আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই, আজ আমরা ভূগোলের একটি গুরত্বপূর্ন প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করবো যে প্রশ্নটি ছাত্রছাত্রীরা অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্যন করতে পারবে। তাই প্রশ্নটি তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকম্পের ছায়া বলয় এই বিষয়টি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ভূমিকম্পের ছায়া বলয় সম্পর্কে লেখো ?
সংজ্ঞাঃ
ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র থেকে ১০৪° থেকে ১৪০° কৌণিক দূরত্বের অঞ্চলে ভূমিকম্পের কোন তরঙ্গই পৌছাতে পারে না, তাই এই অঞ্চলকে ভূমিকম্পের ছায়া বলয় বা ছায়া অঞ্চল (Seismic Shadow Zone) বলে । প্রফেসর উইসার্ট, বেনো গুটেনবার্গ প্রমুখ ভূ-কম্পবিদ ভূমিকম্পের এই ছায়া বলয়ের উপস্থিতি নিয়ে সর্বপ্রথম আলোচনা করেন ।
তরঙ্গহীনতার কারনঃ
আমরা জানি, ভূমিকম্পের গৌণ তরঙ্গ বা S – তরঙ্গ (Secondary Wave) তরল পদার্থের মধ্য দিয়ে সঞ্চারিত হতে পারে না এবং পাশাপাশি প্রাথমিক তরঙ্গ বা P – তরঙ্গও (Primary Wave) তরল পদার্থে প্রতিসরিত হয় । ফলে ১০৪° থেকে ১৪০° ভূকেন্দ্রিক কৌণিক দূরত্বের মধ্যে তরল পদার্থের উপস্থিতি ও ঘনত্বের তারতম্যের জন্য S – তরঙ্গ এই অঞ্চলে প্রবেশমাত্র বিনষ্ট হয় এবং P – তরঙ্গ প্রতিসরিত হয়ে এই অঞ্চল এড়িয়ে প্রবাহিত হয়; যে কারণে এই অঞ্চল তরঙ্গহীন ভাবেই থেকে যায় ।
বৈশিষ্ট্যঃ
ভূমিকম্পের ছায়া বলয় – এর বৈশিষ্ট্যগুলি হলো নিম্নরূপ
- এই অঞ্চল ভূমিকম্পের উপকেন্দ্রের প্রায় বিপরীত দিকে অবস্থিত ।
- এই অঞ্চলের ভূকেন্দ্রিক কৌণিক বিস্তার ১০৪° থেকে ১৪০° ।
- উপকেন্দ্র থেকে এই অঞ্চলের রৈখিক দূরত্ব প্রায় ১১৫০০ কিমি থেকে ১৫৯৪০ কিমি ।
- এই অঞ্চলে বিভিন্ন ঘনত্বের তরল পদার্থের উপস্থিতি লক্ষ্যনীয় ।
- সিসমোগ্রাফে এই অঞ্চলে কোনওপ্রকার তরঙ্গের উপস্থিতি ধরা পড়ে না ।
- P – তরঙ্গ এই অঞ্চলে প্রতিসরিত ও S – তরঙ্গ এই অঞ্চলে বিনষ্ট হয় ।
- সৃষ্ট ছায়া অঞ্চলের পরিমাণ P তরঙ্গ দ্বারা প্রায় ২৬.৫ % এবং S – তরঙ্গ দ্বারা প্রায় ৩৭ % ।
উপরোক্ত অংশ থেকে কোনো বিস্ময় থাকলে অবশ্যই নিচে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করুন। প্রশ্নের বিষয়টি পরে অধ্যায়ন করার জন্য অথবা নিজের কাছে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য সরাসরি পিডিএফ(PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।
120-143 ডিগ্রী কৌণিক দূরত্ব তাকে