আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই, আজ আমরা ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো যে বিষয়টি পরীক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি তারা অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় খুব ভালো নম্বর অর্যন করতে পারবে। উপত্যকা হিমবাহ বা পার্বত্য হিমবাহ বিষয়টি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
উপত্যকা হিমবাহ বা পার্বত্য হিমবাহ কি?
সংজ্ঞাঃ
উচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কিংবা অতি উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে প্রচন্ড ঠান্ডার জন্য তুষার জমে সৃষ্টি যেসব হিমবাহ পর্বতের উপত্যকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং যেসব হিমবাহ তাদের গতি প্রবাহকে পার্বত্য উপত্যকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখে, তাদের পার্বত্য হিমবাহ বা উপত্যকা হিমবাহ (Mountain Glacier / Valley Glacier) বলে ।
উদাহরণঃ হিমালয়ের উত্তরে কারাকোরামের সিয়াচেন হিমবাহ (দৈর্ঘ্য ৭২ কিমি); বিয়াফো (৬৩ কিমি ) ও বলটারো (৫৮ কিমি), হিসপার (৫০ কিমি.) ও বাতুরা (৬০ কিমি); কুমায়ুন হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ (দৈর্ঘ্য ৩৯ কিমি), কেদারনাথ (১৪ কিমি.) কাঞ্চন জঙ্ঘার জেমু হিমবাহ (দৈর্ঘ্য ২৬ কিমি) প্রভৃতি হিমালয়ের উপত্যকা হিমবাহগুলি পৃথিবীর অন্যতম । আলাস্কার হুবার্ড ( ১২৮ কিমি ) পৃথিবীর বৃহত্তম উপত্যকা হিমবাহ ।
বৈশিষ্ট্যঃ পার্বত্য হিমবাহ বা উপত্যকা হিমবাহ – র বৈশিষ্ট্যগুলি হলো নিম্নরূপ
- এদের আয়তন অপেক্ষাকৃত কম ।
- এদের গতি বেশি ।
- এদের আকৃতি ও দৈর্ঘ্য নির্ভর করে তুষারক্ষেত্রের বিস্তার, তুষারপাতের পরিমাণ এবং উপত্যকা অঞ্চলের উত্তাপের পরিমাণের উপর ।
- এরা পূর্বেকার কোনও উপত্যকার মধ্য দিয়ে ধীরগতিতে নিচের দিকে নামতে থাকে ।
উপরোক্ত অংশ থেকে কোনো বিস্ময় থাকলে অবশ্যই নিচে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করুন। প্রশ্নগুলি নিজের কাছে সংরক্ষিত করার জন্য সরাসরি পিডিএফ (PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।