আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই আজ আমরা অধ্যায়ন করবো ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে যে বিষয়টি পরীক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই উপকারী। এই বিষয়টি ছাত্রছাত্রীরা অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্যন করতে পারবে তাই তাদের কাছে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্লাবনভূমি কি এই বিষয়টি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
প্লাবনভূমি কি?
সংজ্ঞাঃ
নিম্নপ্রবাহে প্রায়ই প্লাবনের ফলে নদীর দুই কূল ভেসে জলে ডুবে যায় এবং তাতে পলি সঞ্চিত হয়ে ক্রমশ যে পলিগঠিত সমভূমি সৃষ্টি হয়, তাকে প্লাবনভূমি (Flood Plain) বলে ।
উদাঃ
ভাগীরথী-হুগলী (গঙ্গা), নীল, ইয়াং সিকিয়াং প্রভৃতি নদ-নদীর নিম্নপ্রবাহ জুড়ে বহু প্লাবনভূমি রয়েছে ।
উৎপত্তিঃ
নদী তার নিম্নগতিতে সমুদ্রের কাছাকাছি চলে এলে ভূমির ঢাল হ্রাস পায় এবং নদীবাহিত সূক্ষ্ম কর্দম, পলি, বালি প্রভৃতি নদীগর্ভে সঞ্চিত হতে থাকে । ফলে নদীবক্ষ ভরাট হয়ে নদীর গভীরতা ক্রমশ কমে যায় । এমতাবস্থায়, বর্ষাকালে নদীতে হঠাৎ জল বেড়ে গেলে এই অগভীর উপত্যকা ছাপিয়ে নদীর দুই কূলের নীচু জমি প্লাবিত হয় । এভাবে বছরের পর বছর ধরে প্লাবিত অঞ্চলে নদীবাহিত পলি, বালি, কর্দম প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে ক্রমশ প্লাবনভূমি সৃষ্টি হয় ।
বৈশিষ্ট্যঃ
প্লাবনভূমি – র বৈশিষ্ট্যগুলি হলো নিম্নরূপ
- বছরের পর বছর ধরে প্লাবনের ফলে প্লাবনভূমি সৃষ্টি হয়; এমনকি গঠনের কয়েক বছর পরেও এটি পুনরায় প্লাবিত হতে পারে ।
- এটি মোটামুটি সমতল প্রকৃতির হয় ।
- এটি খুবই উর্ব্বর প্রকৃতির হয় ।
- প্লাবনভূমি দৈর্ঘ্যে মোটামুটি ৩০-৬০ কিমি এবং প্রস্থে কয়েক মিটার থেকে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে ।
উপরোক্ত অংশ থেকে কোনো বিস্ময় থাকলে অবশ্যই নিচে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি আপনার কোনো সাহায্যপ্রাপ্ত হলে আপনার বন্ধুদের কাছেও প্রশ্নের বিষয়টি শেয়ার করুন। বিষয়টি পরে অধ্যায়ন করার জন্য বা নিজের কাছে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য সরাসরি পিডিএফ (PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।
[email protected]
Comments are closed.