ভারতের উপকূলীয় সমভূমি ?

0
ভারতের উপকূলীয় সমভূমি সম্পর্কে লেখ?

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই, আজ আমরা ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো যে বিষয়টি পরীক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি তারা অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় খুব ভালো নম্বর অর্যন করতে পারবে। ভারতের উপকূলীয় সমভূমি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। 

Advertisement

ভারতের উপকূলীয় সমভূমি সম্পর্কে লেখ?

পরিচিতিঃ সমুদ্র তীরবর্তী সমভূমি অঞ্চলকে এক কথায় উপকূলীয় সমভূমি বলা হয় । ভারতের উপদ্বীপ অঞ্চলের উভয়তট বেষ্টন করে আছে ভারতের উপকূলীয় সমভূমি ।

অবস্থানঃ পশ্চিম থেকে পূর্বে বিস্তৃত ত্রিভুজাকৃতি দক্ষিণ ভারতের পশ্চিমদিকে আরবসাগর এবং পূর্বদিকে বঙ্গোপসাগর অবস্থান করছে । গুজরাটের দক্ষিণ অংশ থেকে শুরু করে মহারাষ্ট্র , গােয়া , দমন , দিউ , কর্ণাটক ও কেরালা রাজ্য আরবসাগরের তীরে অবস্থিত , অর্থাৎ এরা ভারতের পশ্চিম উপকূলবর্তী রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল । আবার সমগ্র তামিলনাড়ু , অন্ধ্রপ্রদেশ , ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ অংশ ভারতের পূর্বদিকে অবস্থিত বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী হওয়ায় এইসব রাজ্যকে পূর্ব উপকূলবর্তী রাজ্য বলা হয় । প্রায় ৩,১০০ কিলােমিটার লম্বা ভারতীয় উপকূলভাগ দীর্ঘ এবং সংকীর্ণ সমভূমি দ্বারা গঠিত ।

শ্রেণীবিভাগঃ ভূ – প্রকৃতিগত পার্থক্য অনুসারে ভারতের উপকূলের সমভূমিকে দু’ভাগে ভাগ করা যায় , যথা – ক ) পূর্ব উপকূলের সমভূমি এবং ( খ ) পশ্চিম উপকূলের সমভূমি । নিচে এদের সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল –

পূর্ব উপকূলের সমভূমিঃ

অবস্থান ও বিস্তারঃ বঙ্গোপসাগরের উপকূলভাগে ওড়িশা , অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু রাজ্যের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত এই পূর্ব উপকূলের সমভূমি উত্তরে ওড়িশা থেকে দক্ষিণেতামিলনাড়ু রাজ্যের দক্ষিণ প্রান্ত পর্যন্ত প্রায় ১,৫০০ কিলােমিটার দীর্ঘ অঞ্চল জুড়ে অবস্থান করছে । পশ্চিমে পূর্বঘাট পর্বত থেকে পূর্বে বঙ্গোপসাগরের উপকূলভাগ পর্যন্ত বিস্তৃত এই সমভূমির গড় বিস্তার ১০০ কিলােমিটার এবং সেই হিসাবে এই সমভূমি অঞ্চলটি পশ্চিম উপকূলের সমভূমির তুলনায় অনেক বেশী প্রশস্ত । বিশেষত মহানদী , গােদাবরী , কৃষ্ণা ও কাবেরীর ব – দ্বীপ অঞ্চলে এই উপকূলভূমি পূর্ব – পশ্চিমে বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে ।
শ্রেণীবিভাগঃ উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রায় ১,৫০০ কিলােমিটার দীর্ঘ সমগ্র পূর্ব উপকূলকে প্রধান দু’ভাগে ভাগ করা যায় , যথা  

উত্তর সরকার উপকূলঃ

ওড়িশার সুবর্ণরেখা নদীর মােহনা থেকে অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা নদীর ব – দ্বীপের পূর্বভাগ পর্যন্ত বিস্তৃত উপকূল ভাগকে উত্তর সরকার উপকূল বলা হয় ।
শ্রেণীবিভাগ : উত্তর সরকার উপকূলটি দুই ভাগে বিভক্ত । যথা –

(a) ওড়িশা বা উৎকল উপকূলঃ
উত্তর সরকার উপকূলের উত্তরভাগে অবস্থিত উৎকল বা ওড়িশা উপকূল অঞ্চলটি প্রধানত মহানদী , বৈতরণী এবং ব্রাহ্মণী নদী তিনটির ব – দ্বীপ নিয়ে গঠিত হয়েছে । ওড়িশা উপকূলকে মহানদী ব – দ্বীপ অঞ্চলও বলা হয় ।
ভূ – প্রকৃতিঃ প্রধানত পলিগঠিত নিম্নভূমি , জলাভূমি এবং ছােট ছােট বালিয়াড়ি নিয়ে উৎকল উপকূল অঞ্চলটি গঠিত । মহানদী ব – দ্বীপের দক্ষিণে ভারতের বৃহত্তম উপহ্রদ চিল্কা অবস্থিত । চিল্কা উপহ্রদটি প্রকৃতপক্ষে বঙ্গোপসাগরের একটি বিচ্ছিন্ন অংশ এবং প্রায় ২০০ মিটার উঁচু একটি বালুচর চিল্কাকে বঙ্গোপসাগর থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে , ফলে চিল্কার জল লবণাক্ত ।

(b) অন্ধ্র উপকূল : উৎকল উপকূলের পশ্চিমে অবস্থিত অন্ধ্র উপকূল অঞ্চলটি চিল্কা উপহ্রদ থেকে কৃষ্ণা নদীর মােহনা পর্যন্ত বিস্তৃত ।
ভূ – প্রকৃতিঃ এই অঞ্চলটি প্রাচীন শিলা গঠিত উচ্চভূমি এবং কৃষ্ণমৃত্তিকা গঠিত সমভূমি অঞ্চল নিয়ে গঠিত হয়েছে । অন্ধ্র উপকূলের কৃষ্ণা ও গােদাবরী নদীর ব – দ্বীপ অঞ্চল মােহনা থেকে পশ্চিমদিকে স্থলভাগের মধ্যে দিয়ে বহুদূর পর্যন্ত ( ২৮০ কিলােমিটার ) প্রসারিত হয়েছে ।  গােদাবরী ও কৃষার ব – দ্বীপের মধ্যে কোলার হ্রদ অবস্থিত ।

করমণ্ডল উপকূলঃ

কৃষ্ণা নদীর ব – দ্বীপের পশ্চিমভাগ থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত বিস্তৃত উপকূলভাগকে করমণ্ডল উপকূল বলে । এছাড়া , পুলিকট উপহ্রদ থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত বিস্তৃত উপকূলকে তামিলনাড়ু উপকূলও বলা হয় ।
ভূ – প্রকৃতি : তামিলনাড়ু উপকূলের কাবেরী নদী গঠিত বিশাল ব – দ্বীপ অঞ্চলটি মােহনা থেকে পশ্চিমদিকে দাক্ষিণাত্যের স্থলভাগের মধ্যে দিয়ে পূর্ব – পশ্চিমে প্রায় ১০০ কিলােমিটার প্রসারিত হয়েছে । তামিলনাড়ু উপকূলের থাঞ্জাভুর জেলায় বছরে দু’বার ( বর্ষা ও শীতের শুরুতে ) বৃষ্টিপাত হয় । প্রচুর বৃষ্টিপাত ও উর্বর মৃত্তিকার জন্য এই অঞ্চলে প্রচুর ফসল জন্মায় , এই জন্য এই অঞ্চলকে দক্ষিণ ভারতের শস্যভাণ্ডার ’ বলে । ০ তামিলনাড়ু উপকূলে মাদ্রাজ ( চেন্নাই ) শহরের কাছে পুলিকট উপহ্রদ এবং গােদাবরী ও কৃষার ব – দ্বীপের মধ্যে কোলার হ্রদ অবস্থান করছে । এ করমণ্ডল উপকূলের দক্ষিণাংশে অবস্থিত মান্নার উপসাগর ও পক প্রণালী তামিলনাড়ু থেকে শ্রীলঙ্কাকে বিচ্ছিন্ন করেছে ।

পশ্চিম উপকূলের সমভূমিঃ

অবস্থান ও বিস্তারঃ ভারতের পশ্চিম দিকে আরবসাগরের উপকূলবর্তী এই সমভূমি উত্তরে নর্মদা নদীর তীরে অবস্থিত ব্রোচ বন্দর থেকে শুরু করে দক্ষিণে কন্যাকুমারিকা অন্তরীপ পর্যন্ত প্রায় ১,৬০০ কিলােমিটার দীর্ঘ অঞ্চল জুড়ে অবস্থান করছে । পশ্চিমে আরবসাগর থেকে পূর্বে পশ্চিমঘাট পর্বতমালা পর্যন্ত বিস্তৃত এই সমভূমির প্রস্থ ১০ থেকে ৮০ কিলােমিটার । দক্ষিণ থেকে উত্তরে কেরালা , কর্ণাটক , গােয়া , মহারাষ্ট্র ও গুজরাট — আরবসাগরের তীরে অবস্থিত ভারতের পশ্চিম উপকূলবর্তী এই ৫ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দাদরা ও নগর হাভেলি এই সমভূমি অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত ।

শ্রেণীবিভাগঃ ভূ – প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য অনুসারে পশ্চিম উপকূলের সমভূমিকে উত্তর – দক্ষিণে ৪ টি প্রাকৃতিক ভাগে ভাগ করা যায় , এরা হল – ১. গুজরাট উপকূল , ২. কঙ্কণ উপকূল সমভূমি , ৩. কর্ণাটক উপকূল সমভূমি এবং ৪. মালাবার উপকূল সমভূমি । নিচে এগুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল

গুজরাট উপকূলঃ

গুজরাট উপকূলকে ভূ-প্রকৃতি অনুসারে চারভাগে ভাগ করা হয় । যথা –
(a) রণঃ গুজরাট রাজ্যের উত্তরে এবং কচ্ছ উপদ্বীপের উত্তর ও পূর্বাংশে ৭৩,৬০০ বর্গ কিলােমিটার বিস্তৃত অগভীর জলাভূমিকে রণ ( Rann ) বলা হয় ( রণ ’ শব্দের অর্থ কর্দমাক্ত ও লবণাক্ত নিম্নভূমি ) । উত্তরের অংশ বৃহৎ রণ ও পূর্বের অংশ ক্ষুদ্র রণ নামে পরিচিত । বর্ষাকালে এই অঞ্চল সমুদ্র এবং লুনি , বাণস প্রভৃতি নদ – নদীর দ্বারা প্লাবিত হয় । গ্রীষ্মকালে এই অঞ্চল সম্পূর্ণ শুষ্ক , উদ্ভিদহীন ও সাদা লবণে ঢাকা বালুকাময় প্রান্তরে ( সমভূমি অঞ্চলে ) রূপান্তরিত হয় । 

(b) কচ্ছ উপদ্বীপঃ রণের দক্ষিণে কচ্ছ উপদ্বীপ অবস্থিত । “ কচ্ছ ” শব্দের অর্থ জলময় দেশ । কচ্ছ উপদ্বীপ অঞ্চলের উত্তর ও দক্ষিণের সমুদ্র – সংলগ্ন অংশে পলিগঠিত সমভূমি এবং মধ্যভাগে ৩১৫-৩৮৫ মিটার উঁচু বেলেপাথরের পাহাড় দেখা যায় । ভারতের পশ্চিম উপকূলে গুজরাট রাজ্যের ওখার কাছে আরবসাগরের একটি অংশ গুজরাট রাজ্যের অভ্যন্তরে কান্দালা বন্দরের কিছু বেশী দূর পর্যন্ত প্রসারিত হয়েছে , একে কচ্ছ উপসাগর বলে । 

(c) কাথিয়াবাড় উপদ্বীপঃ খাম্বাত উপসাগর , আরবসাগর এবং কচ্ছ উপসাগর দিয়ে তিন দিকে সমুদ্রবেষ্টিত নীচু মালভূমি ও সমভূমি অঞ্চল কাথিয়াবাড় উপদ্বীপ নামে পরিচিত । এই অঞ্চলের উত্তর – পূর্ব দিকের নীচু জলাভূমিকে নলহ্রদ বলে । কাথিয়াবাড় উপদ্বীপ অঞ্চলটি প্রকৃতিতে নবীন শিলা ও লাভাগঠিত একটি মালভূমি । দীর্ঘকাল ভূমিক্ষয়ের ফলে এই অঞ্চলের উপরিভাগ বর্তমানে সমতল হয়েছে । এই অঞ্চলের পাহাড়গুলাের মধ্যে গির , ওসম , বদা , গিরণর ( সর্বোচ্চ পাহাড় : উচ্চতা ১,১১৭ মিটার ) উল্লেখযােগ্য ।

(d) গুজরাট সমভূমিঃ গুজরাটের পূর্বাংশের সমভূমি অঞ্চল প্রকৃতিতে সিন্ধু গাঙ্গেয় সমভূমির সঙ্গে তুলনীয় এবং দাক্ষিণাত্যের মালভূমি অঞ্চলের মধ্যে একটি ব্যতিক্রম । সবরমতী , মাহী , নর্মদা , তাপ্তি প্রভৃতি সমান্তরাল ও পশ্চিম – বাহিনী নদীবাহিত বিপুল পলিরাশি খাম্বাত বা কাম্বে উপসাগরে ক্রমাগত অবক্ষেপিত হওয়ার ফলে এই সমভূমির সীমানা ক্রমশ পশ্চিমদিকে বৃদ্ধি পাচ্ছে । ভারতের পশ্চিম উপকূলে আরবসাগরের একটি অংশ খাম্বাত উপসাগর নামে বরােদা ও ভবনগর – এর মধ্যবর্তী খাম্বাত পর্যন্ত উত্তর – পূর্ব দিকে প্রসারিত হয়েছে । 

কঙ্কন উপকূল সমভূমিঃ

পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিমদিকে আরবসাগরের উপকূল জুড়ে বিস্তৃত এবং উত্তরে সুরাট থেকে দক্ষিণে গােয়া পর্যন্ত প্রসারিত প্রায় ৫৩০ কিলােমিটার দীর্ঘ সমভূমিকে কঙ্কণ উপকূল সমভূমি বলা হয় । এই সমভূমির উপকূলভাগ খুবই ভগ্ন ও সংকীর্ণ । এত ভগ্ন উপকূলভাগ ভারতের আর কোথাও দেখতে পাওয়া যায় না । স্থানে স্থানে কাদা ভর্তি জলাভূমি , বালুকাময় তটভূমি , সামুদ্রিক চড়া এবং লাভা গঠিত পাহাড় কোঙ্কণ উপকূলের সমভূমিকে বৈচিত্র্যপূর্ণ করেছে । বৈতরণী , অম্বা ও উলহাস নদী প্রবাহিত হয়ে কঙ্কণ উপকূলের সমুদ্রে খড়ি সৃষ্টি করেছে । ভারতের শ্রেষ্ঠ বন্দর বােম্বাই কঙ্কণ উপকূলে অবস্থিত । পশ্চিমঘাট পর্বতমালা থেকে মাঝে মাঝে শৈলশিরা বের হয়ে কঙ্কণ উপকূলের নিম্নভূমি অতিক্রম করে সমুদ্রতীর পর্যন্ত চলে আসার জন্য কঙ্কণ উপকূলের সমভূমি নিরবচ্ছিন্ন নয় ।

কর্ণাটক উপকূল সমভূমিঃ

কঙ্কণ উপকূলের দক্ষিণে কর্ণাটক রাজ্যে আরবসাগরের উপকূলে অবস্থিত কর্ণাটক উপকূল – ও সঙ্কীর্ণ তবে ম্যাঙ্গালােরের কাছে এই উপকূলভাগ প্রায় ৭০ কিলােমিটার প্রশস্ত । স্থানে স্থানে ছােট ছােট বালিয়াড়ি , কাদাগঠিত নিম্ন সমভূমি , ছােট ছােট উপহদ , সঙ্কীর্ণ নদী উপত্যকা এবং পশ্চিমঘাট পর্বতের পাদদেশবর্তী ল্যাটারাইট আবৃত নিম্ন মালভূমি হল কর্ণাটক উপকূলের উল্লেখযােগ্য ভূ – প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য । নেত্রবতী , সারাবতী এবং কালী এই অঞ্চলের উল্লেখযােগ্য নদী ।

মালাবার উপকূল সমভূমিঃ

কর্ণাটক রাজ্যের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে কেরল রাজ্যের উপকূল হয়ে তামিলনাড়ু রাজ্যের কন্যাকুমারী জেলা পর্যন্ত প্রসারিত উপকূলের সমভূমি মালাবার উপকূল সমভূমি নামে পরিচিত । মালাবার উপকূল , কঙ্কণ উপকূল ও কর্ণাটক উপকূলের তুলনায় অনেক বেশী চওড়া হওয়ায় মালাবার উপকূলে অসংখ্য বালিয়াড়ি , জলাভূমি , হ্রদ , উপহ্রদ বা লেগুন প্রভৃতি দেখতে পাওয়া যায় । এইসব উপহ্রদগুলােকে কেরালায় কয়াল বলে । এর মধ্যে প্রায় ৮০ কিলােমিটার দীর্ঘ উপহ্রদ ভেমনাদ কয়াল ’ বিখ্যাত । কেরালা উপকূলের জলাভূমি ব্যাক ওয়াটার্স ’ নামে বিশেষ পরিচিত । ভূ-প্রাকৃতিক দিক থেকে মালাবার উপকূলের সমভূমিকে ৪ ভাগে ভাগ করা যায় , যথা

  • সমুদ্র সংলগ্ন বালুকাময় বেলাভূমি ও ছােট ছােট বালিয়াড়ি , স্থানীয়ভাবে যার নাম থেরিস ।
  • উপকূলের কাছাকাছি আরবসাগরের অগভীর অংশ পলি দিয়ে ভরাট হয়ে পলিগঠিত উপকূলীয় সমভূমি গঠন করেছে ।
  • পশ্চিমঘাট পর্বত সন্নিহিত রূপান্তরিত নাইস শিলার দ্বারা গঠিত অঞ্চল উঁচু – নীচু ও তরঙ্গায়িত । এই অঞ্চলে গভীর চিরহরিৎ বনভূমির সৃষ্টি হয়েছে ।
  • উপকূলীয় সমভূমি ও পশ্চিমঘাট পর্বত সন্নিহিত তরঙ্গায়িত অঞ্চলের মধ্যবর্তী অংশ নীচু মালভূমি – যা বর্তমানে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে সমপ্রায় ভূমিতে পরিণত হয়েছে ।

বালিময় বেলাভূমি , বালিয়াড়ি এবং উপহ্রদ বা কয়াল হল মালাবার উপকূলের উল্লেখযােগ্য ভূ – প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য ।

উপরোক্ত অংশ থেকে কোনো বিস্ময় থাকলে অবশ্যই নিচে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করুন। প্রশ্নগুলি নিজের কাছে সংরক্ষিত করার জন্য সরাসরি পিডিএফ (PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।