আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই আজ আমরা অধ্যায়ন করবো ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে যে বিষয়টি পরীক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই উপকারী। এই বিষয়টি ছাত্রছাত্রীরা অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্যন করতে পারবে তাই তাদের কাছে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পলল শংকু কি এই বিষয়টি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
পলল শংকু কি?
সংজ্ঞাঃ
পার্বত্য অঞ্চলের পরে সমভূমি প্রবাহের শুরুতে নদী উপত্যকায় বিভিন্ন আকৃতির শিলাখন্ড অবক্ষেপিত হয়ে তিনকোণা অর্থাৎ শংকুর মত আকৃতির ভুমিরূপ সৃষ্টি হলে তাকে পলল শংকু (Alluvial Cone) বলে ।
উদাঃ
হিমালয়ের পাদদেশে এরূপ অসংখ্য পলল শংকু দেখা যায় । কাশ্মীর হিমালয়ের জাসকর, দ্রাগ, অ্যাস্টর, শিয়ক, শিগার প্রভৃতি নদীতে অনেক পলল শংকু দেখা যায়।
উৎপত্তিঃ
পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয়সাধন ও বহন । এইসময় নদী স্থলভাগকে ক্ষয় করে ও ক্ষয়িত অংশ পরিবহন করে । কিন্তু, উচ্চপ্রবাহ পার্বত্য অঞ্চলে সমাপ্ত হওয়ার পর নদী সমভূমিতে নেমে এসে তার মধ্যপ্রবাহ শুরু করে । এমতাবস্থায় নদী তার বোঝা হালকা করে ও বাহিত বিভিন্ন আকৃতির শিলাখন্ডগুলি সমভূমি প্রবাহের শুরুতেই অধঃক্ষেপিত করে তিনকোণা শংকু আকৃতির পলল শংকু গড়ে তোলে । সেই কারণে এটি নদীর সঞ্চয়কার্যের প্রথম ভূমিরূপ বলে ধরা হয় ।
বৈশিষ্ট্যঃ
পলল শংকু – র বৈশিষ্ট্যগুলি হলো নিম্নরূপ
- এগুলি মূলত বৃহৎ শিলাখন্ড দ্বারা গঠিত থাকে ।
- এদের ঢাল ১°-১৫° হয় ।
- পলল শংকুতে জল কম ও অবস্কর বেশী হয় ।
- এদের আয়তন কয়েক মিটারের মত হয় ।
উপরোক্ত অংশ থেকে কোনো বিস্ময় থাকলে অবশ্যই নিচে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি আপনার কোনো সাহায্যপ্রাপ্ত হলে আপনার বন্ধুদের কাছেও প্রশ্নের বিষয়টি শেয়ার করুন। বিষয়টি পরে অধ্যায়ন করার জন্য বা নিজের কাছে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য সরাসরি পিডিএফ (PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।