আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই আজ আমরা অধ্যায়ন করবো ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে যে বিষয়টি পরীক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই উপকারী। এই বিষয়টি ছাত্রছাত্রীরা অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্যন করতে পারবে তাই তাদের কাছে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘূর্ণবাত কি এই বিষয়টি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ঘূর্ণবাত (Cyclone) কি ?
সংজ্ঞাঃ
স্বল্প পরিসর অঞ্চলে অত্যাধিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে নিম্নচাপের সৃষ্টি হলে বায়ুচাপের সমতা রক্ষার জন্য আশেপাশের উচ্চচাপযুক্ত অঞ্চল থেকে বায়ু প্রবল বেগে সেই নিম্নচাপ কেন্দ্রের দিকে ছুটে আসে এবং দ্রুত উত্তপ্ত ও হালকা হয়ে সর্পিলভাবে কুন্ডলাকারে পাক খেতে খেতে ঊর্দ্ধগামী ঘূর্ণিবায়ুরূপে উপরে উঠে যায় । একে ঘূর্ণবাত (Cyclone) বলে । ‘Cyclone’ শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ ‘KUKLOMA’ থেকে, যার অর্থ সাপের কুন্ডলী ।
অবস্থানঃ
ঘূর্ণবাত মূলত – ক্রান্তীয় অঞ্চলে ও নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে সৃষ্টি হয়ে থাকে ।
শ্রেণীবিভাগঃ
উৎপত্তিগত বৈশিষ্ট্য ও অঞ্চলভেদে ঘূর্ণবাতকে প্রধানত দুটিভাগে ভাগ করা হয় । যথা
- ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত বা উষ্ণমন্ডলীয় ঘূর্ণবাত (Tropical Cyclone)………[বিস্তারিত পরবর্তী পোষ্টগুলিতে]
- নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাত (Temperate Cyclone) বা মধ্য অক্ষাংশীয় ঘূর্ণবাত (Midlatitude Cyclone)………[বিস্তারিত পরবর্তী পোষ্টগুলিতে]
বৈশিষ্ট্যঃ
ঘূর্ণবাত – এর বৈশিষ্ট্যগুলি হল নিম্নরূপ
- প্রবাহের দিকঃ ঘূর্ণবাতের বায়ুপ্রবাহ একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ঘুরতে থাকে । উত্তর গোলার্ধে এটি ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে অর্থাৎ বামাবর্তে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে এটি কাঁটার দিকে অর্থাৎ দক্ষিণাবর্তে ঘুরে কেন্দ্রের দিকে অগ্রসর হয় ।
- নিম্নচাপযুক্ত কেন্দ্রঃ ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে সর্বদা নিম্নচাপ বিরাজ করে । বিশেষক্ষত্রে এই নিম্নচাপ ৯০০ মিলিবারেরও নীচে নেমে যায়, যা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের আভাস দেয় । সাধারণত ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রস্থ নিম্নচাপ ও বাইরের চাপের মধ্যে ১০ – ২০ মিলিবারের মত চাপের পার্থক্য থাকে ।
- বিস্তারঃ ঘূর্ণবাতের বিস্তার সাধারণত কম অঞ্চল জুড়ে হলেও বিষয়ান্তরে অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী ঘূর্ণবাতের বিস্তার ৯০০ কিলোমিটারেরও বেশী অঞ্চল জুড়ে হতে পারে।
- গতিবেগঃ ঘূর্ণবাতের গতিবেগ মূলতঃ ঘণ্টায় ১০০ – ২৫০ কিলোমিটারের মধ্যে হলেও অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী ঘূর্ণবাতের বায়ুপ্রবাহের গতিবেগ অনেকসময় ঘন্টায় ৪০০ কিলোমিটারেরও বেশী হয় ।
- সমচাপরেখার প্রকৃতিঃ মানচিত্রে কতকগুলি এককেন্দ্রিক সমচাপরেখার দ্বারা ঘূর্ণবাতকে দেখানো হয় । এই সমচাপরেখাগুলি সর্বদা বৃত্তাকার বা প্রায়বৃত্তাকার হয় ।
- ধ্বংসক্ষমতাঃ ঘূর্ণবাত প্রায়শই ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়ে থাকে । অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী ঘূর্ণবাত অত্যন্ত বিধ্বংসী হয় এবং প্রভাবিত অঞ্চলে ভয়ংকর ক্ষয়ক্ষতি এমনকি প্রাণহানিও ঘটায় ।
- স্থায়ীত্বঃ ঘূর্ণবাত স্বল্পকালব্যাপী স্থায়ী হয়, কিন্তু ঐ স্বল্পকালের মধ্যেই তা দ্রুত বর্ধনশীল হয়ে বিস্তারলাভ করে প্রবলবেগে প্রবাহিত হয় ।
- দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া সৃষ্টিঃ ঘূর্ণবাতের প্রভাবে ঝড়, বৃষ্টিপাত ও বজ্রপাত সংঘটিত হয়ে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া সৃষ্টি করে ।
- স্থান পরিবর্তনঃ ঘূর্ণবাত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে । যে পথ দিয়ে এটি গমন করে তাকে ঘূর্ণবাতের পথ (Cyclonic Track) বলা হয় ।
উপরোক্ত অংশ থেকে কোনো বিস্ময় থাকলে অবশ্যই নিচে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি আপনার কোনো সাহায্যপ্রাপ্ত হলে আপনার বন্ধুদের কাছেও প্রশ্নের বিষয়টি শেয়ার করুন। বিষয়টি পরে অধ্যায়ন করার জন্য বা নিজের কাছে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য সরাসরি পিডিএফ (PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।
[…] বায়ুপ্রবাহ মূলত দুইপ্রকার । যথা – ১. ঘূর্ণবাত………[বিস্তারিত পরবর্তী পোষ্টগুলিতে] ও […]
temperate cyclon
Comments are closed.