আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই, আজ আমরা ‘উত্তর ভারতের নদনদী ও দক্ষিণ ভারতের নদনদীর বিভিন্ন পার্থক্য’ নিয়ে আলোচনা করবো। বিষয়টি ছাত্রছাত্রীরা অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় তারা খুব সহজেই ভালো নম্বর পেতে পারবে তাই তাদের বিষয়টি অধ্যায়ন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়টি আপনার কাছে সংরক্ষিত করার জন্য সরাসরি পিডিএফ (PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন। নিম্নে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো ধন্যবাদ।
Advertisement
উত্তর ভারতের নদ নদী ও দক্ষিণ ভারতের নদ নদীর মধ্যে পার্থক্য লেখ?
বিষয় | উত্তর ভারতের নদ – নদী | দক্ষিণ ভারতের নদ – নদী |
১. সংজ্ঞা | উত্তরে হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল থেকে ভারতের মধ্যভাগের উচ্চভূমি অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চলে হিমালয় পর্বত , কারাকোরাম পর্বতসহ অন্যান্য উৎস থেকে অসংখ্য নদ – নদী উৎপত্তি লাভ করে প্রবাহিত হয়েছে । এরা উত্তর ভারতের নদ – নদী নামে পরিচিত । | ভারতের মধ্যভাগের উচ্চভূমি অঞ্চল থেকে শুরু করে সমগ্র দক্ষিণ ভারতব্যপী বিভিন্ন উৎস থেকে অসংখ্য নদ – নদী উৎপত্তি লাভ করে প্রবাহিত হয়েছে । এরা দক্ষিণ ভারতের নদ – নদী নামে পরিচিত । |
২. উৎস | এগুলির উৎস মূলত হিমালয় পর্বত , কারাকোরাম পর্বত । | এগুলির উৎস মূলত মধ্যভাগের উচ্চভূমি , পশ্চিমঘাট পর্বত । |
৩. বয়স | এরা বয়সে অপেক্ষাকৃত নবীন | এরা বয়সে প্রাচীন |
৪. গতিবেগ | এদের গতিবেগ উচ্চগতিতে তীব্র কিন্তু মধ্যগতি ও নিম্নগতিতে কম । | এরা খরস্রোতা হওয়ায় সমগ্র গতিপথ জুড়েই গতিবেগ বেশী । |
৫. অববাহিকার আয়তন | এদের অববাহিকার আয়তন বেশী । | এদের অববাহিকার আয়তন কম । |
৬. উপনদীর সংখ্যা | উত্তর ভারতের নদ – নদীগুলির উপনদীর সংখ্যা বেশী । | দক্ষিণ ভারতের নদ – নদীগুলির উপনদীর সংখ্যা কম । |
৭. দৈর্ঘ্য | এদের দৈর্ঘ্য অপেক্ষাকৃত বেশী । | এদের দৈর্ঘ্য অপেক্ষাকৃত কম । |
৮. গতিপথের স্পষ্টতা | উচ্চগতি , মধ্যগতি ও নিম্নগতি – এই তিন প্রকার গতিই এদের সুস্পষ্টভাবে লক্ষ্যণীয় । | গতিপথের পর্যায়গুলি অস্পষ্ট প্রকৃতির । |
৯. ব – দ্বীপের উপস্থিতি | এদের মোহনায় ব – দ্বীপের উপস্থিতি দেখা যায় । | এদের মোহনায় ব – দ্বীপের উপস্থিতি দেখা যায় না বললেই চলে । কোথাও তা গড়ে উঠলেও ক্ষুদ্র প্রকৃতির হয়ে থাকে । |
১০. কার্য ক্ষমতা | ক্ষয়কার্য ও সঞ্চয়কার্য – উভয় ক্ষেত্রেই এদের কার্য ক্ষমতা যথেষ্ট বেশী । | ক্ষয়কার্য ও সঞ্চয়কার্য – উভয় ক্ষেত্রেই এদের কার্য ক্ষমতা যথেষ্ট বেশী । |
১১. বিদ্যুৎ উৎপাদন | এই নদ – নদীগুলি জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের পক্ষে অনুপযুক্ত । শুধু নদীর উচ্চপ্রবাহেই জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিবেশ পাওয়া যায় । | এই নদ – নদীগুলি জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের পক্ষে উপযুক্ত । |
১২. বন্যার প্রকোপ | নদীবক্ষ পলি দ্বারা ভরাট হয়ে থাকায় বর্ষাকালে দুকূল ছাপিয়ে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে বন্যা দেখা যায় । | নদীবক্ষ পলিমুক্ত থাকায় বন্যার প্রকোপ অপেক্ষাকৃত অনেক কম । |
১৩. মিয়েন্ডার ও অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ | এই অঞ্চলের নদ – নদীগুলিতে যথেষ্ট পরিমাণে মিয়েন্ডার ও অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদের উপস্থিতি দেখা যায় । | এই অঞ্চলের নদ – নদীগুলিতে মিয়েন্ডার ও অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদের উপস্থিতি দেখা যায় না বললেই চলে । |
১৪. জলের পরিমাণ | এইসকল নদ – নদীগুলি বরফগলা জলে পুষ্ট হওয়ায় নদীতে জলের পরিমাণ অনেক বেশী । | এইসকল নদ – নদীগুলি বৃষ্টির জলে পুষ্ট হওয়ায় নদীতে জলের পরিমাণ অনেক বেশী । |
১৫. জলসেচের সুবিধা | নদীগুলিতে সারাবছর জলের যোগান থাকায় জলসেচের সুবিধা হয় । | বাঁধ দিয়ে জল ধরে না রাখলে নদীগুলি থেকে জলসেচ অসুবিধাজনক হয়ে পড়ে । |
১৬. ভূমিভাগের প্রকৃতি | নদীগুলি কোমল শিলাগঠিত ভূমিভাগের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে । | নদীগুলি কঠিন শিলাগঠিত ভূমিভাগের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে । |
১৭. ঢালের প্রকৃতি | এইসকল নদ – নদীগুলির নদীখাতের ঢাল সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় । | এইসকল নদ – নদীগুলির নদীখাতের ঢাল সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় । |
১৮. নাব্যতা | এইসব নদ – নদীগুলির নাব্যতা বেশী । | এইসকল নদ – নদীগুলির নাব্যতা কম । |
১৯. মৃত্তিকা স্তরের গভীরতা | নদ – নদীগুলির অববাহিকা অঞ্চলে মৃত্তিকা স্তরের গভীরতা বেশী । | এইসকল নদ – নদীগুলির অববাহিকা অঞ্চলে মৃত্তিকা স্তরের গভীরতা কম । |
২০. পলির পরিমাণ | এইসকল নদ – নদীগুলিতে পরিবাহিত পলির পরিমাণ অনেক বেশী । | এইসকল নদ – নদীগুলিতে পরিবাহিত পলির পরিমাণ অপেক্ষাকৃত কম । |
২১. নিত্যবহতা | বরফগলা জলে পুষ্ট হওয়ায় এইসকল নদ – নদীগুলিতে সারাবছর জল থাকে , অর্থাৎ এগুলি নিত্যবহ । | বৃষ্টির জলে পুষ্ট হওয়ায় এইসকল নদ – নদীগুলিতে সারাবছর জল থাকে না , অর্থাৎ এগুলি অনিত্যবহ । |
২২. তীরবর্তী শহর | নদ – নদীগুলির তীরবর্তী বহু শহর – নগর গড়ে উঠেছে । | নদ – নদীগুলির তীরবর্তী শহর – নগরের সংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম । |