বায়ুপ্রবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ কি কি?

4

বায়ুপ্রবাহ দ্বারা শিলাস্তূপ তথা ভূপৃষ্ঠের ক্ষয়কে বায়ুর ক্ষয়কার্য বলে এবং যে পদ্ধতিগুলির মধ্য দিয়ে বায়ুপ্রবাহের এই কার্য সম্পন্ন হয়, তাদের বায়ুর ক্ষয়কার্যের পদ্ধতি বলা হয় । বায়ুপ্রবাহের প্রধান কাজ ক্ষয়সাধন করা । শুষ্ক প্রায় উদ্ভিদশূন্য মরু অঞ্চলে বায়ুপ্রবাহ সহজেই বালুকণাকে উপরে তুলে উড়িয়ে নিয়ে যায় । ভূমিভাগ বা মাটির কাছাকাছি বায়ু প্রবাহের গতিবেগ কম হয় । কারণ ভূমিভাগের সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে বায়ুপ্রবাহের শক্তি কিছুটা কমে যায় । আবার মাটি থেকে বেশি উপরে বায়ুতে বাহিত বালিরাশির পরিমাণ কমে যাওয়ার দরুন বায়ুপ্রবাহের ক্ষয় করার শক্তি কম হয় । তাই এর মাঝামাঝি জায়গায় অর্থাৎ , মাটি থেকে মিটারখানেক উপরে বায়ুপ্রবাহের ক্ষয় করার ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি হয় । কারণ এই অংশে একদিকে বায়ুপ্রবাহের গতিবেগ থাকে বেশি, আবার অপরদিকে বায়ুতে বালুকণার পরিমাণও থাকে বেশি । সেই জন্য ভূমির কিছু উপরে দন্ডায়মান পাথরের স্তূপ বা শিলাময় ভূমির ক্ষয় বেশি হয় । এর ফলে বৈচিত্র্যময় বিভিন্ন প্রকার ভূমিরূপের সৃষ্টি হয় । বায়ুপ্রবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট এইসকল বৈচিত্র্যময় বিভিন্ন প্রকার ভূমিরূপ গুলি হল –
১. গৌর (Gour) [Read More…],
২. ইয়ার্দাং (Yardang) [Read More…],
৩. জুইগেন (Zeugen) [Read More…],
৪. ইনসেলবার্জ (Inselberg) [Read More…] ,
৫. ভেন্টিফ্যাক্ট (Ventifact) [Read More…],
৬. ড্রেইকান্টার (Dreikanter) [Read More…],
৭. অপসারণজনিত গর্ত (Blow-Out) [Read More…],
৮. হামাদা (Hammada) [Read More…] প্রভৃতি ।
***পরবর্তী পোষ্টে উপরিউক্ত ভূমিরূপগুলি সম্পর্কে পর্যায়ক্রমে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-

4 COMMENTS

  1. দুঃখিত বিশ্বজিৎ, নোটস বলতে যেটা তোমার প্রয়োজন সেটা আমি তোমায় আনঅফিসিয়ালি দিতে পারছি না । তবে এখানে মানে ব্লগে যতটুকু পারি দেওয়ার জন্য টাইপিং করছি; হয়ত আগামীতে কখনও দিতে পারবো ।

Comments are closed.