আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই, আজ আমরা একটি গুরত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো ব্রহ্মপুত্র নদ বন্যাপ্রবণ কেন বিষয়টি প্রচুর ক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য। অনেক ক্ষেত্রে পরীক্ষার ক্ষেত্রেও ব্যাবহার হয়ে থাকে তাই ছাত্রছাত্রীদের বিষয়টি অধ্যায়ন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়টি ছাত্রছাত্রীরা অধ্যায়ন করলে তারা সহজেই খুব ভালো নম্বর পেতে পারবে বিষয়টি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ব্রহ্মপুত্র নদ বন্যাপ্রবণ কেন?
ভারতের প্রধান প্রধান নদ – নদীগুলির মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । এই নদের মােট দৈর্ঘ্য ২৮৯০ কিঃ মিঃ , যার মধ্যে ভারতে এর প্রবাহপথ ৮৮৫ কিঃ মিঃ । ব্রহ্মপুত্র নদ তিব্বতের মানস সরোবর হ্রদের ১০০ কিঃ মিঃ দক্ষিণ – পূর্বে ৫,১৫০ মিঃ উচ্চতায় অবস্থিত চেমায়ুং দং নামক হিমবাহ থেকে উৎপন্ন হয়ে সাংপো নামে তিব্বতের দক্ষিণ দিয়ে পূর্ব দিকে ১,৬৯৫ কিঃ মিঃ পথ প্রবাহিত হয়েছে । প্রায় প্রতিবছরই এই নদে বন্যার সৃষ্টি হয় । ফলে বিস্তীর্ণ অঞ্চল বন্যার জলে প্লাবিত হয় । নিচে ব্রহ্মপুত্র নদ বন্যাপ্রবণ কেন তা সম্পর্কে আলোচনা করা হল
- অগভীর নদীখাতঃ ব্রহ্মপুত্র নদ অসমের যে অংশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে সেখানে নদীখাতের ঢাল অত্যন্ত কম । তাই নদীবাহিত বিপুল পরিমাণ পলি বহন করতে না পেরে নদীখাতে সঞ্চয় করে । বহু বছর ধরে এভাবে পলি সঞ্চয়ের ফলে ব্রহ্মপুত্র নদের গভীরতা বর্তমানে যথেষ্ট হাস পেয়েছে । এর ফলে নদীর জলধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় সহজেই বন্যার সৃষ্টি হয় ।
- অধিক জলের যোগানঃ গ্রীষ্ম – বর্ষাকালে সাংপাে নদ যখন তিব্বতের উর্ধপ্রবাহ অঞ্চল থেকে প্রচুর পরিমাণে বরফগলা জল বহন করে আনে , সেই সময় অসমেও প্রবল বর্ষণ হয় । অগভীর ব্রক্ষ্মপুত্রের খাতে যখন ওই বরফগলা জল ও বৃষ্টির জল এসে পড়ে , তখন তা বহন করার ক্ষমতা ব্রহ্মপুত্রের আর থাকে না । ফলে দুকূল ছাপিয়ে বন্যা হয় ।
- অবস্থানঃ হিমালয় ও মেঘালয় মালভূমির মধ্যবর্তী সংকীর্ণ উপত্যকার মধ্য দিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদ প্রবাহিত হয়েছে । বন্যা সৃষ্টির এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ।
- বালুচর ও দ্বীপের উপস্থিতিঃ ব্রহ্মপুত্র নদের অগভীর প্রশস্ত উপত্যকায় পলি সঞ্চয়ের ফলে অসংখ্য বালুচর ও দ্বীপের সৃষ্টি হয়েছে । বর্ষাকালে এগুলি জলপ্রবাহে বাধার সৃষ্টি করে । ফলে বন্যার সৃষ্টি হয় ।
- কম ভূমিঢালঃ ব্রহ্মপুত্র নদ অসমের যে অংশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে , সেখানে ভূমির ঢাল খুবই কম । এজন্য ব্রহ্মপুত্র নদের গতি অত্যন্ত ধীর এবং পলির বহনক্ষমতাও সামান্য । তাই ব্রহ্মপুত্র এবং তার উপনদীগুলি তাদের উর্দ্ধপ্রবাহ অঞ্চল থেকে যে পরিমাণ পলি বহন করে আনে তার বেশিরভাগই এখানকার নদীখাতে জমা হয় । এইভাবে বহুবছর ধরে পলি সঞ্চিত হওয়ার ফলে ব্রহ্মপুত্র নদের গভীরতা বর্তমানে যথেষ্ট হ্রাস পেয়েছে ।
উপরোক্ত বিষয়টি নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই নিচে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি থেকে আপনার সাহায্য হলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করে তাদের কেও সাহায্য করুন। বিষয়টি পরে অধ্যায়ন করা বা নিজের কাছে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য সরাসরি পিডিএফ (PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।