আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই, আজ আমরা উপগ্রহের চিত্রের সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করবো বিষয়টি পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়টি ছাত্রছাত্রীরা ভালোভাবে অধ্যায়ন করলে সহজেই ভালো নম্বর পেতে পারবে তাই বিষয়টি অধ্যায়ন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়টি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
Advertisement
উপগ্রহ চিত্রের সুবিধা ও অসুবিধা কি কি?
সুবিধা
উপগ্রহ চিত্রের বিশেষ কতকগুলি সুবিধা হল
- দুর্গম অঞ্চলের তথ্যসংগ্রহঃ উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবে দুর্গম অঞ্চলের তথ্য সংগ্রহ করা যায় , যার ফলে উক্ত অঞ্চলের আঞ্চলিক তথ্যাবলী সহজেই পাওয়া যায়।
- আবহাওয়ার পূর্বাভাসঃ উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে বৃহৎ অঞ্চলব্যাপী আবহাওয়া , ঘূর্ণবাত ও ঘূর্ণবাতের গতিপথের পূর্বাভাস সবিস্তারে ও নিখুঁতভাবে পাওয়া যায় ।
- অপেক্ষাকৃত সাশ্রয়করঃ কায়িক শ্রম প্রয়োগ করে জমি জরিপে বিশাল অর্থ ব্যয় হয় । সাথে সাথে সময়েরও অপচয় ঘটে । কিন্তু, তাতেও সবসময় নিখুঁত তথ্য পাওয়া যায় না । সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে উপগ্রহ চিত্রের তথ্য অনেক বেশী নিখুঁত এবং সাশ্রয়কর হয় ।
- রিমােট সেন্সিং: এর ত্রুটি দূরীকরণঃ দূর্যোগজনিত কারণে অনেক সময় মেঘাচ্ছনতার ফলে উপগ্রহ চিত্র পাওয়া যায় না , কিন্তু বর্তমানে উপগ্রহ চিত্রের মাইক্রোওয়েভ সেন্সরের সাহায্যে চিত্র গ্রহণ করার ফলে রিমােট সেন্সিং – এর এই অসুবিধা দূর হয়েছে । ফলে বর্তমানে দিন ও রাত উভয় সময়ই নিরবিচ্ছিন্নভাবে তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভবপর হয়েছে ।
- পুনঃদৃশ্যযােগ্যতাঃ উপগ্রহ চিত্রের অন্যতম সুবিধা হল পুনঃদৃশ্যযােগ্যতা ( Repetitivity ) । উপগ্রহসমূহ ভূপৃষ্ঠের কোনাে অঞ্চলের চিত্র নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে প্রদক্ষিণের সময়ানুসারে বারবার পাওয়া যায় । ফলে বন্যা , খরা প্রভৃতি সম্পর্কে সহজেই তথ্য পাওয়া যায় ।
- আঞ্চলিকতার ব্যাপকতাঃ কিছু কিছু স্যাটেলাইট চিত্র বিশাল এলাকাকে ( প্রায় ৩০,০০০ বর্গকিমি অবধি ) একটি দৃশ্যেই ধরে রাখতে পারে ।
- দ্রুততর বিশ্লেষণঃ উপগ্রহ চিত্রের তথ্যাবলী ডিজিটাল ফর্মে পাওয়া যায় । তাই এর দ্বারা কম্পিউটারে বিশ্লেষণ দ্রুত করা সম্ভব হয় ।
- যােগাযােগ স্থাপনঃ উপগ্রহ কতৃক গৃহীত চিত্রের সাহায্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মধ্যে দ্রুত যােগাযােগ স্থাপন সম্ভবপর হয়েছে ।
অসুবিধা
বিভিন্ন সুবিধা থাকলেও উপগ্রহ চিত্রের কিছু অসুবিধাও আছে । যথা
- উচ্চতাসংক্রান্ত সমস্যাঃ উপগ্রহ চিত্রের সবথেকে বড় অসুবিধা হল এর দ্বারা বস্তুর উচ্চতা নির্ণয় করা যায় না ।
- সমীক্ষাগত অসুবিধাঃ আঞ্চলিক ভূমির অংশবিশেষের অণুপর্যায়ে ( Microlevel ) সমীক্ষা উপগ্রহ চিত্রের দ্বারা সম্ভব নয় ।
- পৃথকীকরণে সমস্যাঃ উপগ্রহ চিত্রের সাহায্যে একই ধরনের দুটি বস্তুর পৃথকীকরণ ও ব্যাখ্যা অনেকক্ষেত্রে অসুবিধাজনক হয়ে পড়ে ।
- প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতাঃ মেঘাচ্ছন্নতা ও কম আলোকজনিত কারণে মাইক্রোওয়েভ সেন্সর ছাড়া অনেকসময়ই তথ্য সংগ্রহ সঠিকভাবে সম্ভব হয় না ।
- খরচসাপেক্ষঃ উপগ্রহ চিত্রসংক্রান্ত সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় প্রাথমিক ব্যয় বেশি বলে অধিকাংশ দেশের পক্ষেই তা পরিচালনা সম্ভব হয় নি ।
- জটিল ব্যবহার পদ্ধতিঃ উপগ্রহ চিত্র সংগ্রহ ও উপলব্ধি করতে প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত হওয়া প্রয়ােজন । সঠিক জ্ঞানের অভাবে এই চিত্রের ব্যাখ্যা ভুলও হতে পারে । তাই ব্যবহারের জটিলতার কারণে সকলে এই চিত্র বুঝতে ব্যর্থ হতে পারে । সেই কারণে অনেক অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের পক্ষে এই ব্যবস্থা পরিচালনা অসম্ভব হয়েছে ।
উপরোক্ত বিষয়টি নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই নিচে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি পছন্দ হলে আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করুন। বিষয়টি নিজের কাছে সংরক্ষিত ভাবে রাখার জন্য সরাসরি পিডিএফ (PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ।