গ্রাবরেখা বা মোরেন কি?

4
গ্রাবরেখা বা মোরেন কি?

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই, আজ আমরা ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো যে বিষয়টি ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই বিষয়টি তারা অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্যন করতে পারবে। গ্রাবরেখা বা মোরেন কি এই বিষয়টি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

Advertisement

গ্রাবরেখা বা মোরেন কি?

সংজ্ঞাঃ

পার্বত্য অঞ্চল দিয়ে হিমবাহ প্রবাহিত হওয়ার সময় ক্ষয় পাওয়া শিলাখন্ড, নুড়ি, কাঁকর, বালি প্রভৃতি হিমবাহের সঙ্গে বয়ে চলে । এইসব বিচ্ছিন্ন ক্ষয়প্রাপ্ত শিলাখন্ড বা শিলাচূর্ণের কিছু অংশ হিমবাহের দু’পাশে, সামনে তলদেহে স্তূপাকারে সঞ্চিত হয় । এই সব সঞ্চিত শিলাস্তূপকে গ্রাবরেখা বা মোরেন (Moraine) বলে । “Moraine” একটি ফরাসী শব্দ, যার অর্থ ‘মাটি ও প্রস্তর দ্বারা গঠিত তীর’ ।

উদাঃ

তিস্তা নদীর উচ্চ অববাহিকায় লাচুং লাচেন অঞ্চলে নানা ধরনের গ্রাবরেখা দেখা যায় ।

বৈশিষ্ট্যঃ

গ্রাবরেখা এর বৈশিষ্ট্যগুলি হলো নিম্নরূপ

ক) এগুলি মূলত উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে দেখা যায় ।

খ) ছোট-বড় বিভিন্ন আকৃতির শিলাখন্ড, নুড়ি, কাঁকর, বালি প্রভৃতি দ্বারা গঠিত হয়

শ্রেণীবিভাগঃ

গ্রাবরেখা বিভিন্ন ধরনের হয় । যেমন

  1. পার্শ্ব গ্রাবরেখাঃ শিলাখন্ড বা শিলাচূর্ণ, নুড়ি, কাঁকর, বালি প্রভৃতি হিমবাহের দু’পাশে স্তূপাকারে প্রাচীরের মতো সঞ্চিত হলে তাকে পার্শ্ব গ্রাবরেখা বলে ।
  2. প্রান্ত গ্রাবরেখাঃ শিলাখন্ড বা শিলাচূর্ণ, নুড়ি, কাঁকর, বালি প্রভৃতি হিমবাহের সামনে স্তূপাকারে সঞ্চিত হলে তাকে প্রান্ত গ্রাবরেখা বলে ।
  3. মধ্য গ্রাবরেখাঃ দুটি হিমবাহ দুইদিক থেকে এসে একসঙ্গে মিলিত হয়ে উভয়ের পরস্পর সন্নিহিত পার্শ্ব-গ্রাবরেখা দুইটি মিশে গেলে তাকে মধ্য গ্রাবরেখা বলে ।
  4. তলদেশ গ্রাবরেখাঃ শিলাখন্ড বা শিলাচূর্ণ, নুড়ি, কাঁকর, বালি প্রভৃতি হিমবাহের তলায় স্তূপাকারে সঞ্চিত হলে তাকে ভূমি গ্রাবরেখা বা তলদেশ গ্রাবরেখা বলে ।
  5. আবদ্ধ গ্রাবরেখাঃ শিলাখন্ড বা শিলাচূর্ণ, নুড়ি, কাঁকর, বালি প্রভৃতি হিমবাহের মধ্যে আটকে পড়ে স্তূপাকারে সঞ্চিত হলে তাকে আবদ্ধ গ্রাবরেখা বলে ।
  6. অবিন্যস্ত গ্রাবরেখাঃ মাঝে মাঝে হিমবাহের সামনের দিকে গ্রাবরেখার স্তরগুলিকে ইতস্তত বিক্ষিপ্ত অবস্থায় দেখা যায় । এধরনের গ্রাবরেখাকে অবিন্যস্ত গ্রাবরেখা বলে।
  7. হিমতল গ্রাবরেখাঃ অনেক সময় শিলাখন্ড বা নুড়ি পর্বতের গা বেয়ে এবং হিমবাহের ফাঁটলের মধ্য দিয়ে হিমবাহের তলদেশে পৌছে সঞ্চিত হয় । একে হিমতল গ্রাবরেখা বলে
  8. বলয়ধর্মী গ্রাবরেখাঃ অনেক সময় প্রান্ত গ্রাবরেখাগুলিকে বলয়ের আকার ধারণ করতে দেখা যায় । একে বলয়ধর্মী গ্রাবরেখা বলে ।
  9. রোজেন গ্রাবরেখাঃ কোন কোন অঞ্চলে গ্রাবরেখাগুলি একে অপরের উপর জমতে থাকে । একে রোজেন গ্রাবরেখা বলে ।

উপরের বিষয়টি থেকে কোনো প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই নিচে মন্তব্য করুন এবং বিষয়টি আপনার পছন্দ হলে আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করুন। বিষয়টি পরে অধ্যায়ন করার জন্য বা নিজের কাছে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য সরাসরি পিডিএফ (PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।

4 COMMENTS

  1. দুঃখিত । কিন্তু আমি একটা জিনিসে বিশ্বাস করি যে, সহজ ভাষায় আত্তিকরণের থেকে উত্তম আর কিছু হতে পারে না । তাই সবার বোঝার সুবিধার্থে সহজ সরল ভাষায় লিখি । তবুও আপনার কথা মাথায় রেখে আগামী দিনে ভাষার আরও উন্নতি করার চেষ্টা করবো । ধন্যবাদ

Comments are closed.