে উপস্থাপন করা হয় ।
  6. মানচিত্রটিতে জরিপকাল, প্রকাশনাকাল ও তত্ত্বাবধায়কের নাম উল্লিখিত থাকে ।
  7. মানচিত্রটিতে ভূ-প্রকৃতি, নদনদী, স্বাভাবিক উদ্ভিদ প্রভৃতি প্রাকৃতিক বিষয়াবলী ও পরিবহন-যোগাযোগ, জনবসতি প্রভৃতি সাংস্কৃতিক বিষয়াবলীকে উপাদান হিসাবে উপস্থাপন করা হয় ।

উপরোক্ত অংশ থেকে কোনো বিস্ময় থাকলে অবশ্যই নিচে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি আপনার কোনো সাহায্যপ্রাপ্ত হলে আপনার বন্ধুদের কাছেও প্রশ্নের বিষয়টি শেয়ার করুন। বিষয়টি পরে অধ্যায়ন করার জন্য বা নিজের কাছে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য সরাসরি পিডিএফ (PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।