আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই, আজ আমরা ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো যে বিষয়টি ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই বিষয়টি তারা অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্যন করতে পারবে। নিত্যবহ নদী ও অনিত্যবহ নদী কি এই বিষয়টি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
নিত্যবহ নদী ও অনিত্যবহ নদী কি?
নিত্যবহ নদী (Perennial River):
সংজ্ঞাঃ
যে সকল নদীগুলিতে সারাবছর ধরেই জলপ্রবাহ দেখা যায়, তাদের নিত্যবহ নদী (Perinnial River) বলে ।
উদা:
ভারতের গঙ্গা নদী, ব্রক্ষ্মপুত্র নদ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য নিত্যবহ নদী ।
বৈশিষ্ট্য:
নিত্যবহ নদী – র বৈশিষ্ট্যগুলি হলো নিম্নরূপ
- সারা বছরব্যাপী জলের যোগান থাকে এরকম কোনো নির্দিষ্ট উৎসক্ষেত্র (যেমন- হিমরেখার উপরে অবস্থিত কোনো তুষারক্ষেত্র, হিমবাহক্ষেত্র অথবা সারা বছরব্যাপী বর্ষনযুক্ত কোনো উচ্চভূমি ইত্যাদি) থেকে উৎপত্তিলাভ করে ।
- সারা বছর ধরেই (এমনকি প্রবল গ্রীষ্মকালীন শুষ্কতার সময়ও) নদীগুলিতে জলের যোগান থাকে ।
- নদীর মোট প্রবাহপথের অধিকাংশই নৌ-চলাচলযোগ্য হয় ।
- অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সারা বছরব্যাপী জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের উপযোগী অনুকূল পরিবেশ নদীগুলিতে বজায় থাকে ।
- অধিকাংশ নিত্যবহ নদীই যথেষ্ট দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট, জলবহুল ও স্রোতস্বিনী হয় ।
- এরা অসংখ্য উপনদী ও শাখানদী বিশিষ্ট হয় ।
- অধিকাংশ নিত্যবহ নদীতেই উচ্চ প্রবাহ, মধ্য প্রবাহ ও নিম্ন প্রবাহ – এই তিনপ্রকার প্রবাহই মোটামুটি সুস্পষ্টরূপে লক্ষ্য করা যায় ।
অনিত্যবহ নদী (Non-perennial River):
সংজ্ঞাঃ
যে সকল নদীগুলিতে সারাবছর ধরে জলপ্রবাহ দেখা যায় না অর্থাৎ, বর্ষাকাল বিদায় নিলে জলের পরিমান ক্রমশঃ কমতে কমতে গ্রীস্মকালে একেবারে শুকিয়ে যায়, তাদের অনিত্যবহ নদী (Non-perinnial River) বলে ।
উদা:
ভারতের ছোটনাগপুর মালভূমি থেকে সৃষ্ট সুবর্ণরেখা নদী একটি অনিত্যবহ নদী ।
বৈশিষ্ট্য:
অনিত্যবহ নদী – র বৈশিষ্ট্যগুলি হলো নিম্নরূপ
- সারা বছরব্যাপী জলের যোগান থাকে না এরকম কোনো নির্দিষ্ট উৎসক্ষেত্র (যেমন- অনুচ্চ ক্ষয়জাত পাহাড়, মালভূমি ইত্যাদি) থেকে উৎপত্তিলাভ করে ।
- সারা বছর ধরে (বিশেষতঃগ্রীষ্মকালীন শুষ্কতার সময়) নদীগুলিতে জলের যোগান থাকে না ।
- নদীর মোট প্রবাহপথের অধিকাংশই নৌ-চলাচলের অযোগ্য হয় ।
- অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সারা বছরব্যাপী জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের উপযোগী অনুকূল পরিবেশ নদীগুলিতে বজায় থাকে না ।
- অধিকাংশ অনিত্যবহ নদীই অপেক্ষাকৃত কম দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট হয় ।
- বর্ষাকালে প্লাবন ও গ্রীষ্মকালে জলশূন্যতা – অনিত্যবহ নদীর অন্যতম বৈশিষ্ট্য । এই অসাম্যতা দূর করার উদ্দেশ্যে অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ অনিত্যবহ নদীর প্রবাহপথে বাঁধ দিয়ে বহুমুখী নদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় ।
উপরের বিষয়টি থেকে কোনো প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই নিচে মন্তব্য করুন এবং বিষয়টি আপনার পছন্দ হলে আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করুন। বিষয়টি পরে অধ্যায়ন করার জন্য বা নিজের কাছে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য সরাসরি পিডিএফ (PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।
দক্ষিণ ভারতে নিত্যবহ নদী অনুপস্থিত
Comments are closed.